https://gocon.live/

SEO

এডজ কম্পিউটিং

এডজ কম্পিউটিং এডজ কম্পিউটিং
 

এডজ কম্পিউটিং


আইওটি ডিভাইসগুলোর আকাশচুম্বী প্রচলন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, লজিস্টিক এবং স্মার্টহোমের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আইওটি প্রযুক্তি বেশ প্রভাব রাখবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, আইওটি বেজড স্মার্টহোম, রিটেইল এবং অফিস সামগ্রীতে এডজ কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার হচ্ছে এবং মার্কেটএন্ডমার্কেটসের হিসাবে রিটেইল মার্কেট হতে যাচ্ছে এডজ কম্পিউটিংয়ের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমান সেক্টর। ম্যাককিনসে কোম্পানির তথ্যমতে, আইওটির বাজারমূল্য ২০২৫ সালে ৭.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হবে। এডজ কম্পিউটিং ডাটা অ্যানালিটিক্সকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। অনেক কোম্পানি ডাটানির্ভরপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমের পরিচালনাতে দ্রুত ফলাফল পেতে এডজ কম্পিউটিংয়ের ওপর নির্ভর করে।    


এডজ কম্পিউটিং কী


এক ধরনের ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি কাঠামো এডজ কম্পিউটিং, যেখানে টেকনোলজি ডিভাইস থেকে উৎপন্ন হওয়া ডাটা বা তথ্য গ্রহণের পরে প্রক্রিয়াকৃত করে নিকটবর্তী ডাটা সেন্টারে প্রেরণ করে। এতে ডাটা আইওটি ডিভাইসের প্রসেসর এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুবিন্যস্ত হয়। এডজ ক্লাউড কম্পিউটিং এডজ নেটওয়ার্কে ক্লাউডের সুবিধা বিবর্ধিত করে। এডজ ক্লাউড ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডাটা সেন্টারে রিয়েল টাইম, অর্থাৎ এই মুহূর্তের তথ্য বা ডাটা সংরক্ষণ, পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্রিয়া দ্রæত সম্পন্ন করে ব্যান্ডউইডথ সাশ্রয় করে, যা একটি ডাটা সেন্টারের সংযোগে সম্ভব নয়। আইওটি ডিভাইসে এডজ কম্পিউটিং প্রযুক্তি ইনস্টল থাকে, এতে এডজ সার্ভারের সাথে একীভ‚ত অবস্থায় নেটওয়ার্ক করা থাকে। আর সেই তথ্য সার্ভার থেকে নিয়ে প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানিগুলো গ্রাহককে দ্রæত মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করে। যে ক্ষুদ্র ডাটা সেন্টারে তথ্য সংরক্ষিত হয়, সেগুলোকে ‘ক্লাউডলেটস’ বলে। এডজ কম্পিউটিংয়ের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ডাটা প্রক্রিয়ার বিলম্বটা স্বল্প করে নেটওয়ার্কজনিত আর্থিক সাশ্রয় করা।


কেনো এডজ কম্পিউটিং 


২০২৫ সালে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মেশিন সেন্সর এবং আইওটি ডিভাইস ক্রমাগতভাবে ডাটা বা তথ্য প্রবাহ করতে থাকবে, যার জন্য ডাটা প্রক্রিয়াকরণ, ডাটা সংরক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণ করে তা সঠিকভাবে কাজে ব্যবহার করতে হবে। এডজ কম্পিউটিং উৎসে এই ডাটা প্রক্রিয়া করে বিলম্বতার সময় অল্প করবে, অথবা নেটওয়ার্ক থেকে ক্লাউড বা কোর ডাটা সেন্টারে প্রেরণ করে আরও কার্যকরী এই মুহূর্তের সময়োপযোগী তথ্যের অন্তর্গত বিষয়াদি খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। আর এই কাজের জন্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন, দ্রæত ডাটা সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ উপযোগী কাজের ভর নিতে উচ্চমানের এডজ কম্পিউটিং এবং সুবিস্তৃত পরিসরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের উপস্থিতি দরকার। নতুন অগ্রসরমান প্রযুক্তি যেমন ফাইভজি ১০ গুণ বেশি দ্রæত কাজ করে ‘এআই’নির্ভর পরিষেবাগুলোর সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে এডজ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের উপযোগিতা আরও তৈরি করবে।       


এডজ কম্পিউটিংয়ের ক্রমবিকাশ


১৯৯০-এর দিকে এডজ কম্পিউটিং আলোচনায় আসে, যখন ‘অ্যাকামেই’ তার কনটেন্ট ডেলেভারি নেটওয়ার্ক(সিডিএন) যাত্রা আরম্ভ করে। এটি নোডসের সাথে পরিচয় ঘটায় সবাইকে, যাতে ভৌগোলিক অবস্থান নেটওয়ার্কের কল্যাণে ব্যবহারকারীর অতি কাছে চলে আসে। এই নোডসের মাধ্যমে একসাথে সব কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু যেমন ছবি, ভিডিওর মতো উপাদান সংরক্ষিত থাকে। এডজ কম্পিউটিংয়ে বাস্তবিক এই ধারণাকে খুঁটিনাটি গণনার বিষয়াদিসহ যোগ করে আরও বিস্তৃত পরিসরে আনে। 


কম্পিউটার বিজ্ঞানী ব্রায়ান নোবেল ১৯৯৭ সালে কীভাবে মোবাইল প্রযুক্তিতে এডজ কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহারে স্পিচ রিকগনিশন কাজ করে তা প্রদর্শন করেন। দুই বছর পর একই পদ্ধতি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্বতার জন্য ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৯ সালে পিয়ার টু পিয়ার কম্পিউটিংয়ে আবির্ভাব ঘটে, যেখানে যে কোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারী নিজের তথ্য অন্য কারও সাথে সরাসরি শেয়ার করতে পারেন, অর্থাৎ যেখানে তথ্য প্রেরণকারী নিজেই সার্ভার। ২০০৯ সালে ‘দ্য কেস ফর ভিএম বেজড ক্লাউডলেটস ইন মোবাইল কম্পিউটিং’ লেখা প্রকাশিত হয়, যেখানে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ক্লায়েন্ট ডাটা অনুরোধের বিলম্বের বিষয় নিয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। লেখাটি দুই স্তরের কাঠামো নিয়ে আলোকপাত করে, একটি হচ্ছে বর্তমানে অপরিবর্তনশীল ক্লাউড গঠন এবং অপরটি ক্লাউডলেটস, অর্থাৎ বিস্তৃত তথ্য বিষয়াদি যেখানে সংরক্ষিত। আর এটাই আধুনিক এডজ কম্পিউটিংয়ের তত্ত¡ীয় ব্যাখ্যা। ২০১২ সালে ‘সিসকো’ আইওটি স্কেলেবিটি প্রোমোট করতে বিক্ষিপ্তভাবে ক্লাউড কাঠামো ডিজাইন করে, যাতে চাহিদা অনুযায়ী পরিষেবা পরিচালিত করা যায়। বর্তমানে এডজ পরিষেবাগুলোর কল্যাণে বøকচেইন এবং আইওটিতে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে আবিভর্‚ত এডজ কম্পিউটিং।


এডজ নেটওয়ার্ক কাঠামো 


এডজ নেটওয়ার্ক অনেকগুলো স্তরে বা ধাপে বিস্তৃত থাকে। বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তাজনিত সার্ভার ইস্যু এবং নানা ধরনের এডজ ডিভাইস এই কাঠামোতে প্রয়োজনের কারণে অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদি একটি স্মার্ট ক্যামেরাকে শেষ প্রান্ত হিসেবে আমরা ধরে নেই, তাহলে এডজ কম্পিউটিংয়ে সেটা প্রথম প্রান্ত হিসেবে কাজ করে। ব্যবহারকারীর কাছে থাকে এবং কাজ করে। এডজ সার্ভার এবং মূল সার্ভার এডজ কম্পিউটিংয়ের জন্য দ্বিতীয় ধাপ বা স্তর প্রদান করে। তারা স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক রিসোর্সের ভেতর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক ডাটা সেন্টার আরেকটি স্তর হিসেবে কাজ করে, ফিজিক্যাল বা বাস্তবিক শেষপ্রান্ত থেকে দূরে অবস্থান করে। কম্পিউটিং বা কার্যক্রম সঠিক স্তরে রেখে প্রতিষ্ঠানসমূহ রিসোর্সের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)-এর সফল কৌশল ডিজাইন তৈরি নিশ্চিত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলা যায়। এডজ কম্পিউটিংয়ে স্মার্ট ক্যামেরা বাস্তবিক সময়ের অবস্থান খোঁজ করা সম্ভব এবং অ্যালার্ম দেয়া যায়। নিকটবর্তী এডজ সার্ভার ডাটা বা তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং কোথায় গন্তব্য সেটা নির্ধারণ করে। এর সাথে ক্লাউড দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসায়িক অবস্থা বুঝতে ডাটা সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ করে। এতে ভালো ব্যবসায়িক একটা ফলাফল এবং কাস্টমার সুন্দর পরিষেবা গ্রহণ করে।            


এডজ কম্পিউটিংয়ের সুবিধা


চার ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা এডজ কম্পিউটিং কাঠামো থেকে পাওয়া যায়, সেটা ব্যান্ডউইথ সাশ্রয়, ডাটা প্রেরণে বিলম্বতা পরিমাণ স্বল্প করা, অর্থ সাশ্রয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত।  


ব্যান্ডউইথ ব্যবহার সাশ্রয় 


ডাটা বা তথ্য উৎসে এডজ ডিভাইস ইনস্টল করে ডাটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করা যায়। এটি কিছু পরিমাণ ডাটা আইওটি ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়ে স্বল্প আকারে ক্লাউডে প্রেরণ করে নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ সাশ্রয় করে। 


বিলম্বতা স্বল্প করা 


এডজ কম্পিউটিং কাঠামোতে আইওটি ডিভাইস থেকে ডাটা দূরবর্তী জায়গার ক্লাউড ডাটা সেন্টারে যেতে হয় না। আর এই অল্প দূরত্ব ডাটা প্রক্রিয়ার সময় অল্প করে বিলম্ব কমিয়ে আনে এবং দ্রæত পরিষেবা প্রদান করে। ব্যবসায়িক, গবেষণা, নিরাপত্তাবিষয়ক কাজে বেশ উপকারে আসে। 


অর্থ সাশ্রয় 


বেশি পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার অর্থ ব্যয়ের মূল কারণ। এডজ কম্পিউটিং কাঠামোতে স্বল্প ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এবং অর্থ সাশ্রয় হয়। 


নিরাপত্তা এবং নির্ভরতা উন্নতকরণ


এডজ কম্পিউটিংয়ের কল্যাণে ডাটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া বেশ কিছু জায়গায় ক্লাউড ডাটা সেন্টারের পরিবর্তে উৎসের কাছেই সম্পন্ন হয়। যেখানে সাইবার সিকিউরিটি, ডাটা প্রক্রিয়া অবস্থা নিয়ন্ত্রণ একটি ডাটা সেন্টারে হলে ডাটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব বা সাইবার নিরাপত্তা বিষয় আসে।    


এডজ কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে 


গার্টনারের পূর্বাভাস মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যবসায়িক ডাটার ৭৫ শতাংশ কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটা সেন্টারের বাইরে তৈরি হবে। অনেক ডাটা তৈরি হওয়াতে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে ডাটা প্রবাহের সময় ব্যাঘাত ঘটবে এবং প্রায় বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তি আর্কিটেক্টরা কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টারের ভাবনা থেকে কাঠামোগত বিষয়ে পরিবর্তিত হয়ে লজিক্যাল এডজের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। ডাটা সেন্টার থেকে কম্পিউটিং রিসোর্স নিয়ে একটি পয়েন্টে গমন করে, যেখানে ডাটা উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ, ডাটা সেন্টারের নিকটবর্তী অবস্থায় ডাটা বা তথ্য না থাকলে, সেই ডাটা যেখানে উৎপন্ন হয় তার কাছে ডাটা সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোপ্রতিষ্ঠানের একটি শাখা থেকে আরেকটি শাখাতে তথ্য পাঠাতে মূল ডাটা সেন্টারে তথ্য আদান-প্রদান করেও যেই শাখাতে তথ্য প্রেরণ করতে হবে সরাসরি সেখানে ডাটা প্রেরণ করেও কাজ দ্রæত করা যায়। এডজ কম্পিউটিংয়ে ডাটা যেখানে ঠিক সেখানে স্টোরেজ বা সার্ভাররাখা হয়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডাটা সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়া স্থানীয়ভাবে করা হয়। কম্পিউটিংয়ের সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিকটে তাপমাত্রার অবস্থা সহনীয় রাখতে থাকে। শুধুমাত্র প্রক্রিয়াকৃত তথ্যাদি মূল ডাটা সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। এডজ এআই ব্যবহারের কল্যাণে ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ সবসময় প্রয়োজন হবে না, এর পরিবর্তে ডিভাইসটি তথ্য বা ডাটা প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত নিজে গ্রহণ করতে পারবে। যেমন রোবটের মাইক্রোপ্রসেসরে এডজ এআই অ্যাপ্লিকেশন থাকে এবং প্রতি মুহূর্তের ডাটা বা তথ্য নিজের মধ্যে সংরক্ষণ করে। যখন ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়, তখন নির্দিষ্ট ডাটা ক্লাউড স্টোরেজে আরও প্রক্রিয়ার জন্যপ্রেরণ করে। যদি এডজে কার্যক্রম না হতো, তাহলে প্রতিনিয়ত ডাটা ক্লাউডে প্রেরণ হতো এবং প্রক্রিয়াতে অনেক বেশি সময় গ্রহণ করত।


এডজ কম্পিউটিংয়ের জনপ্রিয় কিছু ব্যবহার 


ব্যবসায়িক এবং কলকারখানাতে বর্তমানে এডজ কম্পিউটিং কাঠামো ব্যবহার জনপ্রিয়, আইওটি ডিভাইস, সেন্সর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এডজ সার্ভারের মাধ্যমেডাটা গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করে ব্যবহারকারীকে তথ্যাদি সাহায্য করে। যেমনÑ


স্বয়ংক্রিয় যান 


এডজ কম্পিউটিং ডাটা প্রক্রিয়াতে বেশ দ্রæত হওয়ায় স্বয়ংক্রিয় যান ব্যবস্থাপনাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। দূরবর্তী ক্লাউড ডাটা সেন্টার থেকে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করেনা স্বয়ংক্রিয় যান, তাৎক্ষণিকভাবে এবং নিরাপদের সাথে পথে সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে এডজ কম্পিউটিং কাঠামো পরিবহন যানে থাকে। এতে সেই দ্রæত সময়ে ডাটা প্রক্রিয়া নিজে থেকে করতে পারে।


ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা 


এডজ কম্পিউটিং শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে বেশ ভ‚মিকা রাখে। কখন যানবাহন যাবে, সেটা তথ্য বা ডাটা অনুযায়ী সিগন্যাল প্রদান করে শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট


এডজ সার্ভার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে লোকাল অনুরোধ বা রিকুয়েস্ট গ্রহণ করে রেসপন্স সময় দ্রæত করতে ডাটা প্রক্রিয়ার জন্য ক্লাউড ব্যবহার করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।   


কৃষিখাতে


ইনডোর কৃষিতে মাটি কিংবা কিটনাশক ব্যতীত ফসল উৎপাদনে ৬০ ভাগ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, সেন্সরনির্ভরপ্রক্রিয়াতে ডাটা সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ করে পানি ব্যবহার, পুষ্টির আধিক্যতা পরিমাপ এবং অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি করে ফসল উৎপাদন নিশ্চিত এবং উৎপাদন ভালো করা যায়।


রিটেইল সেক্টরে 


রিটেইল খাতে প্রচুর ডাটা বা তথ্য তৈরি হয়, বিশেষ করে প্রোডাক্ট বা স্টক ট্র্যাকিং, বিক্রয় তথ্য এবং ক্রেতা বিষয়ে আনুষঙ্গিক তথ্য। এডজ কম্পিউটিং ডাটার বৈচিত্র্যতা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়িকভাবে সেটা কতটা কাজে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে সাহায্য করে, যেমনÑ টার্গেট মার্কেটিং, বিক্রয় পূর্বাভাস এবং ভেন্ডরদের অর্ডার অপটিমাইজ মতো কাজে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।


উৎপাদন ব্যবস্থা 


প্রোডাক্ট উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ডাটা গ্রহণ করে দ্রুত সময়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রোডাক্ট উৎপাদনে কার্যকর।


এডজ কম্পিউটিংয়ে যে সমস্যায় পড়তে হয় 


এডজ কম্পিউটিং ব্যবহারে যেমন সুবিধা আছে, তেমনি কিছু সমস্যাতেও পড়তে হয়। যেমন


এডজ কম্পিউটিং ব্যয়


একটি প্রতিষ্ঠানে এডজ কম্পিউটিং কাঠামো বাস্তবায়ন বেশ কঠিন এবং ব্যয়সাপেক্ষ। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স এবং যন্ত্রপাতি সাজাতে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকতে হবে। 


পরিপূর্ণ ডাটা না থাকা 


এডজ কম্পিউটিং কিছু ডাটা নিয়ে কাজ করতে পারে যেগুলো নির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়নে উল্লিখিত থাকে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান তথ্য বা ডাটা চলে যেতে পারে।   


নিরাপত্তা ইস্যু


এডজ কম্পিউটিং ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখানে প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই পদ্ধতিতে ডাটা প্রক্রিয়া এডজ কম্পিউটিংয়ের বাইরে ঝুঁকি আছে। আইওটি ডিভাইসগুলোতে ডাটা নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।


বর্তমানে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, গেম কন্সোল, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্বয়ংক্রিয় যান, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ডিভাইসে ‘এডজ কম্পিউটিং’ প্রযুক্তির অবস্থান বিরাজমান। ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী সবার জন্য এডজ কম্পিউটিং অনেক বেশি সহজলভ্য হবে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি যেমনÑ ফাইভজি এবং ওয়াইফাই৬ এডজ বিস্তৃতে এবং ব্যবহারে ভবিষ্যতের বছরগুলোতে ভালো প্রভাব রাখবে। স্বয়ংক্রিয় কাজে এবং তথ্য খুঁজতে এই প্রযুক্তি বেশ দ্রæত এবং সাশ্রয়ী হবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।