'এখন চার্জ' বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারির চার্জ করতে দেশের প্রথম চার্জিং স্টেশন স্থাপন করেছে।
রাজধানীর তেগাঁওয়ের ব্যবসায়িক (নাবিস্কো) জেলায় ‘অডি বাংলাদেশ’-এর অফিস চত্বরে স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। চার্জিং স্টেশনটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
বর্তমানে, দেশে ৩৪টির মতো বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধিত রয়েছে। তবে এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
বিদেশে কয়েক কিলোমিটার পর বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন এবং পেট্রোল স্টেশন পাওয়া যাবে। বাংলাদেশও ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলচালিত কোনো পরিবহন থাকবে না। এই পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। চার্জিং স্টেশন স্থাপন তার প্রথম ধাপ।
চার্জিং স্টেশনের নীতিমালা অনেক আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল।’ প্রথম স্টেশন তৈরি করতে তার চেয়ে একটু বেশি সময় লেগেছে। তবে এটি কেবল শুরু, খুব দ্রুত সবাই মিলে আমরা ইলেকট্রিক যানবাহনে যাওয়ার চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে এ ধরনের চার্জিং স্টেশন সারা দেশে নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে ১১টি চার্জিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
"এই স্টেশনে, ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে গাড়ির চার্জ ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে হয়ে যাবে৷ গাড়িটি ১০০ শতাংশ চার্জে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার যেতে পারে৷ এই ধরনের ব্যাটারি চালিত গাড়ির জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ অবস্থান। কারণ এখানে ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা খুব কম। মাত্র একটি চার্জে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি।
বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিংয়ের জন্য "এখন চার্জ" অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি চার্জ করার জন্য যাত্রার সময় নির্দিষ্ট সময় অর্থ প্রদান এবং বরাদ্দ করা সম্ভব। বর্তমানে চার্জিং স্টেশনের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও আগামী বছর দেশীয় কারখানায় স্থাপন করা হবে।বড় বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতারা ঘোষণা করেছে যে তারা ২০৩০ সালের পর আর পেট্রোলিয়াম চালিত গাড়ি নির্মাণ করবেন না।
আমাদের দেশে বর্তমানে চালু থাকা ৫৭ লাখ ব্যক্তিগত যানবাহন চলছে, সেগুলোর কী হবে, তা নিয়ে আমাদের এখনই কাজ করতে হবে। কীভাবে এই যানবাহনলিকে ফেজ আউট, ডিসপোজ বা রূপান্তর করা যায়সেগুলোর নীতিমালা করা লাগবে।








০ টি মন্তব্য