https://gocon.live/

হার্ডওয়্যার

ইন্টেল ও এএমডিকে চীনের জাওক্সিনের চ্যালেঞ্জ

ইন্টেল ও এএমডিকে চীনের জাওক্সিনের চ্যালেঞ্জ ইন্টেল ও এএমডিকে চীনের জাওক্সিনের চ্যালেঞ্জ
 

কমপিউটারের ‘মস্তিষ্ক’ তথা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট অর্থাৎ সিপিইউর (CPU)  আবিষ্কারক বা নির্মাতা বলতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকেই বুঝি। এ যাবৎ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাল্লা দিয়ে সিপিইউ বা প্রসেসর অথবা মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাণ করতে পারেনি। যদিওবা বৃহৎ কমপিউটারের জন্য কেউ কেউ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল বলে জানা যায়। আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মাইক্রোপ্রসেসর অর্থাৎ একক চিপে নির্মিত এ সিপিইউগুলো প্রধানত পার্সোনাল কমপিউটার বা অন্য কথায় মাইক্রো কমপিউটারে ব্যবহার হয়। আমরা জানি পৃথিবীর প্রথম একক চিপ মাইক্রোপ্রসেসর ৪০০৪ প্রথম আবিষ্কৃত হয় ইন্টেলের ল্যাবে ১৯৭১ সালে। মাইক্রোপ্রসেসর ট্রানজিস্টর দিয়ে তৈরি হয়। দুই সহস্রাধিক ট্রানজিস্টরের সমন্বয়ে কৈরি প্রথম সিপিইউ বর্তমানে পরিবর্তিত হতে হতে বিলিয়ন ট্রানজিস্টরে গিয়ে ঠেকেছে। একবার ভাবুন ইন্টেলের কোরআই দশম প্রজন্ম বা এএমডির রাইজেন সিপিইউর কথা। এসব প্রসেসরে কয়েক বিলিয়ন ট্রানজিস্টর রয়েছে। এদিকে পিসি জগতে প্রথম দিকে কতিপয় প্রসেসর নির্মাতা দেখা গেলেও হালে দুটো কোম্পানি ইন্টেল ও এএমডির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।


ফ্যাবের ব্যয় এত বিশাল মাপের হয়েছে যে প্রচুর কোম্পানি ঝরে পড়েছে যা প্রথমে ইন্টেলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি কথা এখানে প্রণিধানযোগ্য যে, মূল প্রসেসর নির্মাতা কোম্পানিগুলোর শেকড় যুক্তরাষ্টে। বহির্বিশ্বে বিক্ষিপ্তভাবে কতিপয় নির্মাতা প্রচেষ্টা চালালেও তা বেশিদূর এগুতে পারেনি।


এক্স৮৬ সিপিইউর আধিপত্য


বর্তমান বিশ্বে এক্স৮৬ প্রসেসরের আধিপত্য সর্বসাকুল্যে বিরাজমান। অ্যাপল প্রথম দিকে মটোরোলা এবং আইবিএম প্রসেসর ব্যবহার করলেও ইন্টেল নির্মিত এক্স৮৬ প্রসেসর ব্যবহার করছে। অন্যদিকে আইবিএম কম্পাটিবল তথ্য সাযুজ্যপূর্ণ পিসিতে প্রথম থেকেই এক্স৮৬ প্রসেসর ব্যবহার হয়ে আসছে। দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় ইন্টেল বর্তমানে কোরআই দশম প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে ছেড়েছে আর অন্যদিকে তার প্রতিদ্ব›দ্বী এএমডি রাইজেনের তৃতীয় প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে অবমুক্ত করেছে। পারফরম্যান্স তথা দক্ষতায় তারা সমানে পাল্লা দিয়ে চলেছে। যে এএমডি প্রায় নেতিয়ে পড়েছিল দানবীয় ইন্টেলের কাছে সে-ই এখন রাইজেনের মাধ্যমে এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যে ইন্টেল এখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। এমনও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যে, আগামী দিনে বাজরের নিয়ন্ত্রণ এএমডির হাতে চলে যাবে! ইতিমধ্যে সার্ভার অঙ্গনে যেখানে এএমডির অস্তিত্বই তেমন ছিল না সেখানে এখন EPYC প্রসেসরের মাধ্যমে ইন্টেল জিয়ন (Xeon)  দুর্গে চিড় ধরিয়েছে। বলা যায়, ইন্টেলের এখন বেহাল দশা। 


এক্স ৮৬ প্রাঙ্গণে চীনের প্রবেশ


ভায়া (VIA) নামক একটি তাইওয়ানভিত্তিক চীনা কোম্পানি ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টরের সাইরিক্স (ঈুৎরী) বিভাগ এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিভাইস টেকনোলজির (IDT) ‘সেন্টাউর টেকনোলজি’ অধিগ্রহণের মাধ্যেমে এক্স৮৬ মাইক্রোপ্রসেসর জগতে প্রবেশ করে। ফলে, তারা ভায়া সি৩, সি৭, ন্যানো ইত্যাদি এক্স৮৬ প্রসেসর নির্মাণ করতে সক্ষম হয় এবং সহজলভ্য মূল্যে বাজারে ছাড়ে। ২০১৩ সালে সাংহাই মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট নামক চীনের একটি সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ‘জাওক্সিন’ (Zhaoxin) নামক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো চীনের বাজারের জন্য এক্স৮৬ কম্প্যাটিবল/সাযুজ্য প্রসেসর নির্মাণ করা হয়। আইনগত বাধা কাটিয়ে উঠার জন্য ২০০৩ সালে ভায়া ইন্টেলের সাথে দশ বছরব্যাপী ক্রস লাইসেন্স প্যাটেন্ট অনুমোদন পায়, ফলে এক্স৮৬ সাযুজ্য প্রসেসর ডিজাইন ও নির্মাণের ক্ষেত্রে আর বাধা থাকেনি। জাওক্সিন ইতিমধ্যে ভায়ার প্রচলিত ইসাইয়া কোরের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি চিপের সিরিজ বাজারে ছাড়তে সক্ষম হয়। বছর পরিক্রমায় ভায়া ইসাইয়া স্থাপত্য থেকে ক্রমান্বয়ে উচ্চ-দক্ষতার সিপিইউ তথা প্রসেসর কোর নির্মাণে সক্ষম হয়। অর্থাৎ উচ্চ ক্লক গতি, নি¤œতর প্রসেস নোড এবং বহু কোরের পণ্য বাজারে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানের সিপিইউ পরিবারের কোড নাম হচ্ছে লুজিয়াহুই এবং এটি ব্যবহার করে -KX-6000 (কেএক্স-৬০০০) সিরিজ উৎপাদিত ও বাজারজাত হচ্ছে। বলা বাহুল্য, হাল আমলের ইন্টেল ও এএমডির প্রসেসরের তুলনায় এটি তেমন শক্তিশালী নয়, তবুও এ পর্যন্ত যে আসতে পেরেছে তা বিস্ময়ের ব্যাপার। KX-6000 সিরিজের সিপিইউ KX-U6780Aতে ৮ কোর এবং ৮ মেগাবাইটের এলটু (L2) ক্যাশ মেমোরি রয়েছে যাতে কোনো এলথ্রি (L3)  নেই। এটি ২.৭ গিগাহার্টজে পরিচালিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে DX11.1  গ্রাফিক্স সমর্থিত জিপিইউ রয়েছে। এ ছাড়া এটি প্রচলিত স্ট্যান্ডার্ড AVX, SSE4.2, PGLe3.0, USB3.1 সমর্থন করে। এর বিদ্যুৎ ব্যয়ের পরিমাণ হচ্ছে ৭০ ওয়াট। বেঞ্চমার্কের প্রেক্ষিতে বলা যায় এটি কোর টু ডুয়ো ই৭৪০০ বা কোরআই৫-৫২০০’র অনুরূপ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে সিঙ্গেল থ্রেডের আলোকে। মাল্টি থ্রেডের ক্ষেত্রে এটিকে পেন্টিয়াম জি৪৬০০ বা এএমডির এফএক্স৬৩০০’র অনুরূপ বলা যায়। এ কথা বলা যায় যে, এটি ইন্টেল বা এএমডির তুলনায় ৬-৮ বছর পিছিয়ে আছে। তবে যদি ইন্টেল বা এএমডির ৬-৮ বছরের পুরনো চিপের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে এটি বেশ ভালোভাবেই পাল্লা দিচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টরে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য এবং সেই সাথে স্বদেশি চিপের পারফরম্যান্স উঁচু স্তরে নেয়ার জন্য চীন বেশ আক্রমণাত্মক নীতি অবলম্বন করেছে। বর্তমানে যদিও ৭ ন্যানোমিটারে উৎপাদন ক্ষমতা তারা অর্জন করেনি, তথাপি চীনের বৃহত্তম ফাউন্ড্রি এসএমআইসি (Semiconductor Manufacturing Int’l Corp) ১৪ ন্যানো ওয়েফারের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে, তবে একথা বলা যায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন শিল্পে তারা অতি শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া এবং তাইওয়ানকে ছুঁতে যাচ্ছে। ফলে কথা উঠেছে গত এক দশকে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের সিপিইউ অঙ্গনে যে দ্বিমুখী যুদ্ধ ইন্টেল এবং এএমডি করে যাচ্ছে তার অবসান হতে যাচ্ছে কিনা অর্থাৎ তৃতীয় প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে ভায়া অবস্থান নিতে যাচ্ছে কিনা! এতদিন ভায়া নীরবে এমবেডেড সিস্টেম বা নি¤œ বিদ্যুৎ পরিচালিত ক্ষুদ্র ফর্ম ফ্যাক্টরের দিকে নজর দিয়েছে যদিও তাদের সে পণ্যগুলো ইন্টেলের অ্যাটম চিপের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু জাত নির্মাতা ভেন্ডররা এগুলোকে পাত্তা দেয়নি বলা যায়। বর্তমানে খবর পাওয়া গেছে যে, জাওক্সিন চীনা বাজারে এক্স৮৬-৬৪ স্থাপত্যের সিপিইউ নিজস্ব ব্র্যান্ডে ছাড়তে যাচ্ছে সম্প্রতি। তবে এখনো খবর পাওয়া যাইনি চীনা বাজার অতিক্রম করে এটি বিশ্বের অন্য কোনো বাজার সম্প্রসারণ করবে কিনা! এখানে একটি কথা বলা যেতে পারে যে, ভায়া ইসাইয়া চিপ ৪০ ন্যানো এবং পরবর্তীতে জাওক্সিনের তঢ-ঈ ২৮ ন্যানোমিটারে তৈরি হয়েছিল। 


চীনা কোম্পানির সাথে এএমডির যৌথ প্রকল্প


কয়েক বছর আগে এএমডি চীনের একটি কোম্পানির সাথে ‘থেটিক’ (THATIC) নামে এেকটি যৌথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এএমডিকে আক্রমণ করে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ফলে ২০১৬ সালে সম্পাদিত চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করে এর কার্যক্রম স্থগিত করে অতি সম্প্রতি। এএমডির মুখপাত্র অবশ্য রিপোর্টকে ভুলে ভরা বলে উল্লেখ করে জানায় যে, থেটিক সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপিত হয়নি এ নিবন্ধে। তারা দাবি করে যে, চুক্তি সম্পাদনের প্রাক্কালে সব বিষয় প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য বিভাগকে জানানো হয় এবং তারা উভয়েই সম্মুখে অগ্রসর হবার জন্য সবুজ সংকেত প্রদান করে। ফলে এএমডি যৌথ প্রকল্পের ব্যাপারে অগ্রসর হয়। এএমডি দাবি করে নি¤œ দক্ষতার প্রসেসরের ব্যাপারে তারা এ প্রকল্পের টার্গেট ঠিক করে। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয় যে, প্রথম পরবর্তী প্রজন্মের সুপারকমপিউটার নির্মাণে যুুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ করাতে সাহায্যকারী হিসেবে এএমডি ভ‚মিকা পালন করছে। টপ ৫০০ অর্থাৎ পাঁচশত প্রথম স্তরের সুপার কমপিউটারের প্রায় সবটাই ইন্টেল চিপ দিয়ে নির্মিত। ফলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নিবন্ধের দাবিকে খুব যৌক্তিক মনে হয় না; যদিও এএমডির অপটারনভিত্তিক ‘হায়গন ধায়না’ ৪৩ নম্বরে ঠাঁই নিয়েছে টপ ৫০০ তালিকায়। চীনের সর্বোকৃষ্ট সুপার কমপিউটার তাইহুলাইট আলফা বা ভিন্ন কোনো চিপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার ইনস্ট্রাকশন সেট এএমডি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে এমটি কথা বলা যায় যে, বিশ্বে যত সুপার কমপিউটার আছে তার ৫ শতাংশ বা নি¤œ পর্যায়ে এএমডির প্রসেসর ব্যবহার করছে।


অনেকে মনে করেছে যে ৭ ন্যানো রাইজেনকে চীনা কোম্পানিকে হস্তান্তর করবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। আসলে তা নয়। এএমডি রাইজেন এর আইপি (Intellectual Property) কখনই হস্তান্তর করবে না।


জাওক্সিনের ভবিষ্যৎ


জাওক্সিন প্রকৃতপক্ষে হুবহু ইন্টেল ও এএমডির পন্থা অবলম্বন করেছে। প্রথমে ২০১৫ সালে স্ট্যান্ড অ্যালোন (Stand alone) সিপিইউ হিসেবে নির্মাণ করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ডুয়াল-ডাই (আট কোর) হিসেবে সম্প্রসারিত করে। ২০১৭ সালে চিপে আই/ও চিপসেট এবং পিসিআই এক্সপ্রেসকে অন্তর্ভুক্ত করে অর্থাৎ ইন্টেল এএমডি যেভাবে অগ্রসর হয়েছে জাওক্সিনও একইভাবে অগ্রসর হয়েছে। ZX-5000  পরিবারের সিপিইউতে ডুয়াল-ডাইয়ের পরিবর্তে একক ডাই/ছকে সমন্ত ফিচার এবং সক্ষমতা নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও এসব চিপে চার বা আট কোর প্রসেসর রয়েছে।


এ বছরের মার্চ মাসে KX-6000 সিরিজের সিপিইউ তথা প্রসেসর চিপ বাজারে আসছে, যা ১৬ ন্যানোতে নির্মিত হবে এবং এর ক্লকগতি হচ্ছে ২.৭/৩.০ গিগাহার্টজ। ২৮ ন্যানো থেকে ১৬ ন্যানোতে উত্তরণ একটি বড় পদক্ষেপ সন্দেহ নেইÑ এতে করে তারা সিপিইউকে আরো শক্তিশালী করবে এবং স্থাপত্যকে ঢেলে সাজাবে। সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার দেখা যেতে পারে এক্স৮৬ সাম্রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসেবে ভায়া তথা জাওক্সিন স্থান দখল করতে পারে কিনা! সন্দেহ নেই, এতে আমজনসাধারণ উপকৃত হবে, কারণ চিপের মূল্য আরো সুলভ হবে এবং সেই সাথে পিসিরও। 


সূত্র : ইন্টারনেট

ফিডব্যাক : [email protected]








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।