২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নির্বাচন সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছে টিকটক। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেটিকটক দক্ষিণ এশিয়ার হেড অফ পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশনস ফেরদৌস মোত্তাকিন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য, সহিংসতা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচাররোধে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনসে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এসব নিয়মের ভিত্তিতে নির্বাচনসম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সরিয়ে দেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। ভোটার নিবন্ধন, প্রার্থীর যোগ্যতা, ব্যালট গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফলসম্পর্কিত এমন আরও বিষয় এতে বিবেচনা করা হবে।
যেসব আধেয় বা কনটেন্ট ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে, ভোট প্রদানে বাধা দেয় বা সহিংসতা সৃষ্টি করে, টিকটকের নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। টিকটকের ৪০ হাজারের বেশি কর্মী ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে এসব নীতি প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার ও সামাজিক সংস্থা এ ক্ষেত্রে যুক্ত থাকে।
নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করতে এবং সেগুলো অপসারণ করতে স্থানীয় ও আঞ্চলিক ফ্যাক্ট চেকারদের সঙ্গেও কাজ করেছে টিকটক। যেসব আধেয় রিভিউ বা যাচাইয়ের জন্য এবং অসত্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেগুলো ‘ফর ইউ’ ফিডের জন্য সীমিত থাকে। এ ছাড়া টিকটক ব্যবহারকারী ও ভিডিও নির্মাতা (কনটেন্ট ক্রিয়েটর) দুই পক্ষকেই বিভ্রান্তিকর আধেয় সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।
টিকটকে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার’ নামে একটি হাব তৈরি হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভোটের প্রক্রিয়া, ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচনের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। যেখানে ব্যবহারকারীদের জন্য স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে তথ্য প্রদান করা হয়।ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা নিরপেক্ষ ও অবাধ রাখার লক্ষ্যে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে টিকটকের নীতিমালা রয়েছে।
যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রচার, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ করা টিকটকে নিষিদ্ধ। যার ফলে সরকার, রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোর ব্যবহার টিকটকে হবে সীমিত আকারে।








০ টি মন্তব্য