https://gocon.live/

প্রযুক্তি

বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
 

বাংলাদেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব


করোনাকালে আজ সারা বিশ্বে মানুষ ঘরবন্দি সময় পার করছে। তাই অলস সময় কাটাতেই হোক বা অফিসের কাজেই হোক, ঘরে ঘরে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তিই এখন মানুষকে কার্যত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে, ফলে প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। স্বল্প সময় অন্তর অন্তর বের হচ্ছে নিত্য নতুন মডেলের প্রযুক্তিপণ্য, যেগুলো একই সাথে পূর্ববর্তী মডেল অপেক্ষা গুণে-মানে শ্রেয়তর। ফলে অনেকেই এখন দ্রুততম মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঘন ঘন পরিবর্তন করছে। গত ৩০-৪০ বছরে যে পরিমাণ ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার হতো তার থেকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বর্তমানে। পুরনো ও অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে অবধারিতভাবেই ই-বর্জ্যরে পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্যই আমাদের দেশে ই-বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অতীব জরুরি। 


সবার আগে আমাদের জানতে হবে ই-বর্জ্য কী? সহজভাবে বলতে গেলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলতে পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতিকে বোঝায়। এগুলো মূলত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যেমন ফ্রিজ, ক্যামেরা, মাইক্রোওয়েভ, কাপড় ধোয়ার ও শুকানোর যন্ত্র, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি যার ব্যবহার বা উপযোগিতা নিঃশেষ হয়েছে কিংবা যা পরিত্যক্ত হিসেবে আবর্জনার স্ত‚পে জায়গা করে নিয়েছে। এককথায় বলতে গেলে, ব্যবহারের অযোগ্য ইলেকট্রনিক দ্রব্যকে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বলা যায়। 


ইলেকট্রনিক বর্জ্য বর্তমান সময়ের একটি অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক সমস্যা। দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ই-বর্জ্যরে পরিমাণ, যা সব দেশের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের Global E-Waste Monitor 2020 -এর  প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৩.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। বিশ্বে চীন ই-বর্জ্য সৃষ্টিতে প্রথম স্থানে রয়েছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। অপরদিকে Statista-এর তথ্যানুসারে শুধু ২০১৯ সালেই চীন ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের মতো ই-বর্জ্য উৎপন্ন করেছে। বিবিসির তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ই-বর্জ্য তৈরির অন্যতম পণ্যের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ। বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর দেশে প্রায় ৪ লাখ টন ই-বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। অপরদিকে গত ২ ফেব্রæয়ারি ঢাকায় মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস’ আয়োজিত এক কর্মশালায় জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই বিপুলসংখ্যক ই-বর্জ্যরে সিংহভাগেরই ঠাঁই হয় নদী-নালা, খাল-বিল বা বিভিন্ন খোলা জায়গায়; যার থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে এবং অপচনশীল অংশ মাটিতে মিশে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ হুমকির মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। এছাড়া জানা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশে যে পরিমাণ শিশুশ্রমিক মৃত্যুবরণ করে তার প্রায় ১৫ শতাংশ ই-বর্জ্যজনিত কারণে হয়ে থাকে। 


ই-বর্জ্যরে নানাবিধ ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। এটি একদিকে যেমন পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটাচ্ছে, অপরদিকে মানবদেহের ওপর এটির প্রতিক্রিয়া ভীষণ ভয়াবহ ধরনের। ই-বর্জ্যে লেড, অ্যান্টিমনি, বিসমাথ, টিন, নিকেল, কোবাল্ট, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন ধাতব ও অধাতব মৌল বিদ্যমান থাকে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ই-বর্জ্যে থাকা লেড জীবজগৎ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই উপাদানটি মানবদেহে প্রবেশ করলে মস্তিষ্ক ও কিডনির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। অপরদিকে অ্যান্টিমনি মৌলটির কারণে চোখ, ত্বক, হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া ক্যাডমিয়াম ধাতু ফুসফুসের ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের সমস্যা, আলসার ও অ্যালার্জি প্রভৃতি সৃষ্টি করতে পারে। 


ই-বর্জ্যরে ঝুঁকি এড়াতে গেলে সর্বাগ্রে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো এটির উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস ঘটানো। ই-বর্জ্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে আজ বেশ সুপরিচিত। যদিও দেশটির জনসংখ্যার অনুপাতে মুঠোফোন ব্যবহারের সংখ্যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি তবুও দেশটি অত্যন্ত সফলতার সাথে ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করছে। সুইজারল্যান্ড তার নাগরিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ই-বর্জ্যরে প্রায় ৯৫ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করে থাকে। ই-বর্জ্য হ্রাসকরণে এই ঈর্ষণীয় সাফল্যের পরও তারা তাদের নাগরিকদের একটি ডিভাইস দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। ডিভাইসটি নষ্ট না হওয়া বা উপযোগিতা নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটির ব্যবহার চালিয়ে যেতে তারা নাগরিকদের বিশেষ তাগিদ দেয়। যাদের আর্থিক সক্ষমতা কম তাদেরকে পুরনো ডিভাইসগুলো প্রদান করার ব্যাপারে সেখানে বেশ সচেতনতা রয়েছে। এমনকি সেখানে নতুন মুঠোফোনের বদলে ব্যবহৃত ফোন ক্রয়েরও উৎসাহ দেওয়া হয়।


আমরা যদি বাংলাদেশের দিকে খেয়াল করি তবে দেখতে পাব যে, ই-বর্জ্য সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনো সচেতনতা নেই বললেই চলে। চাইনিজ মুঠোফোনে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। বর্তমানে এ ফোনগুলো অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ কিন্তু দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার নাগালেই রয়েছে। মুঠোফোনসহ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান ইত্যাদি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাদিও আজ বেশ সুলভ ও সহজলভ্য বিধায় মানুষ হরহামেশাই এগুলো কিনছে। প্রয়োজন ছাড়াই অনেকেই এখন শুধুমাত্র শখের বসেই প্রযুক্তিপণ্যের মডেল পরিবর্তন করছে, যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে পুরনো ও ব্যবহৃত পণ্যগুলো। এতে করে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। দেশে সীমিত পরিসরে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করছে যে দুটি প্রতিষ্ঠান তার একটি এনএইচ এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যানুসারে, শুধুমাত্র টেলিকম অপারেটর থেকেই বছরে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন ই-বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতি বছর ই-বর্জ্য বাড়ছে ২০ শতাংশ। এটা নিঃসন্দেহে এক অশনিসংকেত আমাদের জন্য। 


তবে আশাব্যঞ্জক খবর এই যে, অতি সম্প্রতি সরকার ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ অনুমোদন করেছে এবং এটি সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। অত্র বিধিমালার ২ (৪) বিধিতে বলা হয়েছে, ই-বর্জ্য বলতে এমন কোনো ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক সামগ্রীকে বোঝাবে যার অর্থনৈতিক জীবন সমাপ্ত হয়েছে অথবা ব্যবহারকারীর কাছে যার প্রয়োজন বা উপযোগিতা সমাপ্ত হয়ে গেছে অথবা যা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছে বা অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। অত্র বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, ই-বর্জ্য মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় কোনো প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ী বা দোকানদার, সংগ্রহ কেন্দ্র, চ‚র্ণকারী, মেরামতকারী এবং পুনর্ব্যবহার উপযোগীকরণকারী ই-বর্জ্য ১৮০ দিন বা ছয় মাসের বেশি মজুদ করতে পারবে না। এ বিধিমালার ফলে বিদেশ থেকে এখন আর কেউ পুরনো বা ব্যবহৃত মোবাইল বা ল্যাপটপ আমদানি করতে পারবেন না। বিধিমালাটি নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ কিন্তু এটির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 


ই-বর্জ্য নিরসন ও হ্রাসকরণ নিশ্চিতে জনগণকে আগে সচেতন করতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস কেবল শিক্ষিত মানুষই ব্যবহার করে না, সকল শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে। সেজন্য শুধু বিধিমালা কাগজে-কলমে থাকলে হবে না মানুষকে এর প্রয়োজনীয়তাও বোঝাতে হবে। সর্বপ্রথম বাংলাদেশে উৎপন্ন ই-বর্জ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ই-বর্জ্য নতুন ধারণা হওয়ায় এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষের স্বচ্ছ ধারণা নেই। পুরনো ইলেকট্রনিক পণ্য ফেরত দিলে যদি প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলেও ই-বর্জ্যরে ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্তকরণের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ই-বর্জ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। পরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিটি পাঠে, প্রতিটি আলোচনায় ই-বর্জ্যরে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করতে হবে। এছাড়া ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি


১. বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে ই-বর্জ্যরে একটি করে ডাটাবেজ তৈরি করা।

২. সমন্বিত ও কার্যকরী ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা।

৩. ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ব্যবস্থা করা।

৪. আধুনিক ই-বর্জ্য ট্র্যাকিং চালু করা।

৫. দেশব্যাপী ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো।

৬.  ই-বর্জ্যরে পরিমাণ নির্ণয়ের সুবিধার্থে প্রতি বছর সার্ভে করা। 

৭. মাল্টিপারপাস ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া।

৮. ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সঠিক কলাকৌশল তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে শেখানো।

৯. জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে E-Waste App প্রবর্তন করা।

১০. পুরনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সুলভ মূল্যে মূল কোম্পানি বা তাদের প্রতিনিধি কর্র্তৃক ক্রয়ের ব্যবস্থা করা।

১১. যোগাযোগমূলক উপকরণ অর্থাৎ পোস্টার, লিফলেট, ব্রোশিউর ইত্যাদি তৈরির মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ।


সর্বোপরি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে থ্রি-আর ফর্মুলার (Reuse, Reduce, Recycle) প্রয়োগ করাটা এখন সময়ের দাবি। ই-পণ্যের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তিপণ্যের পুনর্ব্যবহারের বিষয়টিতে জোর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বর্তমান যুগ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যুগ। প্রযুক্তির চরম বিকাশের সাথে সাথে ই-বর্জ্যরে হারও বাড়তে থাকবে। কাজেই ই-বর্জ্যকে পুরোপুরি হ্রাস করা সম্ভবপর না হলেও সময়োপযোগী, সমন্বিত ও কার্যকরী পদক্ষেপের দ্বারা ই-বর্জ্য হ্রাসকরণে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের অগ্রসর হওয়টা জরুরি। এ কথা সর্বাংশে সত্য যে, ই-বর্জ্য নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ই-বর্জ্যরে প্রবল ঝুঁকি থেকে রক্ষা করাটা আমাদের এখন বড় দায়িত্ব। জনসচেতনতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং কার্যকরী বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপই পারে আমাদের ই-বর্জ্যরে ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে। 








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।