https://powerinai.com/

নির্বাচন ঘিরে হার্ডলাইনে ফেসবুক ও টিকটক

নির্বাচন ঘিরে হার্ডলাইনে ফেসবুক ও টিকটক নির্বাচন ঘিরে হার্ডলাইনে ফেসবুক ও টিকটক
 
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে, রাজনৈতিক দলগুলো অনলাইনে এবং ব্যক্তিগতভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

অনলাইন সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহারে সরকারী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার, টিকটক এবং ইউটিউবের গ্রুপগুলো বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত, যেহেতু দেশের ১০ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবে সক্রিয়, তাই দলগুলি তাদের জন্য বিশেষ কৌশল বেছে নিয়েছে।


গুগল, টিকটোক এবং ফেসবুক ইতিমধ্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে কৌশল নিয়ে বৈঠক করেছে। বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ১৩ কোটির মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

এরমধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করেন ৫ কোটির বেশি মানুষ। এদিকে স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফরমেশন রিসার্চ ল্যাবের (ইনফোল্যাব) এক বিশ্লেষণ বলছে, ফেসবুক-এ ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ পেজের অনুসারী ৩৪ লাখ, বিএনপির মিডিয়া সেলের ২৫ লাখ।

তবে এক বছর আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির পেজের পোস্টের সংখ্যা বেশি। উভয় দলই নিজেদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে আন্তসংযুক্ত নেটওয়ার্কগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।

 এমন পরিস্থিতিতে প্রচার-প্রচারণার নামে যেনো দলগুলো মিথ্যা তথ্য, গুজব বা ঘৃণা ছড়াতে না পারে সে জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে ফেসবুক, টিকটক ও গুগল।

এদের মধ্যে গত ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত ফেসবুক এরই নির্বচনী প্রচারণা নীতিমালা অনুযায়ী, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় শৃঙ্খলা আনতে ৪০ হাজার কর্মী কাজ করছে।

২০১৬ সালেই এই কাজে ২০ বিলিয়নের অধিক ডলার বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি। এসব কর্মী নির্বাচনী প্রকিয়া কিংবা ভোট দানে বাধা বা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে অথবা যেসব বক্তব্যের কারণে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হতে পারে এমন কন্টেন্ট সরিয়ে পড়ার আগেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

ফেসবুক এর মালিক প্রতিষ্ঠান মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ একটি ব্লগ পোস্টে বলেছেন, "বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, আমরা সময়ের সাথে সাথে আমাদের নীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তা ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করব।

" আমাদের প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক বড় নির্বাচনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের রাজ্য ও আঞ্চলিক নির্বাচনের সময় বিশেষ নীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।"

কোনো রাজনৈতিক (পলিটিক্যাল) বা সামাজিক (সোশ্যাল) বিষয় নিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় এআই বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে কিনা ২০২৪ সালের প্রথম থেকেই বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাতে হবে।

যখন বিজ্ঞাপনটিতে একটি ফটোরিয়ালিস্টিক ইমেজ বা ভিডিও বা বাস্তবসম্মত সাউন্ডিং অডিও থাকে এটি তখনই প্রযোজ্য হবে,। বিজ্ঞাপনদাতাকে পরিষ্কার করে দিতে হবে, সেই ছবি, ভিডিও বা অডিও সত্যিকারের।

বিজ্ঞাপনদাতাকে এআই-এর কারসাজিতে কনটেন্টে কোনো কারিকুরি করা হয়নি, তা-ও প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা ভোটার নিবন্ধন, প্রার্থীর যোগ্যতা, ব্যালট গণনা এবং নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কিত এমন আরো বিষয় এতে বিবেচনা করছে।

৪০ হাজারের বেশি কর্মী এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করতে এবং টিকটক সেই সাথে তা অপসারণ করতে স্থানীয় এবং আঞ্চলিক ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে কাজ করেছে।

সেগুলো ‘ফর ইউ’ ফিডের জন্য রেস্ট্রিকটেড থাকে যেসব কনটেন্ট রিভিউ বা যাচাইয়ের জন্য এবং অসত্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়,। এছাড়া, ভিউয়ার ও ক্রিয়েটর উভয়কেই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।