ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট এই বছরের প্রথম দিনে ব্ল্যাক হোল অনুসন্ধান করতে মহাকাশে পাড়ি দিলো। শুধুমাত্র নাসা এর আগে এই ধরনের এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে।
এক্সপোস্যাট শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল (পিএসএলভির) এর যাত্রা শুরু করে।
এক্সপোস্যাট শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল (পিএসএলভির) এর যাত্রা শুরু করে।
এটি পিএসএলভি-র এটি ৬০তম মহাকাশ যাত্রা। এই যাত্রার সময়, স্যাটেলাইটটি মহাকাশে ব্ল্যাক হোল অনুসন্ধান করবে এবং পর্যবেক্ষণ করবে এবং এক্সপোস্যাটের ৫০টি উজ্জ্বল শক্তির উত্স পর্যবেক্ষণ করবে।
বিজ্ঞানীরা এই কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলোকেও অধ্যয়নের জন্যও ব্যবহার করবে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে।
নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করছে। মাত্রই বছর শুরু হলো। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে।
ইসরোর পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়েছে, আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে।
আয়ু পাঁচ বছর মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির। এক্সপোস্যাট পৃথিবীর ওপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার।
এক্সপোস্যাটে রয়েছে দু’টি পেলোড- পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। এই পেলোড তৈরি করেছে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথ ভাবে।
এক্সপোস্যাট মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে। ইসরো এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে। এই স্যাটেলাইট কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে।
মহাকাশে যখন কোনও তারার ‘মৃত্যু’ হয় অর্থাৎ কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয় তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর এবং নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষীয় বলের অধিকারী ব্ল্যাক হোল।








০ টি মন্তব্য