গত এক দশকে ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট সংযুক্তির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার ১০৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ টেলিডেনসিটি (ভয়েস ও ইন্টারনেট সাবস্ক্রিপশন), ৭১ দশমিক ৮৩ শতাংশ ইন্টারনেট পেনেট্রেশন, ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড, ও ৬৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযুক্তি অর্জন করেছি আমরা (সূত্র: বিটিআরসি)। এদিকে একই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার। এছাড়াও ইয়ার-অন-ইয়ার লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ বা ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন বা অন্তর্জাল নিছক কোনো বিলাসিতা নয়। অন্তর্জালই ভবিষ্যত জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন সুরক্ষার গুরুত্ব সবার উপরে। সেই কারনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন) রহিতক্রমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে নতুনভাবে বিধান প্রণয়নকল্পে ২০২৩ সনের ৩৯ নং আইন হিসেবে ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে কার্যকর করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩। এই আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ১৭ থেকে ৩৩ ধারায় মোট ১৭টি অপরাধের বিবরণ ও শাস্তির বিধান আছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ আইনের আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি প্রাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (ক) বেআইনি প্রবেশ করেন; বা (খ) বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট বা অকার্যকর করেন অথবা করার চেষ্টা করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির কাজটি হবে একটি অপরাধ। (ক) ধারায় কোন ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৩ বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন; এবং (খ) এর অধীন যদি কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৬ বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
এই আইনের আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি (ক) কোন কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্ক হতে কোন উপাত্ত, উপাত্ত ভাঙার তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন; (খ) কোন কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন; (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম, কমপিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কমপিউটারের উপাত্ত-ভান্ডারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোন প্রোগ্রামের ক্ষতিসাধন করেন বা করার চেষ্টা করেন; (ঘ) কোন কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন উপায়ে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন; (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোন পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন; বা (চ) কোন কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোন ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির অনুরূপ কাজ হবে একটি অপরাধ।’ এ ধারায় সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অনধিক ৭ বছরের কারাদন্ডে বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড।
আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি (ক) রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা এর কোন অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করার অভিপ্রায়ে কোন কমপিউটার বা কমপিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বে-আইনি প্রবেশ করেন বা করান: (খ) কোন ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়ার প্রবেশ করান যার ফলে কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; বা (গ) জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেন; বা (য) ইচ্ছাকৃতভাবে জ্ঞাতসারে কোন কমপিউটার, কমপিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোন তথ্য-উপাত্ত বা কমপিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এইরূপ কোন সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কমপিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যা বৈদেশিক কোন রাষ্টে্রর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃংখলা পরিপন্থি কোন কাজে ব্যবহৃত হতে পারে অথবা বৈদেশিক কোন রাষ্ট্র বা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হতে পারে, তাহলে ওই ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে সাইবার সন্ত্রাস অপরাধ। যদি কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহলে এটি হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’ এ ধারায় ‘হ্যাকিং’-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘(ক) কমপিউটার তথ্য ভান্ডারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা এর মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনভাবে ক্ষতিসাধন; বা (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোন কমপিউটার, সার্ভার, কমপিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে এর ক্ষতিসাধন।’
আইনের অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য ২১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণা চালান বা এতে মদদ প্রদান করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোন ব্যক্তি যদি কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
আইনের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি ও ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এইরূপ কোন তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্বেও, কোন ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে কোন তথ্য- উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা রাষ্টে্রর ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা উদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলে জ্ঞাত থাকা সত্বেও, কোন তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির এ ধরনের কাজ হবে একটি অপরাধ। যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ধারা ২৬ এ বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অপর কোন ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, বিক্রয়, দখল, সরবরাহ বা ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির এ ধরনের কাজ হবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কেউ কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যা অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহলে ওই ব্যক্তির এ ধরনের কাজ হবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোন ব্যক্তি যদি কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এ ধরনের কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সপ্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির এ ধরনের কাজ হবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোন ব্যক্তি যদি কোন অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।’
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ আইনের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোন পুলিশ অফিসারের এরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন স্থানে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছে ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোন উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হওয়ার বা করার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবন্ধ কেও ওই স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; ওই স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কমপিউটার, কমপিউটার সিস্টেম, কমপিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ: ওই স্থানে উপস্থিত যেকোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করাসহ ওই স্থানে উপস্থিত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করেছেন বা করছেন বলে সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।’
আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে এটি হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দন্ড নির্ধারিত রয়েছে সেই দন্ডে দন্ডিত হবেন। কোন ব্যক্তি যদি উপধারা (১) এর অধীন এই আইনের একাধিক ধারায় কোন মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে এই ধারায় বর্ণিত অপরাধসমূহের মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যাহা দন্ডের পরিমাণ বেশি হয় এটিই দন্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে। কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ আইন অনুসারে, কমপিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কমপিউটার সিস্টেম বা কমপিউটার নেটওয়ার্কে বে-আইনি প্রবেশের জন্য ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, কমপিউটার তথ্য ভান্ডারের তথ্য চুরি, বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণের জন্য অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, হ্যাকিং এর জন্য অনধিক ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, জালিয়াতির জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্য গোপন করার জন্য অনধিক এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্য বিকৃতির জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের অপব্যবহারের জন্য অনধিক এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের উৎস গোপন করার জন্য অনধিক এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের অসত্যতা প্রচার করার জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের মাধ্যমে অপপ্রচার করার জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের মাধ্যমে ক্ষতিসাধনের জন্য অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের মাধ্যমে হুমকি দেওয়ার জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড, তথ্যের মাধ্যমে নৈতিকতা বিনষ্ট করার জন্য অনধিক দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনে যাই থাকুক না কেন সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ অনুসারে এই আইনের অধীনে প্রাপ্ত বা সংগৃহীত কোন ফরেনসিক প্রমাণ বিচার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হবে। একইসাথে অপরাধ সংঘঠনে ব্যবহূত বস্তু বা উপকরণসমূহ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তদন্তকারী অফিসার সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব পাবার ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। তবে তার নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে ১৫ দিন এবং সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর অনুমোদন সাপেক্ষে ৩০ দিন বা ট্রাইব্যুনাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন।
এরই মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর অধীনে ধারা ৫ এর উপ-ধারা ১-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে ‘জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’ গঠন করেছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে গত ১৭ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত ও বিচার সাইবার ট্রাইব্যুনাল করবে। সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩—এর অধীন কোন মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করবেন। প্রয়োজনে আরও ৯০ দিন সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এর অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে অবহিত করে মামলা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন। সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর রায়ের বিরুদ্ধে সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করা যাবে। যেহেতু সরকার এখনও সাইবার আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নাই, সেহেতু সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাঃ
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার প্রথম মাসেই ঢাকায় মামলা হয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের ১২টি এবং থানায় হয়েছে ২টি মামলা। বেশির ভাগ মামলাই হয়েছে মানহানিসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে। এর বাইরে চারটি মামলা হয়েছে প্রতারণা ও হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনায়। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলাগুলো পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে মামলাগুলো করেছেন ভুক্তভোগীরা। সাইবার নিরাপত্তা আইনের গেজেট প্রকাশের সাত দিনের মাথায় বিগত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা করেন কেরানীগঞ্জের এক নারী। তাঁর অভিযোগ ছিল ফটোশপের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের এক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর ছবি জুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে যে ১২টি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে ৬টির বাদী ছিল নারী। থানায় যে দুটি মামলা হয়েছে, তার একটির বাদী জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক কাজী শামীম উজ্জামান। নিটোরের সেন্ট্রাল হিউম্যান রিসোর্স ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইআরএস) সফটওয়্যারে হ্যাকিংয়ের অভিযোগে তিনি ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় বিগত ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর সাইবার নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়। এজাহারের ভাষ্য অনুযায়ী, অজ্ঞাতনামা আসামিরা বিগত ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট ভুক্তভোগী এক নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করেন। হ্যাক হওয়া আইডি ফেরত পেতে ওই নারী প্রতারক চক্রের সদস্যদের ৫০ হাজার টাকাও পাঠান। মামলার আলামত হিসেবে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথিত হ্যাকারদের খুদে বার্তা জমা দিয়েছেন বাদী। তবে এখন পর্যন্ত আসামিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার, বিনা অনুমতিতে এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ফোনালাপ প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এরূপ স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিওসংবলিত বিভিন্ন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, নতুন শিক্ষাক্রমসহ দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের মাধ্যমে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করা, প্রেস থেকে এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক চুরি করে বিনা অনুমতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিগত ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর এবং বিগত ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার মতিঝিল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে এনসিটিবির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। দুই মামলায় ছয় অভিভাবকের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দায়ের করা দুই মামলায় নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত চার অভিভাবককে দুদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ বিগত ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলায় হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজি হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সাইবার অপরাধ কমানোর উপায়ঃ
১। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীর তালিকায় শীর্ষে থাকে। সুতরাং তাদের মাঝে বেশি বেশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২। একই পাসওয়ার্ড বার বার ব্যবহার না করা।
৩। অনেকেই পাসওয়ার্ডকে জটিল ও দীর্ঘ করতে গিয়ে ভুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন ঝামেলায় পড়েন। সেক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড হিসেবে পছন্দের কোনো একটি বাক্য ব্যবহার করা যেতে পারে। একইসঙ্গে আইডি লগইনে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার ব্যবহার করা।
৪। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা।
৫। নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ার সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসি বিষয়ক ফিচারগুলো পড়া এবং নতুন যোগ হওয়া ফিচারগুলো সম্বন্ধে ধারণা নেওয়া।
৬। বছরে অন্তত তিন বার পাসওয়ার্ড বদলানো।
৭। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ইমেল ব্যবহারে বাধ্যতামূলক টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা
৮। সহকর্মীদের মাঝে কোন ইমেইল বিতরণের ক্ষেত্রে অনেককে একসাথে ইমেইল না পাঠানো। প্রয়োজনে ‘বিসিসি’ অপশন ব্যবহার করে সবাইকে ইমেইল করা।
৯। কোন ধরনের লটারি বা পুরষ্কারের তথ্য সম্বলিত ইমেইল অন্য কাউকে ফরোয়ার্ড না করা।
১০। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বাড়ছে। ফলে চাকরি দাতা ও চাকরি গ্রহিতা দুজনেই এখন অনলাইনে যোগাযোগ করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো পর্যন্ত ডিজিটাল লিটারেসিতে অনেক পিছিয়ে আছে। তারা যদি ডিজিটাল বিশ্ব সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখতেন, তাহলে অনলাইনে যোগাযোগ করা ও লেনদেনে তারা আরো সতর্ক হতেন। সুতরাং এ বিষয়ে ব্যাপক সরকারি প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি কার্যকরী উদ্যোগও নিতে হবে।
১১। সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে অভিযোগ করার পর আশানুরূপ ফল না পেলে অভিযোগকারীরা এই প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারেন। সুতরাং সকল অভিযোগের তড়িৎ সমাধান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
ব্যক্তি পর্যায়ে সাইবার অপরাধের ধরন ও প্রক্রিয়াই এমন যে এখানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবজীবনে সমস্যাগুলোর সমাধানে বন্ধু, পরিবার, সহপাঠী কিংবা যে কেউ সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু ভার্চুয়ালজগতে ‘নিজেই নিজের রক্ষক’- এই কথাই বেশি প্রযোজ্য। অর্থাৎ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীকে তথ্যের সুরক্ষা, নিরাপত্তাব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যাশা করা যায়, ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ পরিস্থিতির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে ডিজিটাল অবকাঠামো রক্ষা এবং নাগরিক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হবে। এজন্য সর্বাত্মক জনসচেতনতা গড়ে তুলে প্রযুক্তি ব্যবহারে নাগরিকের অভ্যাস ও আচরণগত উন্নয়ন অপরিহার্য। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে জাতীয় নিরাপদ সাইবার সংস্কৃতি।
অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও হেড অব ল ফার্ম অ্যাডভোকেট হাসান এন্ড এসোসিয়েটস
মোবাইলঃ ০১৬৭৭৭২৯৫১৮








০ টি মন্তব্য