বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে মোবাইল হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি এখন ক্রমেই বাড়ছে। হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংকিং ডেটা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাউন্ট হ্যাক করে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই মোবাইল হ্যাক হলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
১. ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন
প্রথমেই Wi-Fi ও মোবাইল ডেটা বন্ধ করে দিন। এতে হ্যাকার আপনার ডিভাইস থেকে ডেটা চুরি বা অন্য কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
২. গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন
অন্য একটি নিরাপদ ডিভাইস ব্যবহার করে আপনার ইমেল, অনলাইন ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
৩. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন
মোবাইল ব্যাংকিং বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য হ্যাক হলে দ্রুত আপনার ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন এবং তাদের সতর্ক করুন।
৪. সন্দেহজনক অ্যাপ আনইনস্টল করুন
সম্প্রতি ইনস্টল করা কোনো অজানা বা সন্দেহজনক অ্যাপ থাকলে তা দ্রুত মুছে ফেলুন।
৫. একটি অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান চালান
নির্ভরযোগ্য মোবাইল অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করুন। এতে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার শনাক্ত করা সহজ হবে।
৬. ফ্যাক্টরি রিসেট (শেষ উপায়)
সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে এবং ফোন পুরোপুরি হ্যাক হয়ে গেলে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। তবে এটি করলে ফোনের সব ডেটা মুছে যাবে, তাই ব্যাকআপ থাকা জরুরি।
৭. আপনার পরিচিতদের সতর্ক করুন
আপনার নম্বর থেকে সন্দেহজনক বার্তা গেলে পরিচিতরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য তাদের আগে থেকেই সতর্ক করুন।
৮. ডিভাইসের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন
ফ্যাক্টরি রিসেটের পরও ফোনের কার্যকলাপ যেমন দ্রুত ব্যাটারি শেষ হওয়া, ডেটা ব্যবহারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা অজানা অ্যাপ ইনস্টল হওয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
উপসংহার:
সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে মোবাইল হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তাই সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন এবং নিজের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
০ টি মন্তব্য