https://gocon.live/

হার্ডওয়্যার

এই সময়ের সেরা প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য

এই সময়ের সেরা প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য এই সময়ের সেরা প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য
 

এই সময়ের সেরা প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য


দৈনন্দিন বা অনিয়মিত, যেকোনো ধরনের ব্যবহারের জন্য একটি প্রিন্টার এখনও বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। তবে বাড়িতে বা অফিসে ব্যবহারের জন্য সঠিক প্রকারের ইঙ্কজেট বা লেজার প্রিন্টার খুঁজে বের করার বিষয়ে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে। এ ধরনের কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো।


আপনার পক্ষে সঠিক প্রিন্টার নির্বাচন করা কঠিন হতে পারে। কারণ, প্রিন্টার নির্বাচন করতে এর অনেক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় আনতে হয়। একটি স্বতন্ত্র প্রিন্টার প্রায় প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে বাজারে আসে। এর মধ্য থেকে আপনাকে যথার্থ প্রিন্টারটি বাছাই করে নিতে হবে। এখানে কিছু প্রিন্টারের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার সাহায্যে সঠিক প্রিন্টার ও মডেলটি খুঁজে পেতে পারেন।


আপনার কি ধরনের প্রিন্টার প্রয়োজন?


তিনটি সবচেয়ে দরকারী উপায়ে প্রিন্টার শ্রেণী বিভাগ করা যায়। এগুলো হলো- উদ্দেশ্য (সাধারণ বা বিশেষ), উদ্দীষ্ট ব্যবহারের (বাড়িতে বা অফিসে) এবং প্রযুক্তি। এ তিনটি বিভাগের মধ্য থেকে প্রিন্টারের চাহিদা নির্ধারণ করতে পারেন এবং সঠিক প্রিন্টার খোঁজার জন্য আপনার কৌশল ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারবেন।


বেশিরভাগ প্রিন্টার (ইঙ্কজেটসহ) যেগুলোকে নির্মাতারা ছবির প্রিন্টার হিসেবে বাজারে ছাড়ে, সেগুলোকে সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণের প্রিন্টার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এসব প্রিন্টার দিয়ে টেক্সট, গ্রাফিক্স এবং ফটো মুদ্রণ করা যায়। আবার বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রিন্টারের মধ্যে রয়েছে পোর্টেবল প্রিন্টার, ডেডিকেটেড এবং প্রায় ডেডিকেটেড ছবি প্রিন্টার ও লেবেল প্রিন্টার। তবে বিশেষায়িত প্রিন্টারের মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টার এই আলোচনা-বহির্ভূত বলে এ লেখায় উল্লেখ করা হয়নি। প্রিন্ট করার জন্য, অর্থাৎ শুধু ফটো প্রিন্ট করার জন্য আপনি একটি প্রিন্টার মডেল খুঁজছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ এক ধরনের প্রিন্টার বাছাই করতে হবে। আপনি যদি ফটো প্রিন্টের পাশাপাশি অন্য কোনো আউটপুট আশা করেন, তাহলে প্রিন্টারের ধরন ও মডেল সে ক্ষেত্রে ভিন্ন হবে।


সাধারণ উদ্দেশ্যে প্রিন্টার যদি বাড়িতে ব্যবহার করা হয়, তখন তার ফোকাস থাকে ছবি প্রিন্ট করার বিষয়ে। অন্যদিকে অফিসে যেসব প্রিন্টার স্থাপন করা হয়, সেগুলো মূলত টেক্সট ফাইল প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক বহুক্রিয়া বা মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার (MFPs) বাড়ি এবং অফিসে দ্বৈত প্রিন্টারের ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ একই প্রিন্টার একাধিক ভূমিকা পালন করে। বাসা বা অফিসে কীভাবে আপনি প্রিন্টার ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন বা প্রিন্টারের কোন বিশেষ রোলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করেই যথাযথ প্রিন্টার বেছে নিতে হবে।


প্রিন্টিং জগতে বহুল ব্যবহৃত জনপ্রিয় দুই প্রযুক্তি হলো লেজার ও ইঙ্কজেট। ক্রমবর্ধমানভাবে একে অপরের ক্ষমতা ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারপরও কিন্তু এখনও এই দুই প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রায় সব লেজার প্রিন্টার ইঙ্কজেট প্রিন্টারের তুলনায় উঁচুমানের টেক্সট প্রিন্ট করে। অন্যদিকে প্রায় সব ইঙ্কজেট প্রিন্টার লেজারজেট প্রিন্টারের তুলনায় উঁচুমানের ফটো প্রিন্ট করে থাকে। এজন্য প্রিন্টার নির্বাচনের আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন টেক্সট বা ছবি কোনটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।


সিঙ্গেল বনাম মাল্টিফাংশন প্রিন্টার


সাধারণ উদ্দেশ্য প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে প্রিন্টার থেকে অতিরিক্ত ক্ষমতা আশা করার অর্থ একটি মাল্টিফাংশন প্রিন্টার নির্বাচন করছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার নামেও আমাদের কাছে পরিচিত। প্রিন্টারের অন্যান্য কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে স্ক্যানিং, অনুলিপি বা কপি করা, আপনার পিসি থেকে ফ্যাক্স পাঠানো এবং স্ক্যান করে তা সরাসরি ই-মেইলে প্রেরণ ইত্যাদি। অফিস প্রিন্টারে সাধারণত একটি স্বয়ংক্রিয় ডকুমেন্ট ফিডার (ADF) যুক্ত করে থাকে, যার সাহায্যে একাধিক পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট স্ক্যান, কপি, ফ্যাক্স করা যায়। এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় ডকুমেন্ট ফিডার লিগ্যাল সাইজের পৃষ্ঠাগুলো স্ক্যান ও কপি করতে সক্ষম। কিছু স্বয়ংক্রিয় ডকুমেন্ট ফিডার দুটো সেন্সর ব্যবহার করে ডকুমেন্টকে না উল্টিয়ে উভয় পৃষ্ঠা একবারে স্ক্যান করতে সক্ষম।


কিছু কিছু মাল্টিফাংশন প্রিন্টার মুদ্রণ সংক্রান্ত বাড়তি সুবিধা বা অপশন দিয়ে থাকে। ওয়েব সক্রিয় প্রিন্টার (বাসা ও অফিস উভয় ক্ষেত্রে) মডেল ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে সরাসরি ইন্টারনেটে সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং কমপিউটারের সাহায্য ছাড়াই নির্বাচিত বিষয়বস্ত্ত প্রিন্ট আউট করতে পারে। অনেক ওয়াইফাই সক্রিয় মাল্টিফাংশন প্রিন্টার আপনাকে পোর্টেবল ডিভাইস থেকে নথি ও ইমেজ প্রিন্ট করার সুবিধা দেবে। কিছু মডেল প্রিন্টারে ডকুমেন্ট ই-মেইল করার সুযোগ দিচ্ছে। ই-মেইল করা ডকুমেন্ট ওই প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট আউট হবে।


প্রিন্টারের জন্য কতটুকু জায়গা প্রয়োজন?


প্রিন্টারের আকার আপনাকে ভালো করে লক্ষ করতে হবে। এমনকি কিছু হোম মডেলের প্রিন্টার আকারে বেশ বড় এবং তা ডেস্ক শেয়ার করতে অস্বস্তির অবস্থা তৈরি করে। প্রিন্টার দেখতে যথেষ্ট লম্বা হলে মনে হবে এটি বাসার সব কিছু ছাপিয়ে গেছে। তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা যায়। প্রিন্টারের কম্প্যাক্ট সংস্করণ এখন বাজারে ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে, যা সহজেই অ্যাপার্টমেন্ট, হোম অফিস এবং রুমের মধ্যে স্বল্প জায়গায় স্থাপন করা যায় এবং এগুলো ব্যবহার করতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।


কীভাবে প্রিন্টার যুক্ত করবেন?


একটি ইউএসবি পোর্ট ছাড়াও বেশিরভাগ অফিস প্রিন্টার ও বাড়িতে ব্যবহারযোগ্য প্রিন্টারে ইথারনেট পোর্ট অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাই আপনি একটি নেটওয়ার্কে সহজে এসব প্রিন্টার শেয়ার করতে পারেন। অনেক প্রিন্টারে আবার ওয়াইফাই সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। আপনার নেটওয়ার্কে যদি একটি ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট থাকে, তাহলে আপনি ওই নেটওয়ার্কের যেকোনো প্রিন্টারে ওয়্যারলেসে প্রিন্ট করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এটা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়- প্রিন্টার নিজেই কোনো ওয়্যারলেস সংযোগ সুবিধা দেয় কি না। যেসব প্রিন্টার্স ওয়াইফাই ডিরেক্ট বা তার সমতুল্য সমর্থন করে, এরা সরাসরি বেশিরভাগ ওয়াইফাই সক্রিয় ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার কমপিউটার ওয়াইফাই ডিরেক্ট সমর্থন না করলেও চলবে।


প্রিন্টিং গতি


আপনি যা কিছু প্রিন্ট করবেন তা যদি এক বা দুই পৃষ্ঠা দীর্ঘ হয়, তাহলে আপনার সম্ভবত একটি ফাস্ট প্রিন্টার প্রয়োজন হবে না। যদি আপনি দীর্ঘ এবং সংখ্যায় বেশি ডকুমেন্ট প্রতিনিয়তই প্রিন্ট করতে চান, তাহলে আপনার প্রিন্টিং আউটপুটের জন্য গতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অর্থাৎ আপনাকে একটি বেশি গতিসম্পন্ন লেজার প্রিন্টার বেছে নিতে হবে। একটি নিয়ম হিসেবেই লেজার প্রিন্টার টেক্সট ফাইল প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে তার চাহিদার গতির কাছাকাছি গতিতে কাজ করে। প্রিন্টিংয়ের জন্য এরা খুব বেশি প্রক্রিয়াকরণের সময় নেয় না। অনেক সময় আবার দেখা যায় ইঙ্কজেট প্রিন্টার তারচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল লেজার প্রিন্টারের চেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন হিসেবে দাবি করে, কিন্তু কার্যত তা ঘটবে না।


কী পরিমাণ প্রিন্টি কাজ করতে হবে?


আপনি যদি দিনে মাত্র কয়েক পেজ প্রিন্ট করেন, তাহলে একটি প্রিন্টার কি পরিমাণ ডকুমেন্ট বা কনটেন্ট প্রিন্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে চিন্তা না করলেও চলবে। আর যদি প্রিন্টারের ক্ষমতার বাইরে বেশি পরিমাণ নিয়মিতভাবেই প্রিন্ট করতে থাকেন, তাহলে সেটি প্রিন্টারের জন্য বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করবে। তবে একটি প্রিন্টারের স্পেসিফিকেশনের মধ্যে যদি এই তথ্য (অর্থাৎ সর্বোচ্চ কী পরিমাণ প্রিন্টিং লোড নিতে পারবে) অন্তর্ভুক্ত না থাকে, তাহলে সে প্রিন্টার না কেনাই ভালো। এ ছাড়া প্রিন্টার সর্বনিমণ ও সর্বোচ্চ যে সাইজের কাগজে প্রিন্ট করতে সক্ষম, তা বিবেচনায় আনতে হব। এ ছাড়া কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করার জন্য ডুপ্লেক্সার প্রয়োজন কি না সে বিষয়টিও আপনাকে চিন্তা করে দেখতে হবে।


একটি ভালো মানের প্রিন্টারের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে। সময়ের সাথে সাথে এই বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবর্তন বা আপডেট হতে থাকে। এখানে এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্য থেকে কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা হলো। লেজার বা ইঙ্কজেট যে ধরনের প্রিন্টার হোক না কেন, একটি ভালো প্রিন্টার কেনার জন্য এসব বৈশিষ্ট্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।