২০২২ সালের শেষেই মেটা নিয়ে আসছে বিশ্বের দ্রুততম এআই সুপার কমপিউটার
সোশ্যাল মিডিয়া ‘মেটা’ একটি এআই সুপার কমপিউটার তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি উচ্চগতির কমপিউটার, যা বিশেষভাবে মেশিন লার্নিং সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কোম্পানি বলেছে যে, তার নতুন আই রিসার্চ সুপারক্লাস্টার বা আরএসসি, যা ইতিমধ্যেই দ্রুততম মেশিনগুলোর মধ্যে একটি, তা ২০২২-এর মাঝামাঝি সময়ে সম্পন্ন হলে বিশ্বের দ্রুততম মেশিন (সুপার কমপিউটার) হবে।
মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেটা বিশ্বের দ্রুততম এআই সুপার কমপিউটার তৈরি করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
মাইক্রোসফট এবং এনভিডিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব এআই সুপার কমপিউটার তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে, যা সাধারণ সুপার কমপিউটারের থেকে অনেকটাই আলাদা। আরএসসি মেটার ব্যবসাজুড়ে বিভিন্ন সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ ও শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হবে এটি, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে ঘৃনাত্মক বক্তব্য শনাক্ত করে ব্যবহৃত বিষয়বস্তু মডারেশনও করা যাবে এতে।
আরএসসি মেটার এআই গবেষকদের নতুন এবং আরও ভালো এআই মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা ট্রিলিয়ন উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিতে পারে; শত শত ভাষা জুড়ে কাজ করতে পারে; নির্বিঘ্নে টেক্সট, ছবি এবং ভিডিও একসাথে অ্যানালাইসিস করা এবং আরও অনেক কিছুই করতে সক্ষম তা। মেটা ইঞ্জিনিয়ার কেভিন লি এবং শুভ সেনগুপ্ত একটি ব্লগের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন।
আরএসসিতে প্রায় দেড় বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল, মেটার ইঞ্জিনিয়াররা মেশিনের বিভিন্ন সিস্টেম কুলিং, পাওয়ার, নেটওয়ার্কিং এবং কেবলিং সম্পূর্ণ শুরু থেকে এর ডিজাইন করেছিলেন। আরএসসির প্রথম ধাপ ইতিমধ্যেই চলছে এবং এতে ৭৬০ এনভিডিয়া জিজিএক্স এ১০০ সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে ৬০৮০ কানেক্টেড জিপিইউ রয়েছে (এক ধরনের প্রসেসর, যা মেশিন লার্নিং সমস্যার মোকাবিলা করে)। মেটা বলেছে যে, এটি ইতিমধ্যেই তার স্ট্যান্ডার্ড মেশিন ভিশন রিসার্চের কাজগুলোকে ২০ গুণ পর্যন্ত উন্নত কর্মক্ষমতা প্রদান করছে।
এআই সুপার কমপিউটার কী? কীভাবে আমরা সুপার কমপিউটার ব্যবহার করতে পারি? মহাকাশ, পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল ডোমেইন হ্রাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকার দ্বারা মোতায়েন করা বিশাল মেশিনগুলোর সাথে কি একে তুলনা করা যায়?
আসলে এটি এক ধরনের সিস্টেম, উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন কমপিউটার যা এইচপিসি নামে পরিচিত, তারা অনেকটাই একই রকম। উভয়ই আকার ও চেহারায় ডাটা সেন্টারগুলোর কাছাকাছি এবং দ্রুতগতিতে ডাটা আদান-প্রদানের জন্য প্রসেসরের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু উভয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য এআইভিত্তিক এইচপিসিগুলো ঐতিহ্যবাহী এইচপিসির তুলনায় একেবারেই আলাদাভাবে কাজ করে।
০ টি মন্তব্য