কিভাবে বুঝবেন পিসি ভাইরাসে আক্রান্ত
বিশ্বে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যারের যেমন অভাব নেই, তেমনি এসবে কোনো কমপিউটার আক্রান্ত হলে তার লক্ষণের অভাব নেই। কোনো কমপিউটারে একটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে আবার কোনোটিতে একাধিক। সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন আপনার কমপিউটার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার কিংবা স্পাইওয়্যারে আক্রান্ত।
০১. টাস্ক ম্যানেজার ডিজ্যাবল্ড হয়ে থাকলে-এটি বোঝার জন্য Ctrl+Alt+Del চাপ দিন কিংবা টাস্কবারে ডান মাউস বাটন ক্লিক করুন। টাস্ক ম্যানেজার উইন্ডোটি না আসলে কিংবা টাস্ক ম্যানেজার অপশনটি যদি নিষ্ক্রিয় থাকে তবে বুঝবেন কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
০২. রেজিস্ট্রি এডিটর নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে-এটি বোঝার জন্য স্টার্ট মেনু থেকে রান-এ গিয়ে regedit লিখে এন্টার দিন। যদি রেজিস্ট্রি এডিটর উইন্ডো না আসে তাহলে বুঝবেন কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
০৩. কমান্ড প্রোম্পট নিষ্ক্রিয় থাকলে-এটি বোঝার জন্য স্টার্ট মেনু থেকে রান-এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার দিন। যদি সিএমডি উইন্ডো না আসে তাহলে বুঝবেন কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
০৪. স্টার্ট মেনুবারে সার্চ অপশন না থাকলে।
০৫. কোনো প্রোগ্রাম চালু নেই কিংবা কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম চালু না থাকে কিন্তু সিপিইউ-এর ব্যবহার ৫%-এর ওপর দেখালে বুঝবেন কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।। এর জন্য Ctrl+Alt+Del চেপে পারফরমেন্স ট্যাব বাটনে চাপ দিন এবং এই উইন্ডোটির একেবারে নিচে স্ট্যাটাস বার-এ লক্ষ করুন।
০৬. কমপিউটারের হার্ডড্রাইভ কিংবা পেনড্রাইভ ডবল ক্লিক করার পর ওপেন না হলে।
০৭. কমপিউটারের ড্রাইভগুলো কিংবা পেনড্রাইভের ওপর ডান মাউস ক্লিক করলে ওপেন অপশনটি দ্বিতীয় স্থানে থাকলে কিংবা প্রথম অপশনটি ভিন্ন ভাষায় দেখালে।
০৮. কমপিউটার যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়।
০৯. কমপিউটার যদি থেমে থেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট হয়। তবে কমপিউটার অন্যান্য কারণে যেমন-উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল মিসিং হলে, লো ভোল্টেজ থাকলে রিস্টার্ট হতে পারে।
১০. কমপিউটারে খুব বেশি প্রোগ্রাম ইনস্টল নেই, অথচ কমপিউটার যদি ওপেন এবং শাট ডাউন হতে বেশি সময় নেয় তাহলে বুঝবেন কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
১১. কমপিউটারে কোনো প্রোগ্রাম ওপেন করলে, বন্ধ করলে বা অন্য কোনো কমান্ড দিলে তা এক্সিকিউট হতে সময় নিলে।
১২. ফোল্ডার অপশন না থাকলে-এটি দেখার জন্য মাই কমপিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার্স অপশনটি লক্ষ করুন। এটি যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন ভাইরাসে এটি নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে।
১৩. হিডেন ফাইল্স অ্যান্ড ফোল্ডার অপশনটি না থাকলে কিংবা কাজ না করলে-এটি দেখার জন্য মাই কমপিউটার ওপেন করে টুলস মেনুতে গিয়ে ফোল্ডার্স অপশনে ক্লিক করুন। এবার ভিউ ট্যাবে ক্লিক করে শো হিডেন ফাইল্স অ্যান্ড ফোল্ডার অপশনটিতে ক্লিক করে ওকে করুন। এই ফাংশনটি কাজ করেছে কি-না তা দেখার জন্য অপশনটিতে আবার আসুন। যদি পূর্বের মতো ডু নট শো হিডেন ফাইল্স অ্যান্ড ফোল্ডার অপশনটিতে টিক চিহ্ন থাকে তাহলে বুঝবেন এটি ভাইরাসে আক্রান্ত।
১৪. কমপিউটার ওপেন হওয়ার সময় C:\windows উইন্ডো কিংবা C:\mydocuments উইন্ডোসহ ওপেন হলে।
১৫. তেমন কোনো প্রোগ্রাম ইনস্টল নেই, কিন্তু সি ড্রাইভ স্পেস যদি ফুল বা পূর্ণ দেখায়।
১৬. অল্পতে কমপিউটার ঘন ঘন হ্যাঙ হলে।
১৭. কোনো মেসেজ যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করতে বলে।
১৮. কোনো ওয়েবসাইটে যেতে গিয়ে অন্য সাইটে চলে গেলে বুঝবেন এটি সাইট ট্র্যাকারে আক্রান্ত।
১৯. উইন্ডোজ ট্রে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কোনো এরর মেসেজ বার বার দেখালে।
২০. অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল হতে না দিলে, অ্যান্টিভাইরাস কাজ না করলে, নিষ্ক্রিয় থাকলে কিংবা অ্যান্টিভাইরাসটি নতুন করে রিস্টার্ট করতে না দিলে।
২১. ডেস্কটপে কোনো নতুন আইকন দেখলে, যা আপনি রাখেননি কিংবা ইনস্টল করা প্রোগ্রামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
২২. কেউ কোনো ফাইল বা ফোল্ডার হিডেন করেনি, অথচ আপনি তা খুঁজে পাচ্ছেন না। আবার ডিস্ক স্পেস ঠিক দেখাচ্ছে।
২৩. কেউ কোনো ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট কিংবা মুভ করেনি, অথচ আপনি তা খুঁজে পাচ্ছেন না।
২৪. কমপিউটার ওপেন হওয়ার সময় লগইন অপশন আসে, অথচ লগইন করলে কমপিউটার ওপেন হয় না।
২৫. কমপিউটার ওপেন হয়ে ডেস্কটপ আসে কিন্তু মাউস ও কীবোর্ড কোনো কাজ করে না।
২৬. এছাড়াও উইন্ডোজে অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে কমপিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধরে নেয়া যেতে পারে।
১ টি মন্তব্য
Md Shamim Miah
২০২২-১০-১২ ১৩:১৬:২৩I will be careful. Thanks