https://powerinai.com/

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক জয়

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক জয় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক জয়
 

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক জয়


‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ প্রতিপাদ্যে ৭৫টিরও বেশি দেশের শতাধিক প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে গত ১১-১৪ নভেম্বের বংলাদেশে বসেছিল তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী আর উইটসার রজত সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিক থেকে স্বাগতিক দেশ হিসেবে ৬৭টি দেশের সাথে ব্যবসায় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুু সম্মেলন কেন্দ্রের মূল ভেন্যুতে এবারের অলিম্পিকে ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১’ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়কালে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১’। 


উদ্বোধন


বঙ্গভবন থেকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গত ১১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু চার দিনব্যাপী এ বিশ্ব সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। উদ্বোধনী বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে প্রযুক্তিবিদদের সজাগ থাকার আহŸান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি একদিকে যেমন আমাদের জন্য অবারিত সুযোগের দ্বার উন্মোচিত করেছে, তেমনি এর অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জেরও জন্ম দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’


তথ্যপ্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার আহŸান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিনিময় ও হস্তান্তর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানিই যথেষ্ট নয়, বরং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা স্থানীয় টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রসার এবং ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’


উদ্বোধনের পর সম্মেলনের সাইবার ভেন্যুতে প্রযুক্তিতে নিজেদের উদ্ভাবন ও সক্ষমতা প্রদর্শন করে অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রযুক্তি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হয় ৩৭টি সভা-সেমিনার। ফিজিক্যাল-ভার্চুয়াল মিলিয়ে মোট ৬৭টি দেশের সাথে বিটুবি সেশন হয়েছে বাংলাদেশের। অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি। মিলেছে সম্মাননা। অলিম্পিকের সবচেয়ে বড় সম্মাননা দুটোই এসেছে বাংলাদেশের ঘরে। ‘এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভ‚ষিত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে অ্যাসোসিও লিডারশিপ সম্মাননা জিতেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।


মূলত ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (ডবিøউআইটিএসএ) হলো বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রযুক্তিশিল্পের শীর্ষস্থানীয় স্বীকৃত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ৮০টিরও বেশি দেশ ও অর্থনীতির সদস্য যুক্ত রয়েছে। এসব দেশ বিশ্বের আইসিটি বাজারের ৯০ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে ডবিøউআইটিএসএ অ্যাওয়ার্ডগুলো প্রযুক্তিবিশ্বে অলিম্পিক জয়ের সাথে তুলনা করা হয়। কেউ কেউ একে বিশ^প্রযুক্তির নোবেলও বলে থাকেন। 


উইটসা ‘এমিনেন্ট পার্সনস ২০২১’ শেখ হাসিনা


সম্মেলনের তৃতীয় দিন উইটসার রজতজয়ন্তীর ‘এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভ‚‚ষিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবাযনে নেতৃত্বদান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিকখ্যাত ‘উইটসা ২০২১’-এ পুরস্কার দিয়েছে। এর আগে প্রথমবারের মতো ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা এ পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। এ ছাড়া এ পুরস্কার পেয়েছেন ইন্টারনেটের অন্যতম জনক ভিন্ট সার্ফ।


উইটসা মহাসচিব জেমস এইচ পয়জান্টের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 


পুরস্কার পাওয়ার কারণ হিসেবে তখন বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা বরাবরই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য খাদ্য ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সময়েই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। সেই সাথে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে ত্বরান্বিত হয়েছে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।


প্রযুক্তিবিশ্বের নেতা জয়


দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ভ‚মিকার জন্য এবারের ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা। ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের ২৪টি দেশের সংস্থা ‘এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও)’ সজীব ওয়াজেদ জয়কে এ পুরস্কারে ভ‚ষিত করে। এর আগে ১৯৯৭ সালে এ পুরস্কারে ভ‚ষিত হন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, ২০০৪ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা এবং ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সম্মেলনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি এ পুরস্কারের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম ঘোষণা করেন। ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অ্যাসোসিওর বর্তমান চেয়ারম্যান ডেভিড ওয়াংয়ের পক্ষে ইমিডিয়েট চেয়ারম্যান সারাকনন্দা পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে। এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই পুরস্কার সজীব ওয়াজেদ জয়ের শ্রম, মেধা ও সততার স্বীকৃতি। আগামী প্রজন্ম তার নেতৃত্বে কাজ করতে আরও অনুপ্রাণিত হবে। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।’


সম্মেলনের চার দিন 


প্রথমারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের চার দিনব্যাপী বিশ্ব সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ছিলেন আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জনক মি. ভিন্ট সার্ফ, আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জননী ড. রাদিয়া পারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিমোথি বারনার্স লি, উইটসা মহাসচিব জেমস এইচ পয়জান্ট, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (সেন্টার ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন, চায়না) উপ-প্রধান ডেনিয়েল কেরিমি, উই রোবটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. পেট্রিক মেয়ার, চীনভিত্তিক আলিবাবার মূল কোম্পানি এন্ট গ্রæপের মহাব্যবস্থাপক (আলিপে ও গেøাবাল পেমেন্ট পার্টনারশিপ) গৌমিং চেং, ইন্টেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ওমর এস ইশরাক প্রমুখ। এছাড়া দেশীয় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এশিয়ার নোবেল হিসেবে খ্যাত ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী, বাংলাদেশে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অণুজীব বিজ্ঞানী ও পরিচালক সেঁজুতি সাহা এ আয়োজনকে সমৃদ্ধ করেন।


বৈশ্বিক এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিষয়েই ছিল বিভিন্ন সেমিনার ও সেশন। চার দিনের এ সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিল্পবের কথা মাথায় রেখে আইওটি, বিগডেটা, মেশিন লার্নিং, রোবটিক্সের মতো আধুনিক ও স্মার্ট প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোজন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক এ আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরতে সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট’। এ আয়োজনে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্য্রযুক্তিতে অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।


উদ্বোধনী দিনেই ৯টি, দ্বিতীয় দিন ১২টি ও তৃতীয় দিন ৭টি মিলিয়ে চার দিনে মোট ৩৭টি সভা-সেমিনার হয়েছে এবারের সম্মেলনে। প্রথম দিন ‘সেটিং দ্য গেøাবাল স্টেজ’ সেশন দিয়ে শুরু হয় তথ্যপ্রযুক্তির এই মহা-আসর। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রযুক্তির টেকসই মহাসড়ক ইন্টারনেটের আদ্যোপান্ত নিয়ে বিশ্লেষণী পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আইটিইউ স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ব্যুরো চিফ বিলের জামুসি।


দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় দুটি ওয়েবকাস্ট। ইন্টারনেটের বিবর্তন এবং ডিজিটাল আর্কিটেকচারের ভ‚মিকা নিয়ে মূল বক্তব্য দেন কর্পোরেশন ফর ন্যাশনাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভসের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. রবার্ট ই কান। অন্য আরেকটি ওয়েবকাস্ট ম্যানি ডাইমেনশন অব নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করেন ডেল টেকনোলজিসের ডেল ইএমসি ফেলো বিভাগের প্রধান ড. রাদিয়া পার্লম্যান। 


এছাড়া ডেমোক্র্যাটিক টেকনোলজির সেশনে আলোচনায় অংশ নেন বিকাশ সিইও কামাল কাদীর, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এমডি ও সিইও মমিনুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড লিংক কমিউনিকেশনসের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ আগরওয়াল।


ব্যবসায় করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বিপিও কীভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, অগমেডিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইয়ান শাকিল এবং গেøাবাল বিপিও অ্যালায়েন্সের সিইও ডেনিস গুইটেট।


চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ : জয়


সম্মেলনের ‘মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে’ দেওয়া মূল বক্তৃতায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিতে চায় এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।


ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বøক চেইন, আইওটি, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।’


চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহŸান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘একসাথে উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব।’


বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার, বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ট্রানজিস্টার আবিষ্কার ব্যাপক শিল্পায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে মানবসভ্যতার গতিপথ বদলে দিয়েছিল বলে ওই তিন ঘটনাকে তিনটি শিল্পবিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।


এখন বলা হচ্ছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, যেখানে বহু প্রযুক্তির এক ফিউশনে ভৌতজগৎ, ডিজিটালজগৎ আর জীবজগৎ পরস্পরের মধ্যে লীন হয়ে যাচ্ছে।


বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহŸান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে। এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশিদের জন্য শতভাগ মালিকানার নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যারা ফ্যাক্টরি বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে তৈরি অবকাঠামো সুবিধা নিতে চান তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।


বর্তমানে স্যামসাংসহ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম কনজ্যুমার মার্কেট, এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে। এখানে স্টার্টআপদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে।’


আমার বিশ্বাস, ‘আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মেইড ইন চায়না বা ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে ‘মেইন ইন বাংলাদেশ’ দেখা যাবে।’


২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আইটি রপ্তানি এক সময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।’


মহামারীকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে মন্তব্য করে জয় বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেড়েছে মহামারীর এই সময়ে।


অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় ‘এনশিওরিং এন ইনক্লুসিভ, ট্রাস্টেড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডিজিটাল সোসাইটি’ শীর্ষক এই আয়োজনে অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য দেন।

 সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত উদ্যোগসমূহ উপস্থাপন করা হয়।


তৃতীয় দিন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, অর্জন-গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এদিন উইমেন ইন আইসি সেশনে প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করেন তাইওয়ান প্রাইভেসি কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান ইভোন্নিল চিউ। জাতিসংঘের টেক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া বশীর কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক জিয়াওনাল ফু এবং বুয়েটের ট্রিপল ই বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ। 


আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল উন্নয়নের ওপর সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের ব্যবসায় উন্নয়নবিষয়ক কনফারেন্সের ই-কমার্স বিভাগের প্রধান তর্বজর্ন ফ্রেডরিকসন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বেসিস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং ডবিøউটিওর সাবেক কাউন্সিলর লি টুথ হিল। 


এছাড়া উইটসা মহাসচিব জন এইচ পয়জান্টের সঞ্চালনায় হার্নেসিং দ্য পাওয়ার অব টেকনোলজি টু ট্রান্সফর্ম হেলথকেয়ার অ্যান্ড ইমপ্রæভ লাইভস বিষয়ে স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি গাইডলাইন ও চিকিৎসা পদ্ধতি উপস্থাপন করেন  ইন্টেল অ্যান্ড মেডট্রনিকের বোর্ড অব চেয়ারম্যান ওমর ইশরাক।  একই সাথে চিকিৎসায় প্রযুক্তি ব্যবহারের যে অসীম সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে সে বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।  


পাশাপাশি একই সময়ে ‘দ্য স্টেট সাইবার সিকিউরিটি-গভর্নিং সাইবারস্পেস : সাইবার সোভারইজেনেটি ভাস সাইবারস্পেস ফ্রিডম’ সেমিনারে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কীভাবে প্রতিটি রাষ্ট্র তার নিজেদের ভ‚খÐের মানুষের জন্য অনলাইনে সার্বভৌত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা। নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান ব্রæকলিন হেলথ সিস্টেমের চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার আব্দুল আলিম। 


আলোচনা করেন পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লজের অধ্যাপক ড. জোয়ানা  হুসা, এনআরডি সাইবার সিকিউরিটি ডিরেক্টর ভেলিয়াস বেনেটিস এবং বিডিও ইউএসএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক চুয়াং এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের পরিচালক তারিক এম বরকতুল্লাহ।


সম্মেলনে টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় আইআর ৪.০ স্কিলিং : ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন, আইসিটি স্কিলিং গ্যাপ, প্রোডাক্টিভিটি, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে। এতে আলোচক ছিলেন হংকং বøকচেইন সোসাইটির সভাপতি লরেন্স মা, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর ড. লিওন মিন কিউ, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের ডাটা সাইন্টিস্ট আব্দুল বারি, বিডিজবস সিইও ফাহিম মাশরুর  এবং উজবেকিস্তান আইটি পার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারখোদ ইব্রাগিমোভ। 


ই-ক্যাবের ইনভেস্টমেন্ট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা মাহমুদ তৃণার সঞ্চালনায় বিশেষ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-ক্যাবের ক্রস বর্ডার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব। 


ই-ক্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট শিহাব উদ্দিন শিপনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওয়াকি ইতো। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডবিøউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।  


আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেয়নিয়ারের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র ম্যানেজার কাভিজ আহুজা, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক এসএম আরিফুজ্জামান, অ্যামাজন গেøাবাল সেলসের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার রিয়া কুÐ, স্ক্যাম অ্যাডভাইজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ আব্রাহাম এবং হংকং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জোসেফ ইউন।


আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে স্টার্টআপ, এডুটেক, স্মার্টসিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও প্রযুক্তি ব্যবসাবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, উইটসা মহাসচিব জেমস পয়জান্ট, এডুটেক হাবের কান্ট্রি এনগেজমেন্ট লিড টম কায়ে চৌধুরীসহ অনেকে অংশ নেন।


সম্মেলন প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়েছিল মুজিব কর্নার। পাশাপাশি নিজেদের প্যাভিলিয়ন থেকে আইসিটি বিভাগ, এটুআই, বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি, ওয়ালটন, মিনিস্টার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও থাকরাল তাদের সেবা উপস্থপন করে। ই-ক্যাবের প্যাভিলিয়ন থেকে পিকাবু, যাচাই, ব্রেকবাইট ও রকেট সেবা দিয়েছে।   


উইটসা আইসিটি এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের ৩ উদ্যোগ


ভিন্ন তিনটি ক্যাটাগরিতে উইটসা সম্মাননা জিতেছে বাংলাদেশ। পোশাককর্মীদের বায়োমেট্রিক ডেটাবেজ তৈরির জন্য ‘ডবিøউআইটিএসএ গেøাবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ‘ইনোভেশন ই-হেলথ সলিউশন’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন-১৬২৬৩ এবং ‘ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন উইটসা মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়জান্ট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উইটসা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনীর। 

সিনেসিস আইটির পক্ষ থেকে ন্যাশনাল টেলি-হেলথ পুরস্কার ২০২১ গ্রহণ করেন সিনেসিস আইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোহরাব আহমেদ চৌধুরী। বিজিএমইর পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন সংগঠনের পরিচালক ও ইয়ং ফর এভার টেক্সটাইল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব চৌধুরী। আর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন উপাচার্য মাহবুব-উল-হক মজুমদার।


২ সমঝোতা চুক্তি


সম্মেলনে উজবেকিস্তান আইটি পার্কের সাথে দুটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এর একটি হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। অন্যটি বাক্কো। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে বাক্কোর পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং হাইটেক পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল ইসলাম সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন। অপরদিকে উজবেক আইটি পার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারখোদ ইব্রাগিমোভ।


মালয়েশিয়ায় হবে আগামী উইটসা


বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে মেঘ বন্দনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রযুক্তি বাংলার মোহনীয় বাঁশির সুর ছড়িয়ে দিয়ে গত ১৪ নভেম্বর শেষ হয় বিশ্বপ্রযুক্তির অলিম্পিকখ্যাত উইটসার রজত সম্মেলন। বø্যান্ডেড মডেলে চার দিন ধরে চলা এই সম্মেলন ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রাপ্তির; প্রযুক্তিজ্ঞান ও ধারণা বিনিময়ের। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার রিহার্সেল।


সম্মেলনে প্রযুক্তির মাধ্যমে সাম্যের প্রতিষ্ঠায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ওয়ার্ল্ড ওয়েবের জনক স্যার টিমোথি জন বার্নার্স লি। বিশ্বজুড়ে এই আই রোবটিকসে বাংলাদেশ কীভাবে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে সেই আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ দিন আশা দিয়েই পর্দা নামে সম্মেলনের। 


সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার আব্দুল মান্নান। বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ও উইটসা ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহিদ উল মুনীর।


অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে কাজে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সবাইকে সাথে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার।


তিনি বলেন, এ বিশ্ব সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সংশ্লিষ্টদের ও বিশেষজ্ঞদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ফলে তথ্যপ্রযুক্তির আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি, উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রাখবে। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পলক।


অপরদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রযুক্তির যূথবদ্ধ ব্যবহারে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফল হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।


প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত¡াবধানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত অনেক সফলতা অর্জন করেছে । ভবিষ্যতে এ খাত আরো এগিয়ে যাবে।


অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন উইটসা মহাসচিব জেমস পয়জান্ট এবং উইটসার চেয়ারম্যান ইয়ানিস সিরোস।


অনলাইন থেকেই পুরো আয়োজন সফল করায় উইটসার সাবেক চেয়ারম্যান সবুর খানের মাধ্যমে কম্পিউটার সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটিকে সম্মাননা ক্রেস্ট হন্তান্তর করেন তারা। এর আগে সম্মেলন সফল করতে বিভিন্নভাবে সংযুক্ত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণের মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে ফটোসেশন আর সুরের আবেশ ছড়িয়ে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আগামী সম্মেলনের অপেক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সমাপনী অনুষ্ঠান।


ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে (উইটসা) বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এই সম্মেলন সফল করেছে। এই সফলতায় সহযোগী হিসেবে ছিল বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব, আইএসপিএবি এবং বিআইজেএফ।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।