https://powerinai.com/

প্রযুক্তি

সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযুক্তির ৫ ট্রেন্ড

সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযুক্তির ৫ ট্রেন্ড সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযুক্তির ৫ ট্রেন্ড
 

প্রযুক্তি বিশ্বের জগতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিজেদের অগ্রগামী ভ‚মিকাতে অবতীর্ণ করতে হচ্ছে, আর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সরকারি সংস্থাগুলোর কৌশলগত কারণে প্রযুক্তিতে নিজেদের আরও পরিবর্তন এনে বেগবান করতে হবে। আরও বৃহৎ পরিসরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস’র মতো বিষয় নিজে কাজ করার সময় সরকারের এসেছে। অনেক দেশের সরকার ইতিমধ্যে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে এবং আমাদের সরকার সেই চেষ্ট অব্যাহত রেখেছে। এজন্য ২০২২ সালে কোন প্রযুক্তি ট্রেন্ডগুলো বিশ্বের সরকার অনুসরণ করতে যাচ্ছে বা করা উচিত সেরকম ৫টি প্রযুক্তি ট্রেন্ড নিয়ে আলোকপাত করা হলো। 


আর্টিফিশিয়াল এবং অটোমেশনে পাবলিক সার্ভিস 


চ্যাটবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই’র ভালো উদাহরণ, যার অধিকাংশ ২০২২ সালে অনেক দেশের সরকার নিজেদের ব্যবস্থাপনাতে গ্রহণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে এবং স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষ ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রোসেসিং (এনএলপি) কাস্টমার সেবা প্রদানে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহৎ পরিসরে ফোনকল গ্রহণে করোনাকালীন সময়ে ব্যবহার করছে। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের রিভিনিউ কমিশনার আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সনির্ভর ভার্চুয়াল এজেন্ট তৈরি করেছে, যা ২৪/৭ সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন সহজ করাতে নাগরিকদের সহযোগিতা করবে। এআইনির্ভর ‘কোবট’ হিউমেন পাবলিক সার্ভিস ওয়ার্কাসদের দ্বারা বেশি হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জাতীয় তথ্য রেকর্ড, স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম যেমন ফর্ম ফিলাপ অথবা পাবলিক ডেটাবেজ, জাতীয় তথ্য আর্কাইভের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। একবার নাগরিকরা আর্টিফিশিয়ালনির্ভর অ্যাসিস্ট্যান্ট, চ্যাটবট এবং কোবটের মতো প্রযুক্তির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে তাহলে তাদের সময় যেমন বাঁচবে ঠিক তেমনি পাবলিক সার্ভিস কার্যক্রম গতিশীল হবে। গার্টনারের পর্যবেক্ষণ বলে, ৭৫ ভাগ সরকার তিনটি এন্টারপ্রাইজভিত্তিক অটোমেশন উদ্যোগ ২০২৪ সাল নাগাদ গ্রহণ করবে। 


ডিজিটাল আইডেনটিটি 


ডিজিটাল যুগে বর্তমানে সরকার এবং মানুষ ব্যক্তিগতভাবে অবস্থান করছে। অধিকাংশ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্যখাত এবং জননিরাপত্তা ইস্যুতে ডেটা রেকর্ড করে ব্যক্তির আইডেনটিটি কার্ড নিশ্চিত করে। কিছু ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া যেমন হাতের প্রিন্ট, কিংবা শরীরে কোনো চিহ্ন দিয়ে ডিজিটাল আইডেনটিটি বর্তমানে শনাক্তকরণের কাজ করে। প্রাইভেসি এবং দেশের জনগণ ডিজিটাল আইডেনটিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত সহজ করে। বøকচেইন, ডিস্ট্রিবিউটেড লেডজার প্রযুক্তি নিজস্ব সশাক্তকরণ অবস্থার জন্য ডেটাবেজ তৈরি করে যা কিনা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত হয়। পাইলট প্রজেক্ট বিস্তৃত পরিসরে মাইক্রোসফট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মানুষের ব্যক্তিগত শনাক্তকরণে তৈরি হয়; ইউকে, টোকিও এবং বেলজিয়ামে কার্যক্রমগুলো কাজ করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বøকচেইন প্রযুক্তি ডিজিটাল আইডেনটিটি ফ্রেমওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। 


সাইবার সিকিউরিটি 


সাইবার অ্যাটাক জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ প্রাধান্য পাচ্ছে। সোলার উইন্ড অথবা নোবেলআম আক্রমণ ২০২০ সালের শেষদিকে সংগঠিত হয়, সেখানে ইউএসের ফেডারেল এজেন্সিসহ ১৮ হাজারের বেশি লক্ষ্যবস্তুতে সাইবার অ্যাটাক করে। ভুল তথ্য দিয়ে ভুল ডেটা প্রদর্শন সফটওয়্যারে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যখন অ্যাটাক হয়, তখন আক্রমণকারীরা সরকারি অনেক তথ্য মাসের পর মাস পর্যবেক্ষণ করে। ডিফেন্স ইস্যুতে সাইবার সিকিউরিটি বিস্তৃত পরিসরে কাজ করে। ২০২১ সালে মার্কিন সরকার ঘোষণা দেয়, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের পাশাপাশি জাতীয় ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে। ইউকে সরকার ‘ইউকে সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা করেছে সাইবার ডিফেন্স শক্তিশালী করতে। আর ২০২২ সাল জুড়ে এই ট্রেন্ড চলবে সাপ্লাই চেইন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কাঠামোগত ক্ষেত্রে আরও জোরদার করে। 


জাতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি 


বেশ কিছু দেশের সরকার তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসমূহে ক্রিপ্টোকারেন্সি একীভ‚ত করছে, তাদের বেশিরভাগ নিজস্ব ডিজিটাল কারেন্সি তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোকে পেমেন্ট টুল কিংবা সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। আমেরিকা, ইউকে, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান, রাশিয়ার মতো দেশগুলো বøকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে কাজ করছে এবং ২০২২ সালে আরও বেশি আলোচনার যোগ্য হবে। মনিটরিং সিস্টেম হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সরকারি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ পাওয়া এখন বেশ সহজ, কিন্তু এক্ষেত্রে পরিবেশগত ব্যয় ও শক্তিগত ব্যবহারের দরকার। 


সরকারি টেক স্টার্টআপ 


যখন নতুন কোনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন কিংবা উন্নতিকরণের বিষয় আসে তখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকেও বেসরকারি পর্যায়ে বেশি ভ‚মিকা থাকে। বর্তমানে ‘সরকারিটেক’ প্রযুক্তিগত খাতে ব্যাপক ডিজিটাল পরিবর্তন এনেছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাকসেন্সার’ হিসেবে প্রযুক্তি খাতে এই বাজার প্রতি বছর ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আইওটি, ক্লাউড, এডজ কমপিউটিং, সুপার ফাস্ট নেটওয়ার্ক সরকারের প্রচেষ্টা। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘পাবলিক আইও’ বলে, ২ হাজারের অধিক সরকারি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র ইউরোপে, যার বেশিরভাগ ইউকে, ফ্রান্স এবং জার্মানির। সরকারি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় জীবনে বেশ প্রভাব রাখে। আর্থিক প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান ‘ফিনটেক’ কিংবা মার্কেটিং প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয়ভাবে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে বেশ অনেক সুবিধা আনছে। ইউকে সরকারের ২০২০ সালের রিপোর্টের তথ্যমতে, অপ্রচলিত সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণে তাদের সরকারকে ২২ বিলিয়ন ইউরো মেইনটেন সাপোর্ট দিতে হয়। 








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।