https://gocon.live/

প্রযুক্তি

অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম অপারেটিং সিস্টেম
 

অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম ১৯৫৬ সালে ব্যবহার হয়েছিল ‘জিএম-না আই/ও’ কাজে, জেনারেল মটরস’র রিসার্চ ডিভিশন ‘আইবিএম ৭০৪ অপারেটিং সিস্টেম’ মেশিন অপারেশন নিয়ন্ত্রণে প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করে। অপরদিকে, ১৯৭০ সালে ডেভেলপ করা ‘ইউনিক্স’ ছিল প্রোগ্রামিং ভাষা ‘সি’তে করা প্রথম অপারেটিং সিস্টেম, যা মাল্টিইউজার অপারেটিং সিস্টেমের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা। 


অপারেটিং সিস্টেম কী 


অপারেটিং সিস্টেম একটি সফটওয়্যার, যা ফাইল ম্যানেজমেন্টের সকল কাজ করে, যেমনÑ ফাইল ম্যানেজমেন্ট, মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, প্রসেস ম্যানেজমেন্ট, ইনপুট আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, ডিস্ক ড্রাইভ এবং প্রিন্টারের মতো ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। অপারেটিং সিস্টেম একটি প্রোগ্রাম যেটা বুট প্রোগ্রামের মাধ্যমে কমপিউটারে প্রাথমিক লোড করা হয়, এবং সার্ভিস রিকুয়েস্টের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেসের (এপিআই) মাধ্যমে কাজ করে। ব্যবহারকারীরা অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে সরাসরি ইন্টারেক্ট করতে পারে, যেমন কমান্ড লাইন ইন্টারফেস অথবা গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। লিনআক্স, উইন্ডোজ হচ্ছে জনপ্রিয় কিছু অপারেটিং সিস্টেম।  


কেনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার প্রয়োজন


অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার, প্রসেসর, মেমোরি, হার্ডওয়্যারের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ব্যবহারকারীকে কমপিউটারের সহায়তা নিয়ে প্রোগ্রাম পরিচালনা ও যোগাযোগে ভূমিকা রাখে। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করে। কমপিউটারকে বলে কী করতে হবে সিস্টেম উপাদান বা কম্পোনেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে। সিকিউরিটি, রিসোর্স বণ্টন, কাজ সহজীকরণ, থ্রেট থেকে তথ্য এবং রিসোর্স সুরক্ষা, ফাইল সিস্টেম ম্যানুপুলেশন, ইনপুট/আউটপুট অপারেশন নিয়ন্ত্রণ, ভার্চুয়াল মেমোরি মাল্টিটাস্কিং, এরর ডিটেকশন ও নিয়ন্ত্রণ, প্রোটেকটেড অ্যান্ড সুপারভাইসর মোড, প্রোগ্রাম সম্পন্ন, বাফারিং, ভার্চুয়াল মেমোরি তৈরিতে ভ‚মিকা রাখে। একাধিক প্রোগ্রাম একটি কমপিউটারে একই সময়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সকল প্রোগ্রামে কমপিউটার সিপিইউ ও মেমোরি প্রয়োজন। অপারেটিং সিস্টেম ওইসব প্রোগ্রামের জন্য রিসোর্স নিয়ন্ত্রণ করে এজন্য অপারেটিং সিস্টেম দরকার। মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেমের খুব গুরুত্বপূর্ণ ফিচার, এর সাহায্যে আমরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অনেক প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে পারি। অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যার সহায়তা নিয়ে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করা যায়। এটি ব্যবহারকারীকে ফাইল ম্যানেজমেন্টে সহায়তা করে, এতে ব্যবহারকারীরা তার প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম একটি কমিউনিকেশন লিংক তৈরি করে ব্যবহারকারী এবং কমপিউটারের মধ্যে। ব্যবহারকারীকে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা ও আউটপুট সঠিকভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে বেশ কিছু সাধারণ কাজ ব্যতীত যেমনÑ নেটওয়ার্ক প্যাকেট অথবা ডিসপ্লেয়িং টেক্সট স্ট্যান্ডার্ড আউটপুট ডিভাইসে। এতে সিস্টেম সফটওয়্যারে অফলোড হয়, যা অ্যাপ্লিকেশন ও হার্ডওয়্যারের মাঝে কাজ করে। প্রত্যেক অ্যাপ্লিকেশন স্টোরেজ ডিভাইস থাকে, কিন্তু ওএস সেই কল গ্রহণ এবং করোসপন্ডিং ড্রাইভার ব্যবহার করে কলটাকে অ্যাকশন বা কমান্ডে পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট কমপিউটারের হার্ডওয়্যারে। বর্তমানে অপারেটিং সিস্টেম সুবিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম সুবিধা প্রদান করে যা নির্দিষ্ট করে গঠন এবং নিয়ন্ত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হার্ডওয়্যার যেমনÑ প্রসেসর, মেমোরি ডিভাইস এবং মেমোরি ম্যানেজমেন্ট যেমন চিপসেট, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং, পোর্ট কমিউনিকেশন যেমনÑ ভিডিও গ্রাফিক্স অ্যারে (ভিজিএ), হাই ডেফিনেশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস (এইচডিএমআই) এবং ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস (ইউএসবি) এবং সাবসিস্টেম ইন্টারফেস।       


অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ 


অপারেটিং সিস্টেম কমপিউটার ব্যবহারকারী এবং কমপিউটার হার্ডওয়্যারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস, এতে কমপিউটার কার্যক্রম পরিচালনাতে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে, যেমনÑ 


মেমোরি ম্যানেজমেন্ট 


প্রাইমারি মেমোরি বা মূল মেমোরি ব্যবস্থাপনাকে মেমোরি ম্যানেজমেন্ট বলা হয়। মূল মেমোরি শব্দের বড় আকারের অৎৎধু অথবা বাইট, যেখানে প্রত্যেক শব্দ বা বাইটের নিজস্ব অ্যাড্রেস বা ঠিকানা থাকে। মূল মেমোরি দ্রæত স্টোরেজ সরবরাহ করে, যা সরাসরি সিপিইউতে (সেন্ট্রাল প্রসেসর ইউনিট) একটি প্রোগ্রাম থেকে কাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম মেমোরি ম্যানেজমেন্টের জন্যে নিম্নক্ত কাজগুলো করে 

প্রাইমারি মেমোরি ট্র্যাক করে কোন পার্টগুলো ব্যবহার হবে আর কোনগুলো ব্যবহার হবে না।    

মাল্টিপ্রোগ্রামিংয়ে ওএস বা অপারেটিং সিস্টেম সিদ্ধান্ত নেয় কোন প্রক্রিয়া মেমোরি পাবে কখন এবং কী পরিমাণ। 

মেমোরি বণ্টন করা কখন প্রসেস রিকুয়েস্ট করা হবে। 

বরাদ্দ ত্যাগ করা যখন প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের জন্যে কাজ করবে না অথবা সমাপ্ত হয়েছে।


প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট 


মাল্টিপ্রোগ্রামিং পরিবেশে অপারেটিং সিস্টেম সিদ্ধান্ত নেয় কোন প্রক্রিয়া প্রসেসর পাবে কখন এবং কত সময়ের জন্য। এই কার্যক্রমকে প্রসেস শিডিউলিং বলে। অপারেটিং সিস্টেম প্রসেসর ম্যানেজমেন্টে নি¤েœাক্ত কাজ করেÑ 

প্রসেস স্ট্যাটাস বা প্রসেসর ট্র্যাক বা পর্যবেক্ষণ করে। প্রোগ্রাম উক্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত, যা ট্রাফিক কন্ট্রোলার নামে পরিচিত।

প্রসেসর বণ্টন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে। 

বরাদ্দ প্রসেসর বাতিল করে যখন প্রসেস বা কাজ দীর্ঘায়িত হয় না।    


ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট 


একটি অপারেটিং সিস্টেম রেসপেক্টিভ ড্রাইভের মাধ্যমে ডিভাইস কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি যে কাজ করে

সকল ডিভাইস ট্র্যাক বা পর্যবেক্ষণ করে, প্রোগ্রাম যা ভ‚মিকাতে থাকে তা ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোলার। 

সিদ্ধান্ত নেয় কোন প্রসেস কখন এবং কত সময়ের জন্য ডিভাইস পাবে। 

ডিভাইস খুব দক্ষভাবে বণ্টন করে। 


ফাইল ম্যানেজমেন্ট 


একটি ফাইল সিস্টেম সহজ নেভিগেশন এবং ব্যবহারের জন্য সাধারণত ডিরেক্টরিতে সুবিন্যস্ত থাকে। ফাইল ম্যানেজমেন্টের জন্য অপারেটিং সিস্টেম যে কাজগুলো করে 

তথ্য, লোকেশন, ব্যবহার এবং স্ট্যাটাসের মতো বিষয় ট্র্যাক করে। এবং একসাথে সকল সুবিধাকে ‘ফাইল সিস্টেম’ বলে। 

সিদ্ধান্ত নেয় কে রিসোর্স পাবে। 

রিসোর্স বণ্টন করে। 

প্রয়োজনে বরাদ্দ না করে। 


আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম 


নিরাপত্তা : পাসওয়ার্ড বা অন্য প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যা ডেটা বা প্রোগ্রামে অননুমোদিত প্রবেশ করতে দেয় না।  

সিস্টেম পারফরম্যান্সের ওপর নিয়ন্ত্রণ : সার্ভিসের জন্য রিকুয়েস্ট এবং সিস্টেমের রেসপন্সের মধ্যে দেরি হওয়াকে রেকর্ড করে। 

জব অ্যাকাউন্ট : সময় এবং রিসোর্স বিভিন্ন জব এবং ইউজারদের ব্যবহার করা পর্যবেক্ষণ করে। 

এরর ডিটেক্ট এইড : ডাম্প, ট্রেস, ভুল মেসেজ এবং অন্য ডিবাগ নির্ধারণ করে। 

ইউজার ইন্টারফেস : অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ ইউআই বা ইউজার ইন্টারফেস, যা ব্যবহারকারীর তথ্য বা ডেটা গ্রহণে সহায়তা করে। যেটা কমান্ড, কোড এবং ফরম্যাট দ্বারা সম্পন্ন হয়। 

বুটিং : কমপিউটার অন এবং সিস্টেম পরিচালনা বুটিং প্রসেসে অপারেটিং সিস্টেমে হয়। 

প্রসেস ম্যানেজমেন্ট : অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন করা হয়েছে বিভিন্ন কমপিউটারে রিসোর্স বা ডেটা বণ্টন, ডেটা শেয়ার, ডেটা সুরক্ষা ও কাজের সমন্বয়ে। 

সফটওয়্যার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয় : সমন্বয় এবং কম্পাইলারের কাজ, অনুবাদ, সন্নিবেশ এবং অন্যান্য সফটওয়্যারের কাজ বিভিন্ন কমপিউটার ব্যবহারকারীর সিস্টেমের জন্য সমন্বয় করে।       


অপারেটিং সিস্টেমে ৩২ এবং ৬৪ বিট কী 


কমপিউটারে ৩২ বিটের অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট কাঠামো, যা ৩২ বিটের ডেটা প্রেরণে সক্ষম। এটি তথ্যের একটি পরিমাণ যেটা আপনার সিপিইউ দ্বারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে যখন অপারেশন সংগঠিত করবে। অপরদিকে, ৬৪ বিটে অপারেটিং সিস্টেমে ৬৪ বিটের পরিমাণ ডেটা প্রেরিত হবে এবং ৬৪ বিট মাইক্রোপ্রসেসর কমপিউটারে ৬৪ বিটের ডেটা ও মেমোরি অ্যাড্রেস অনুমোদন করে। ৩২ এবং ৬৪ বিটের মধ্যে কিছু সুনির্দিষ্ট পার্থক্য আছে, যেমন


৩২ বিট 


৩২ বিট প্রসেসরে ৪ জিবি অ্যাড্রেসেবল স্পেস থাকে, ৬৪ বিট অ্যাপ্লিকেশন এখানে কাজ করে না। স্ট্রেস টেস্টিং এবং মাল্টি টাস্কিংয়ের জন্য উত্তম নয়। ৩২ বিট অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশনে ৩২ বিট সিপিইউ প্রয়োজন। উইন্ডোজ ৭, ৮, ভিস্তা, এক্সপি এবং লিনআক্স ৩২ বিট সিস্টেমে ৩.২ জিবি র্যামের মধ্যে কাজ করে, এ জন্য ৪ জিবি ফিজিক্যাল মেমোরি স্পেস পুরো ব্যবহার করতে পারবেন না। ১৯৯০-এর শেষের দিকে এবং ২০০০ সালের শুরু দিকে ডেভেলপ করা সব পুরনো ডিভাইসের সাথে কাজ করতে পারে।     


৬৪ বিট


১৯৭০ দশকের দিকে সুপারকমপিউটারে ৬৪ বিটের সিপিইউ ব্যবহার হয়েছিল। আর নব্বই দশকের শুরুতে ওয়ার্কস্টেশনে এর ব্যবহার হয়। ৬৪ বিট প্রসেসরে ১৬ জিবির অ্যাড্রেসেবল স্পেস আছে, ৩২ বিটের অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রোগ্রাম এতে কাজ করে। ৬৪ বিট ওএসের জন্য ৬৪ বিট সিপিইউ প্রয়োজন। উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল, উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭, ৮, ১০ এবং লিনআক্স ও ম্যাকওএসএক্স ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রামের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। সিকিউরিটি প্রটেকশন, ৬৪ বিট প্রসেসর ১৬ টেরাবাইট ভার্চুয়াল মেমোরি তৈরি করা অনুমোদন করে।    


অপারেটিং সিস্টেমের ধরন


একটি বড় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার হতে পারে, সে ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের কথা উল্লেখ করা হলো


রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম 


মেশিন নিয়ন্ত্রণ, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেমে ‘রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম’ ব্যবহার করা হয়। রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম অতি ক্ষুদ্র ইউজার ইন্টারফেস ক্যাপাবিলিটি এবং নো এন্ড-ইউজার সুবিধা রয়েছে, যখন থেকে ‘সিলডবক্স’ ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয়। এটি কমপিউটারের রিসোর্স নিয়ন্ত্রণ করে, এতে সুনির্দিষ্ট অপারেশন বা কাজ হয় নির্দিষ্ট সময় পরে যখন ঘটনা ঘটে। জটিল মেশিনে কাজ দ্রæত হয়, কারণ তখন সিস্টেম রিসোর্স অনুঘটক বা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যদি তা না হয়, তাহলে বুঝতে হবে সিস্টেম ব্যস্ত। 


নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম 


লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহার, নেটওয়ার্ক প্রটোকল বুঝতে পারা, নেটওয়ার্ক প্যাকেট বিনিময়ে প্রয়োজন। বর্তমানে নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম বৃহৎ পরিসরে প্রচলিত নয়, বরং অপর অপারেটিং সিস্টেম এখন নেটওয়ার্ক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। রাউটার, সুইচ, ফায়ারওয়্যালের মতো এই ধারণায় বর্তমানে কাজ করছে। যেমনÑ সিসকো ইন্টারনেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম, রাউটারওএস। 


মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম 


মোবাইল কমপিউটিং এবং ডিভাইসভিত্তিক যোগাযোগের মৌলিক প্রয়োজনে সমন্বয় করা ডিজাইন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যেমনÑ স্মার্টফোন, ট্যাবলেট। মোবাইল কমপিউটিং নির্ধারিত কমপিউটিং রিসোর্স প্রদান করে গতানুগতিক কমপিউটারের তুলনায় এবং অপারেটিং সিস্টেম অবস্থা পরিমাপ করে রিসোর্স ব্যবহার করে। এদিকে, নিশ্চিত করে ডিভাইস কার্যক্রম পরিচালনাতে যথেষ্ট রিসোর্স সরবরাহ করে। মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেয়, ইউজার সাড়া এবং ডেটা নিয়ন্ত্রণ করে, যেমনÑ মিডিয়া স্ট্রিমিং সাপোর্ট অ্যাপল আইওএস, গুগল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের ভালো উদাহরণ।   


ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম 


কমপিউটারের সাথে এ ঘরনার অপারেটিং সিস্টেম সরাসরি ইন্টারেক্ট করে না। এখানে অপারেটর আছে, প্রত্যেক ব্যবহারকারী অফলাইন ডিভাইস যেমনÑ পাঞ্চ কার্ড, সাবমিটের মাধ্যমে কমপিউটার অপারেটরের মাধ্যমে কাজ করে। ব্যাচ সিস্টেমের প্রসেসর জানে কখন কত সময় কাজ হচ্ছে, ১৯৭০ সালের দিকে ব্যাচ প্রসেসিং খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, এই অপারেটিং সিস্টেম সকল জবকে একসাথে করে যা একই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই জব গ্রæপ ‘ব্যাচ’ হিসেবে পরিচিত এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে। ‘জব’ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউনিটÑ যা কমান্ড, ডেটা এবং প্রোগ্রামের সিকুয়েন্স পূর্বনির্ধারিতভাবে নিয়ে গঠিত। অপরদিকে প্রসেসিং কাজ করে কি তারা রিসিভ বা গ্রহণ করবে অর্থাৎ, First Come, First Serve জবগুলো মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়, এবং ম্যানুয়াল ইনফরমেশন বা তথ্য ছাড়া কার্যক্রম সম্পন্ন করে। যখন একটি জবের সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়, অপারেটিং সিস্টেম স্টোর থেকে রিলিজ করে। ‘ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম’র প্রাথমিক কাজ হচ্ছে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাচের কাজ পরিচালনা করা এবং ব্যাচ মনিটর দ্বারা ব্যাচ প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। অপারেটিং সিস্টেমটি সিপিইউতে (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) স্বল্প প্রেশার গ্রহণ করে এবং আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম এখন ইন্টারেকশন সাপোর্ট করে, যেমনÑ ‘জব’ শিডিউল করবেন আপনি, আর যখন নির্দিষ্ট সেই সময় হবে তখন কমপিউটার প্রসেসর সেই কাজ সমাপ্ত করে। বারবার অপারেটিং সিস্টেম বিশাল জব সহজে নিয়ন্ত্রণ করে। যখন একটি জব বা কাজ সম্পন্ন হয় তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী জবে কোনো প্রকার ইউজার ইন্টারেকশন ছাড়া জব স্পুল থেকে জব শুরু হয়।      


এমবেডেড অপারেটিং সিস্টেম 


হোম ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম), এয়ারপ্লেন সিস্টেম, রিটেইল পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) টার্মিনাল এবং ইন্টারনেট অব থিংসের মতো ডিভাইসগুলোর অপারেটিং সিস্টেম দরকার। এমবেড সিস্টেম ডেডিকেটেড কাজের জন্য বৃহৎ মেকানিক্যাল অথবা ইলেকট্রনিক সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম দ্রæত কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং বেশিরভাগ সময় একটি চিপ অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহ করে, যা মূল ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে। ‘লিনআক্স’ এমবেডেড অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ।       


 সিঙ্গেল ইউজার সিঙ্গেল টাস্ক


অপারেশন সিস্টেম কমপিউটার নিয়ন্ত্রণে ডিজাইন করা হয়, অতএব একজন ব্যবহারকারী সফলভাবে একটি কাজ একই সময়ে করতে পারবে। এমএস-ডস সিঙ্গেল ইউজার, সিঙ্গেল টাস্ক বা কাজের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ভালো উদাহরণ। 


সিঙ্গেল ইউজার, মাল্টিটাস্কিং 


মানুষের কাছে এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কমপিউটারে বর্তমানে ব্যবহার অনেক। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এবং অ্যাপলের ম্যাকওএস প্ল্যাটফর্ম সিঙ্গেল ইউজার মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য উত্তম অপারেটিং সিস্টেম। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে একই সময়ে বেশ কয়েক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর এটা একটি ওয়ার্ড প্রসেসরে নোট লিখতে একজন উইন্ডোজ ইউজারের পক্ষে সম্ভব, যখন একটি ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে টেক্সট প্রিন্টিং করা হয়। 


ক্লায়েন্ট অপারেটিং সিস্টেম 


কমপিউটার ডেস্কটপ এবং বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইসের মধ্যে ক্লায়েন্ট অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে। কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবস্থার থেকে এই সিস্টেমটি ভিন্নভাবে কাজ করে, কারণ এটি শুধুমাত্র একজন সিঙ্গেল ইউজারকে সাপোর্ট করে। স্মার্টফোন এবং ক্ষুদ্র কমপিউটার ডিভাইস ক্লায়েন্ট অপারেটিং সিস্টেমকে সাপোর্ট করে। প্রত্যেক কমপিউটারের একটি নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম থাকে, ক্লায়েন্ট বা সার্ভার নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম কেন্দ্রীয় কার্যক্রম পরিচালনাতে নেটওয়ার্ককে সুযোগ প্রদান করে। সার্ভার সিস্টেমের কেন্দ্রে থাকে, রিসোর্স এবং নিরাপত্তা প্রবেশে অনুমতি প্রদান করে। নেটওয়ার্ক একই রিসোর্স ফিজিক্যাল লোকেশনের মাধ্যমে শেয়ার করার সুযোগ একাধিক ব্যবহারকারীকে প্রদান করে। সেন্ট্রাল সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম লোকাল ক্লায়েন্ট সিস্টেম অপারেটিং সিস্টেম থেকে সাধারণত ভিন্ন হয়।    


মাল্টি ইউজার 


একটি মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ধরনের ইউজার বা ব্যবহারকারীদের স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কমপিউটার রিসোর্সের সুবিধা নিতে সহায়তা করে। যত প্রোগ্রাম অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়, তা যথেষ্ট এবং ভিন্ন ভিন্ন রিসোর্স থাকে। সেজন্য একটি সমস্যা একজন ইউজারের পুরো কমিউনিটির ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। ইউনিক্স, ভিএমএস এবং মেইনট্রিম অপারেটিং সিস্টেম যেমনÑ এমভিএস হচ্ছে মাল্টি ইউজারের উদাহরণ।


ডিস্ট্রিবিউটেড 


এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম একই সময়ে অনেকগুলো কমপিউটার নিয়ন্ত্রণ করে বরং একটি শক্তিশালী কমপিউটারের ব্যবহার করে বড় সমস্যার কাজ সম্পাদন করতে। ডিস্ট্রিবিউটেড ওএসইএস ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে অনেকগুলো কমপিউটার বিভক্তি করে। বড় সার্ভার ফার্মে এ ধরনের সিস্টেম খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান তাদের ডিস্ট্রিভিউটেড সিস্টেম মেশিনে তৈরি করে। যখন রিসোর্স শেয়ার করা হয়, কমপিউটেশন তখন অনেক দ্রæত ও টেকসই হয় এবং ইলেকট্রনিক মেইল ডেটা বিনিময় গতি বৃদ্ধি করে।  


নেটওয়ার্কিং সাপোর্ট করে এমন মাল্টি অপারেটিং সিস্টেম এবং সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম ভিন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এবং সেখানে সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কি সফটওয়্যার আপনার কমপিউটারের কাজ করবে আর করবে না সেটা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে সেটা নেটওয়ার্কের অংশ। আপনি একটি ডকুমেন্ট প্রিন্টারের মাধ্যমে অন্য কর্মকর্তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন অথবা একটি ফাইল সার্ভার রাখতে পারেন যেখানে ডিপার্টমেন্টের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে।              


সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম 


সার্ভার ব্যবহারের কথা চিন্তা করেই সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন করা। ব্যাপক সংখ্যক ক্লায়েন্টের সার্ভিস প্রদানে ব্যবহৃত এটি অ্যাডভান্সড লেভেলের অপারেটিং সিস্টেম। ক্লায়েন্ট সার্ভার কাঠামো বা এন্টারপ্রাইজ কমপিউটিং এনভায়রনমেন্টের কথা চিন্তা করে ফিচার ও কার্যকারিতা নিয়ে অপারেটিং সিস্টেমটি গঠিত। সার্ভার এক ধরনের কমপিউটার, যা ডেটা সব কমপিউটারের জন্য সহজলভ্য করে। ইন্টারনেট জুড়ে ডেটা প্রবাহ করে খঅঘ (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) এবং ডঅঘ (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক) সাহায্য নিয়ে। যেমনÑ ওয়েব সার্ভার অ্যাপাচি এইচটিটিপি সার্ভার অথবা মাইক্রোসফট আইআইএস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, যেটা ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটকে প্রবেশে সাহায্য করে। সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম সাধারণ কাজ, যেমনÑ উইন্ডোজ, ফাইল এবং ডেটাবেজ সার্ভার, ওয়েব সার্ভার, মেইল সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার, এবং প্রিন্ট সার্ভার সাপোর্ট ও কার্যকর করে। অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাডভান্সড ভার্সন অপারেটিং সিস্টেমটি এবং সার্ভার ক্লায়েন্ট কমপিউটার নেটওয়ার্কে রিকুয়েস্ট পাঠায়। অপারেটিং সিস্টেম কমান্ড থেকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, অপারেটিং সিস্টেমটি বিশাল প্রোগ্রাম পরিচালনাতে ব্যবহার হয় বিশাল পরিমাণ ডেটা সহজভাবে শেয়ার করাতে এবং গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস এবং কমান্ড লেভেল ইন্টারফেসে প্রবেশ করে। কেন্দ্রীয় ইন্টারফেসের মাধ্যমে ইউজার, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এতে অ্যাডভান্সড লেবেল হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন প্রক্রিয়া সরবরাহ করা হয়। এটি বিজনেস এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বিন্যস্ত ও ইনস্টল করে। 


কয়েক ধরনের সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম 


সার্ভার অপারেটিং সিস্টেমকে নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমও বলা হয়ে থাকে, যেটা সিস্টেম সফটওয়্যার যা সার্ভার পরিচালনা করে। প্রায় সব সার্ভার বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে। চারটি মেইনট্রিম সার্ভারের কথা উল্লেখ করা হলো 


ইউনিক্স 


টাইম-শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স কমপিউটার জনপ্রিয় সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পরিচিত ক্লায়েন্ট সার্ভার এনভায়রনমেন্টে। ‘সি’ প্রোগ্রামিং ভাষাতে লেখা এবং এটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট করে। ইউনিক্স মাল্টি ইউজার এনভায়রনমেন্ট, মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম, বিল্টইন ঞঈচ/ওচ সাপোর্ট করে ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে। বর্তমানে প্রায় ৯০ ভাগের বেশি সাইট যারা সার্ভিস প্রদান করে ইন্টারনেটে তারা ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। 


উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম 


উইন্ডোজ সিরিজের অপারেটিং সিস্টেম যেমনÑ উইন্ডোজ ২০০০ এবং উইন্ডোজ ২০০৩ হচ্ছে মূলত নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম যেটা নেটওয়ার্কের সার্ভারে ব্যবহার হয়। এটি ভার্চুয়াল মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস, মাল্টিটাস্কিং এবং বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সাপোর্ট করে। মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ডেস্কটপ কমপিউটার, সার্ভার এবং মোবাইল ডিভাইসের জন্যও প্রদান করে।  


লিনআক্স 


ইউনিক্সের সকল ফিচার নিয়ে ১৯৯১ সালে ভার্সনে .১১ সফটওয়্যার রিলিজ পায়। বিনামূল্যের অপারেটিং সিস্টেমটি ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ডেভেলপ করা হয়। মাল্টি ইউজার, মাল্টি প্রসেস, মাল্টি থ্রেড গ্রহণ করে এবং রিয়েল টাইম ভালো পারফরম্যান্স রয়েছে। ওএস সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে টেক্সট এডিটর এবং হাই-লেবেল কম্পাইলার থাকে, যা উইন্ডোজ, আইকন এবং মেন্যুর মাধ্যমে সিস্টেমে নিয়ন্ত্রিত হয়।  


নেটওয়ার অপারেটিং সিস্টেম         


নেটওয়ার অপারেটিং সিস্টেম সার্ভার নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন পড়ে। শুরুর দিকের কমপিউটার নেটওয়ার্কে বিশেষ করে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কাঠামোতে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হতো। নোবেল ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে ডেভেলপ করে নেটওয়ার অপারেটিং সিস্টেম। নেটওয়ার সিরিজ অপারেটিং সিস্টেম মাল্টি প্রসেসর এবং ব্যাপক মাত্রায় ফিজিক্যাল মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট করে, যা শেয়ার্ড ফাইল প্রবেশ এবং প্রিন্টিং কাজ প্রবেশের সুযোগ এবং উচ্চমানের কর্পোরেট নেটওয়ার্ক সাপোর্ট প্রদান করে ওপেন স্ট্যান্ডার্ড ও ফাইল প্রটোকলসহ। নেটওয়ার৫ অপারেটিং সিস্টেমটির নতুন ভার্সন, এর জন্যে ন্যাটিভ ইন্টারনেট প্রটোকল, ডায়নামিক হোস্ট কনফিগারেশন প্রটোকল, ডোমেইন নেম সিস্টেম (ডিএনএস) এবং মাল্টি প্রসেসিং কার্নাল ভার্চুয়াল মেমোরি সাপোর্ট।   


অপারেটিং সিস্টেমের বিশ্ব মার্কেট     


অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের মার্কেট শেয়ার ৪৩.৫৩ ভাগ, আর ৪১.৫৯ ভাগ মার্কেট শেয়ার নিয়ে উইন্ডোজ ৭ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহারকারীর অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয়। অপরদিকে নেটমার্কেট শেয়ারের ২০২১ জুলাই তথ্যে, ম্যাকওএস ক্যাটালিনা ৭৭.২৩ ভাগ ম্যাক ইউজার ব্যবহার করেন। আইডিসির তথ্যে, বিশ্বব্যাপী ৮৫.৫ ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন। এদিকে, আইওএস ১২.১’র মার্কেট শেয়ার ৫৫.৩৯ ভাগ এবং লিনআক্সের বর্তমান মার্কেট শেয়ার ২.৪ ভাগ।         


জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম 


বিশ্বের জনপ্রিয় ৫ অপারেটিং সিস্টেম মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনে ফোন, কমপিউটার, মোবাইল ডিভাইস কিংবা ট্যাবলেটে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছেন। যেগুলো ডিজিটাল ডিভাইসের নিরাপত্তা, ইউজার অ্যাক্সেস, রুটিন অপারেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে নির্ভরতার নাম। অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলোÑ 


মাইক্রোসফট উইন্ডোজ 


১৯৮০’র দশক থেকে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ‘উইন্ডোজ ওএস বা অপারেটিং সিস্টেম’র অনেকগুলো ভার্সন যেমনÑ উইন্ডোজ৯৫, উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭/৮/৯/১০ ইত্যাদি। নতুন যেকোনো পার্সোনাল কমপিউটারের হার্ডওয়্যারে অপারেটিং সিস্টেমটি ইনস্টল করা হয়। মাইক্রোসফট নিয়মিত তাদের ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের উন্নয়ন ঘটিয়ে আরও বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের কন্ট্রোল প্যানেল, ডেস্কটপ এবং ডেস্কটপ অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডিস্ক ক্লিনআপ, ইভেন্ট ভিউয়ারের মতো অনেক রকম সুবিধা রয়েছে। অনেক ধরনের সফটওয়্যারের সাথে একীভ‚ত হয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে বলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সবার পছন্দ।    


অ্যাপল আইওএস 


অ্যাপল ফোনে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার হয়, আইওএসে নিয়মিত আপডেট, নতুন সফটওয়্যার পরিধি এবং অপারেটিং সিস্টেমটি অন্য অ্যাপল ডিভাইসে সংযোগে সুবিধা প্রদান করে। শক্তিশালী এনক্রিপশন প্রক্রিয়া থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো।   


গুগল অ্যান্ড্রয়েড ওএস


স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে ব্যবহৃত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। বিভিন্ন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের তৈরি ডিভাইসে ওপেনসোর্সভিত্তিক সিস্টেমটি অপারেটিং সিস্টেমটি ইনস্টল করা হয় এবং গুগল প্লে স্টোর গুগল ডিভাইসে থাকে।  


অ্যাপল ম্যাকওএস 


ওএসএক্স অপারেটিং সিস্টেমের পরবর্তী পর্যায়ের অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যাপল ম্যাকওএস’, যা অ্যাপলের ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপে ব্যবহার হয়। ইউনিক কমান্ড কবু যেমনÑ কমান্ড কি এবং স্পটলাইট কালার বাটন ওপেন প্রোগ্রাম উইন্ডো নতুন পরিমাপ দিতে ব্যবহার হয়। ‘ম্যাকওএস’ জনপ্রিয় এর ইউজার ফ্রেন্ডলি বৈশিষ্ট্যের জন্যে, যার অন্তর্ভুক্ত ‘সিরি’, যাতে একটি ন্যাচারাল ভয়েস পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ফেসটাইম, অ্যাপল ভিডিও কলিং অ্যাপ্লিকেশন।  


লিনআক্স অপারেটিং সিস্টেম 


অ্যাপল এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম থেকে ভিন্ন একটি ওপেনসোর্সভিত্তিক সফটওয়্যার। যেকেউ পরিবর্তন কিংবা বণ্টন করতে পারে, বিনামূল্যের এবং পেইড অপারেটিং সিস্টেমটি সুবিস্তৃতভাবে কর্পোরেট এবং সায়েন্টিক সার্ভারে ব্যবহার হয়, যেমন ক্লাউড কমপিউটিং এনভায়রনমেন্ট। 


ফোর্বসের জানুয়ারি ২০২১’র তথ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপলের সম্পদ ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর, মাইক্রোসফটের ১.৬৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অ্যালফাবেট অর্থাৎ, গুগলের মূল কোম্পানির সম্পদমূল্য ১.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অপারেটিং সিস্টেম মার্কেট বিশ্বে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে।








১ টি মন্তব্য

  • Md biplop

    Md biplop

    ২০২২-০৫-১৮ ১৬:৪২:৪৪

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধন্যবাদ



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।