এআই প্রযুক্তির বিভিন্ন মডেল রসিকতা ঠিকমতো বুঝতে পারে না। আর তাই ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’ এই বাক্যের অর্থ জিজ্ঞাসা করলে চ্যাটজিপিটি জানায়, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি’ একটি বাংলা প্রবাদ, যা সাধারণত বলা হয়, যখন কেউ অপরাধ করে এবং নিজের অজান্তে তা স্বীকার করে নেয়।’
অর্থাৎ চ্যাটজিপিটি বাক্যটির মধ্যে থাকা রসিকতা বুঝতে পারেনি। এই সমস্যা সমাধানে নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা এবার রসিকতা শনাক্তের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর মডেল তৈরি করছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কে মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যোগাযোগের সুযোগ করে দিতে এ মডেল তৈরি করেছেন গবেষকেরা।
গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পিচ টেকনোলজি ল্যাবের বিজ্ঞানী ম্যাট কোলার বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এআই কতটা মানুষকে বুঝতে পারে।
আমরা একটি নির্ভরযোগ্য উপায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরির জন্য কাজ করছি। এই মডেল মানুষের রসিকতা বা ঠাট্টা বুঝতে পারে।
বিখ্যাত বিগ ব্যাং থিওরি সিরিজের প্রধান চরিত্র শেলডন কুপারের একটি বিখ্যাত সংলাপ হচ্ছে, অন্যদের বোকামির জন্য আমার কান্না পায়।
যে কারণে আমার দুঃখ হয়। এই সংলাপে যে অন্য বন্ধুকে শেলডন হেয় করছে, তা এআই শনাক্ত করতে পারে। আবার শেলডনের উক্তি, আমি সব সময় নিজের কথা শুনি।
নিজের কথা শোনা আমার জীবনে সবচেয়ে আনন্দের কাজগুলোর একটি। এসবও বুঝতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।’
বিজ্ঞানী ম্যাট জানিয়েছেন প্রচলিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলে শুধু অ্যালগরিদম আর তথ্য নিয়ে কাজ করা হলেও নতুন মডেলটিতে এআইকে ভাষার গভীরতা বেশি শেখানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কৌতুকের মাধ্যমে অনেক কিছু প্রকাশ করা হয়। আর তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য যন্ত্রেরও কৌতুক ও রসিকতা বোঝা প্রয়োজন।
অনেক বাক্যে থাকা রসিকতা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। মানুষ সাধারণত রসিকতা খুব সহজে প্রকাশ করতে পারে।
রসিকতা প্রকাশের সময় গলার স্বর, অঙ্গভঙ্গি, চোখের দৃষ্টিসহ নানা বিষয় যুক্ত থাকে। সাধারণ কথা ও ব্যঙ্গাত্মক কথাকে মেশিনের জন্য আলাদা করে বোঝা কঠিন।
গবেষকেরা সেই বিষয়কেই সংকেত আকারে মেশিনকে বোঝানোর কাজ করছেন। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৭৫ ভাগ সঠিকভাবে রসিকতা ও সাধারণ কথার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছে।
০ টি মন্তব্য