মোবাইল সেবার ওপর এভাবে অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপ গ্রাহক এবং শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেবার মূল্য বাড়ালে গ্রাহক মোবাইলের ব্যবহার কমিয়ে দেবে। এতে রাজস্ব আদায় কমে যাবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত এই সম্মেলনে অপারেটর প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
তারা প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন এবং এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার।
বক্তারা বলেন, মোবাইল খাতে নতুন করে করারোপ না করে তাকে যৌক্তিক অবস্থায় আনতে এনবিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল।
সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। উল্টো কর বাড়ানো হয়েছে। অর্থনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। নতুন প্রস্তাব অনুসারে মোবাইল সেবায় গ্রাহককে ৩৯ শতাংশ কর দিতে হবে।
অর্থাৎ ১০০ টাকার মোবাইল সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।
বক্তরা বলেন, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। তবে করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব।
অর্থাৎ ১০০ টাকার মোবাইল সেবা ব্যবহারে গ্রাহকদের সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।
বক্তরা বলেন, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। তবে করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব।
করনীতি স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের বিপরীত দিকে হাঁটছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিআরসির তথ্য আনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে একজন মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডেটা ব্যবহার করেন। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মাসে গ্রাহক ব্যবহার করে ২৭ থেকে ২৯ জিবি।
০ টি মন্তব্য