https://gocon.live/

প্রযুক্তি

ছাত্র অসুস্থ হওয়ায় ক্লাস করছে অবতার রোবট

ছাত্র অসুস্থ হওয়ায় ক্লাস করছে অবতার রোবট ছাত্র অসুস্থ হওয়ায় ক্লাস করছে অবতার রোবট
 

অসুস্থ হওয়ায় ক্লাস করতে পারছে না ছাত্র, তার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে অবতার রোবট


রোবটের মাধ্যমেই স্কুলের সব ক্ষেত্রেই অংশ নিতে পারছে জার্মান ছাত্র জোশুয়া। তার পরিবর্তে ক্লাস করছে ওই রোবট। এমনকী, তারই জায়গাতে বসছে সে। ক্লাসের সব কাজও সে করে দিচ্ছে। আর কিছু বলার সময় হলেই সিগন্যাল দিচ্ছে।


শরীর ভালো না থাকায় স্কুলে (School) যেতে পারছে না ৭ বছরের জোশুয়া মার্টিনাঙ্গেলি (Joshua Martinangeli)। কিন্তু, বাড়িতে বসেই ক্লাস করতে পারছে সে। এমনকী, দেখতে পাচ্ছে বন্ধুদেরও (Friend)। একই সঙ্গে সে ক্লাসেও উপস্থিত থাকছে। না সেটা অনলাইনের (Online Class) মাধ্যমে নয়। আসলে সে স্কুলে যেতে না পারলেও তারই অবতার রোবট (Avatar Robot) পৌঁছে যাচ্ছে স্কুলে। আর সেই রোবটের মাধ্যমেই স্কুলের সব ক্ষেত্রেই অংশ নিতে পারছে জার্মান ছাত্র (German Student) জোশুয়া। তার পরিবর্তে ক্লাস করছে ওই রোবট। এমনকী, তারই জায়গাতে বসছে সে। ক্লাসের সব কাজও সে করে দিচ্ছে। আর কিছু বলার সময় হলেই সিগন্যাল দিচ্ছে। সেই সিগন্যালে সাড়া দিয়ে কথা বলছে জোশুয়া। এই ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। সেই রোবটের মাধ্যমেই ক্লাসে হওয়া সব কিছুই দেখতে পায় জোশুয়া। এমনকী আড্ডা দিতে পারে বন্ধুদের সঙ্গেও। 


সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে (Reuters) সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বার্লিনের পুসেতব্লাম গ্রান্ডশুলে স্কুলে পড়াশোনা করে জোশুয়া। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উতে উইন্টারবার্গ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, "ক্লাসের অন্য শিশুরা সেই অবতার রোবটের সঙ্গে কথা বলে, একসঙ্গেই ওরা হাসাহাসি করে, কখনও কখনও পড়াশোনার সময় চলে তাদের খুনসুটিও। জোশুয়াও স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে এই সব করত। আর রোবটও একইভাবে সেই কাজগুলি করে থাকে।" জোশুয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার মা সাইমন মার্টিনাঙ্গেলি বলেন, "ফুসফুসের একটি রোগের জন্য তার গলায় সব সময় একটি নল ভরা থাকে। আর সেই কারণেই সে স্কুলে যেতে পারে না। বার্লিনের মার্জ়ান হেলার্সড্রফ জেলার স্থানীয় কাউন্সিলের তরফে এই প্রাইভেট প্রজেক্টটির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জোশুয়ার চিকিৎসার খরচ, পড়াশোনার খরচ এবং সেই অবতার রোবটের খরচাও বহন করে স্থানীয় কাউন্সিল।"


এই অবতার রোবট প্রসঙ্গে জেলা শিক্ষা কাউন্সিলর টর্সটেন কুয়েহনে বলন, "বার্লিনে এক মাত্র আমাদের জেলায় প্রতিটি স্কুলের অবতার রোবট রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা এটিতে স্কুলে নিয়ে এসেছিলাম। তবে আমার মনে হয়, করোনা শেষ গেলেও আমাদের জন্য এই রোবট খুবই কার্যকর হতে চলেছে। রাজনৈতিক স্তরেও এই প্রজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন এবং পরবর্তীতে জার্মানির অন্য়ান্য রাজ্যের স্কুলগুলিতেও অবতার রোবট নিয়ে আসা হবে।" আর এই রোবটকে কাছে পেয়ে খুশি স্কুলের অন্য পড়ুয়ারাও। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধু জোশুয়াকেও কাছে পেতে চায় তারা।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।