৫জি চালু করলো গ্রামীণফোন (পরীক্ষামূলক)
বাংলাদেশে প্রথম ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করে টেলিটক, এবার গ্রামীণফোনেও চলে এলো ৫জি নেটওয়ার্ক। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে টেলিটক তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। দ্বিতীয় মোবাইল অপারেটর হিসেবে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি সেবা চালু করলো গ্রামীণফোন।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে ২৬জুলাই, মঙ্গলবার ৫জি চালু করে গ্রামীণফোন। আপাতত ৫জি সুবিধা ‘অনেকটা ট্রায়ালের মতো’ বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে গ্রামীণফোন। এখনই এই সেবা সবার জন্য উপলভ্য হচ্ছেনা। তারা সবেমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
যেসব স্থানে ৫জি চালু করা হয়েছে, সেসব স্থানে গ্রামীণফোন এর গ্রাহকগণ ৫জি সাপোর্টেড ডিভাইস ব্যবহার করে এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তবে এই ৫জি কাজ করতে হলে ডিভাইস প্যাচের প্রয়োজন পড়বে যা একটি অটোমেটেড প্রক্রিয়া।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ৫জি তরঙ্গ নিলামে তোলা হয়, যা দেশের চার মোবাইল অপারেটর ১০ হাজার ৬০১ কোটি টাকায় কিনে নেয়। আর তরঙ্গ কেনার এই তালিকায় শীর্ষে ছিলো গ্রামীণফোন ও রবি। নিলামে তরঙ্গ কেনার বেশ আগে থেকেই ৫জি অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে দেশী অপারেটরগুলো।
৪জি ইন্টারনেট এর তুলনায় ৫জি ইন্টারনেট এর গতি কমপক্ষে ১০গুণ অধিক। তবে এই ইন্টারনেট স্পিড নির্ভর করছে ডিভাইস, নেটওয়ার্ক এবং স্থানের উপর।
৪জি ইন্টারনেট এর সর্বোচ্চ স্পিড হতে পারে প্রতি সেকেন্ডে ১২.৫ মেগাবাইট। কিন্তু আমাদের দেশে ৪জি ইন্টারনেট এর স্পিড উল্লেখিত স্পিডের আশেপাশেও নেই। ৫জি ইন্টারনেট এর স্পিড ৪জি ইন্টারনেট এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে গ্রামীণফোন এর ৫জি ইন্টারনেট কি পরিমাণ স্পিড প্রদান করতে পারে।
বলে রাখা ভালো যে বাংলাদেশে এখনো বাণিজ্যিকভাবে কোনো মোবাইল অপারেটর ৫জি সেবা চালু করেনি। টেলিটক ও গ্রামীণফোন এখনো ৫জি নিয়ে পরীক্ষা চালাবে। ৫জি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে আপাতত, বাণিজ্যিকভাবে ৫জি সুবিধা চালু করলে ৫জি ইন্টারনেট প্যাক ঘোষণা করবে মোবাইল অপারেটরগুলো।
০ টি মন্তব্য