কোনো স্মার্টফোন কেনার সময় আমরা সবাই-ই সেটির ফিচারের ওপর গুরুত্ব দিই। ফোনে কী প্রসেসর রয়েছে, ক্যামেরা সেন্সর কেমন, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কিংবা ফোনের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি কত – এই সমস্ত জিনিসই আমাদের দেখার আসল বিষয় হয়ে থাকে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলিও দিনের পর দিন তাদের ডিভাইসে আকর্ষণীয় ফিচার দেয় এবং সেগুলির প্রচার চালায়। এদিকে, ফিচারে ঠাসা মুঠোফোন যতই রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়াক না কেন, আকছার বিভিন্ন রিপোর্টে বা নেটমাধ্যমে মোবাইল থেকে হওয়া ক্ষতি সম্পর্কে আলোচনা চলে। চোখের ক্ষতি, বৌদ্ধিক বিকাশ হ্রাসের মত বিষয়ের পাশাপাশি স্মার্টফোন থেকে ক্যান্সার এবং অন্যান্য শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে – এমন আশঙ্কার কথাই সবার মুখে মুখে ফেরে। তবে মেডিক্যালি বা সাইন্টিফিক্যালি এইসব বিষয়ের কোনো পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় না। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে ফোনের SAR (এসএআর) বা স্পেসিফিক অ্যাবসরপশন রেট যদি বেশি হয়, তাহলে তার থেকে উদ্ভূত বিকিরণ বা রেডিয়েশনের বেশিরভাগ পরিমাণই শরীর শোষণ করে। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে!
যারা জানেন না তাদের বলি, ফোন ব্যবহার করার সময় আমাদের শরীর কতটা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শোষণ করে, সেটা মাপা হয় এসএআর মান দিয়ে। তাই ক্রেতা হিসেবে ফোন কেনার সময় স্পেসিফিকেশন চেক করার পাশাপাশি এসএআর ভ্যালুর দিকেও খেয়াল রাখা উচিত। কিন্তু মুশকিলের বিষয় হল যে, স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি খুব কমই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কারণ এতে তাদের বিক্রি প্রভাবিত হতে পারে। তবে আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই এসএআর সম্পর্কিত কিছু তথ্য খেয়াল রাখুন।
০ টি মন্তব্য