https://powerinai.com/

ট্রিপস এন্ড ট্রিকস

রাউটার কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়

রাউটার কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয় রাউটার কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়
 

রাউটার কেনার সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়


বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর প্রসারের কল্যাণে ওয়াই-ফাই রাউটার একটি বহুল ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। বাসায় কিংবা অন্য কোনো স্থানে, এমনকি ফ্রি ওয়াইফাই, যেখানেই Wi-fi ব্যবহার করছেন, আপনি কিন্তু একটি রাউটারে সংযুক্ত রয়েছেন। এই পোস্টে ওয়াই-ফাই রাউটার কেনার সময় খেয়াল রাখা উচিত এমন বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন।


রাউটার নিবেন নাকি মডেম?


রাউটার কিনতে গেলে দেখবেন অনেক সময় অনলাইন শপে মডেম এর সাজেশন পাচ্ছেন। কিন্তু বুঝতে হবে মডেম ও রাউটার কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা দুইটি ডিভাইস যা দুইটি আলাদা কাজে ব্যবহৃত হয়। রাউটার এর মাধ্যমে একাধিক ডিভাইসে ইন্টারনেট চালানো যায়, আর মডেমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ একটি ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগণ বাসাবাড়িতে রাউটার এর মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন সেবা প্রদান করে থাকেন, তাই কেনার সময় রাউটার কিনছেন কিনা সে বিষয় নিশ্চিত করুন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় রাউটার কেনার আগে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপির সাথে কথা বলা। 


২.৪ গিগাহার্জ নাকি ৫গিগাহার্জ, নাকি উভয়?


২.৪ গিগাজার্জ এবং ৫গিগাহার্জ মূলত রেডিও তরঙ্গকে বুঝায় ও এগুলোকে ব্যান্ড বলা হয়ে থাকে। ২.৪গিগাহার্জ কানেকশন এর রেঞ্জ ৫গিগাহার্জ কানেকশনের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৫গিগাহার্জ কানেকশনের ক্ষেত্রে রেঞ্জ কম হলেও স্পিড অধিক পাওয়া যায়। বলে রাখা ভালো যে ৫গিগাহার্জ ওয়াইফাই এর সাথে ৫জি ইন্টারনেট এর কোনো সম্পর্ক নেই।


সিংগেল ব্যান্ড ভালো নাকি ডুয়াল ব্যান্ড?


সিংগেল ব্যান্ড রাউটারগুলো শুধুমাত্র ২.৪গিগাহার্জ ওয়েভে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সেবা দেয় ও সর্বোচ্চ ৩০০এমবিপিএস স্পিড দেয়। তবে অনেকগুলো ডিভাইস একসাথে কানেক্টেড থাকলে এই ব্যান্ডের স্পিড কমে যায়। মূলত কম ডিভাইসওয়ালা ছোট ঘরের জন্য সিংগেল ব্যান্ড রাউটার আদর্শ।  


অন্যদিকে আপনার ঘর যদি বড় হয় এবং অনেক ডিভাইসে একসাথে ইন্টারনেট ব্যবহারের চিন্তা থাকে, তাহলে ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। ডুয়াল-ব্যান্ড রাউটার এর আরেকটি সুবিধা হলো এর মাধ্যমে ২.৪গিগাহার্জ ও ৫গিগাহার্জ ওয়েভে দুইটি আলাদা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরী করা যায়।


এছাড়াও ট্রাই-ব্যান্ড রাউটারও রয়েছে যেগুলোর দাম অনেক বেশি। এসব রাউটার সাধারণ বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে হেভি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আদর্শ। ট্রাই-ব্যান্ড রাউটারগুলোতে একটি বাড়তি ৫গিগাহার্জ ব্যান্ড থাকে। এসব রাউটার ১১০০০এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড দিতে পারে, যা মূলত অনেক বিশাল ঘর ও গেমারদের জন্য আদর্শ।


ওয়াই-ফাই ৬ রাউটার


অন্য সকল প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে রাউটার এর প্রযুক্তির বেশ উন্নতি এসেছে, যার ফল হলো ওয়াইফাই ৬ রাউটার। দাম বেশি ও যথাযথ ব্যবহার না থাকায় নতুন প্রযুক্তির এই রাউটারগুলো আমাদের দেশে এখনো তেমন একটা জনপ্রিয় নয়। তবে বর্তমানে নতুন ডিভাইসগুলোতে ওয়াই-ফাই ৬ সাপোর্ট যুক্ত হচ্ছে ধীরেধীরে।


ওয়াইফাই ৬ হলো মূলত 802.11ax standard যা বেশ ডাটা সাশ্রয়ী, ভালো স্পিড প্রদান করে ও বেশ কম ব্যাটারি খরচ করে। অন্যদিকে WiFi 6E এর অর্থ হলো ওয়াইফাই ৬ রাউটারে শুধুমাত্র একটি আলাদা ৬গিগাহার্জ ব্যান্ড যুক্ত থাকা। এই আলাদা ব্যান্ডের সুবাদে অনেক বেশি স্পিড ও গেমিং বা ভিআর এর সাথে ব্যবহারে অনেক কম লেটেন্সি পাওয়া যায়।


রাউটার ফাংশনালিটি


রাউটার কেনার ক্ষেত্রে উক্ত রাউটার বিভিন্ন মোডে ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটি চেক করুন। একটি আদর্শ রাউটার অ্যাকসেস পয়েন্ট, রিপিটার, এক্সটেনডার, ইত্যাদি মোডে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে বেশিরভাগ রাউটারে অ্যাকসেস পয়েন্ট, রিপিটার বা এক্সটেনডার এর মত মোড থাকে যা ব্যবহার করে প্রাইমারি মডেল বা রাউটারের রেঞ্জ বাড়ানো যায়।


পোর্টস ও কানেকটিভিটি অপশন


ওয়াই-ফাই রাউটার কেনার আগে অবশ্যই যথেষ্ট পোর্ট ও কানেকটিভিটি অপশন আছে কিনা তা চেক করে নিন। রাউটারে জরুরি RJ45/Ethernet পোর্ট থাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার। এছাড়া এফটিপি ডাটা ট্রান্সফার রাউটার মাধ্যমে সম্পাদন করতে চাইলে সেক্ষেত্রে আপনার কেনা রাউটারে ডেডিকেটেড ইউএসবি পোর্ট আছে কিনা তা দেখে নিন।


ওয়াই-ফাই এক্সটেনডার


আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশন এর রেঞ্জ নিয়ে যদি অতিরিক্ত সমস্যায় থাকেন, তাহলে ওয়াইফাই এক্সটেনডার ব্যবহার করতে পারেন। সবসময় অনেক এন্টেনাওয়ালা রাউটার কিনে ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়না। বিশেষ করে রেঞ্জ সম্পর্কিত সমস্যার ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই এক্সটেনডার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এছাড়া ডুয়াল ব্যান্ড রাউটারে একাধিক ব্যান্ডের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সুন্দরভাবে সিগন্যাল ডিস্ট্রিবিউট করা যেতে পারে। আবার আপনার কাছে বাড়তি রাউটার পড়ে থাকলে ও তা যদি এক্সটেনডার বা রিপিটার মোডে ব্যবহার করা যায়। এভাবে পুরোনো রাউটার ব্যবহার করে আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশনকে শক্তিশালী করে তুলতে পারেন।


পরিশেষে এই বলবো, বুঝেশুনে রাউটার কিনুন। রাউটার কিনতে হবে রাউটার বক্সের গায়ে থাকা তথ্য পড়ে, ব্র‍্যান্ড বা কয়টি এন্টেনা আছে তা দেখে নয়। আর কম দামে বেশি এন্টেনার রাউটার কেনা থেকে বিরত থাকুন, এসব রাউটার মূলত বাজে ইন্টারনেট কানেকশন এর কারণ হয়ে থাকে। ওয়াই-ফাই রাউটার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।