বিটুবি মার্কেটিং
ডিজিটাল যুগে বিশ্বে প্রোডাক্ট বিক্রিতে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) পদ্ধতি অনুসরণ করে মার্কেটাররা বৃহৎ পরিসরে প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পরিচিত করছেন। একজন মার্কেটার হিসেবে আপনাকে ক্রেতার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবসায়িক কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে, সেজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করতে হতে পারে। জার্মান রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ‘ই-মার্কেটার’র তথ্যে, ২০২২ সালে বিটুবি ব্যবসাতে ১.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইউএসে লিংকডইন বিজ্ঞাপনে ব্যয় হবে। বিটুবি মার্কেটিংয়ে আপনার ব্যবসাকে আরেকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিচিত করে তাদেরকে ক্রেতা হিসেবে আকৃষ্ট করা মূল উদ্দ্যেশ্য।
বিটুবি মার্কেটিং কী
বিটুবি মার্কেটিং হচ্ছে মার্কেটিং কৌশল অথবা কনটেন্ট, যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাতে প্রয়োগ করা হয়। কোম্পানি যারা প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে তারা বিটুবি মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে। বিটুবি মার্কেটিংয়ের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আপনার ব্র্যান্ড নাম, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচিত করানো এবং তাদের কাস্টমারে পরিণত করা।
বিটুবি এবং বিটুসি মার্কেটিংয়ের পার্থক্য
বিটুবি মার্কেটিংয়ের কৌশল প্রতিষ্ঠানের দরকার, আগ্রহ এবং প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহের ওপর নির্ভর করে। কাস্টমারের উদ্দেশ্য থাকে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট, দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা ফলপ্রসূ করা। লজিক এবং আর্থিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে কাস্টমাররা অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এবং বিক্রয় প্রতিনিধির সাথে কাজ করে। অপরদিকে বিটুসিতে একক কাস্টমারের দরকার, প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কাস্টমার এক্ষেত্রে আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সরাসরি প্রোডাক্ট কিনে থাকে।
চার ধরনের বিটুবি ক্রেতা
বিটুবি ক্রেতা চার ধরনের, প্রডিউসার, রিসেলার, ইনস্টিটিউশন এবং সরকারি।
প্রডিউসার
যারা নিজেরা উৎপাদন করে এবং নিজেদের পরিষেবা অফার করে। এগুলো সার্ভিস প্রোভাইডার অথবা উৎপাদক যার মধ্যে পোশাক ডিজাইনার, গাড়ি নির্মাতার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রিসেলার
রিসেলার হলো সেইসব কোম্পানি যারা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কিনে কোনো প্রকার পরিবর্তন ছাড়া নতুন করে প্রোডাক্ট বিক্রি করে। রিসেলার বলতে রিটেইলার, হোলসেলার বলতে পারেন, যারা মার্কেটপ্লেসে খুব শক্তিশালী।
ইনস্টিটিউশন
নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠানগুলো যারা প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস বৃহৎ পরিসরে কিনে, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ মূল্য যথাসম্ভব সহনশীল করতে সাহায্য করে, যেমন হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠান।
সরকারি
লোকাল, স্টেট, ফেডারেল সরকার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস কিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। ফেডারেল সরকার বৃহৎ ক্রেতা, যেমন ব্রিজ এবং নির্মাণ সামগ্রীর মতো বিষয় সরকার ক্রয় করে থাকে। প্রোডাক্ট এককালীন সময়, কিংবা চলমানভাবে কেনা হয়, যেমন কাগজ, অফিশিয়াল জিনিসপত্র। এটাকে বিটুজি বা বিজনেস টু গভর্নমেন্ট বায়ার বলা যায় এবং দরকার অনুযায়ী মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন।
বিটুবি মার্কেটিংয়ে যে কৌশলগুলো অবলম্বন করতে হবে
ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বিটুবি কোম্পানিগুলো আয়ত্ত করতে কোম্পানি ওয়েবসাইট, এসইও, অনলাইন মার্কেটিং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়, সেগুলো হলো
কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরি করুন
কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস সরাসরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচিত করতে ব্যবসায়িক একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটটি হয়ে উঠবে ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্স বা তথ্যসমৃদ্ধ জায়গা, যেখানে আপনি এমন তথ্য পাবেন যা আপনার ক্রেতাকে তার কাজটি সহজ করতে সাহায্য করবে, ৮০ শতাংশ ক্রেতা প্রোডাক্ট কেনার আগে ওয়েবসাইট ভিজিট করে। একটি বিটুবি ওয়েবসাইটে যা লক্ষ রাখতে হবে তা হলো
টার্গেট অডিয়েন্সকে কেন্দ্র করে প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট হিসেবে গড়ে তোলা। মোবাইল রেসপনসিভ করা।
কল টু কল অ্যাকশন যা সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছে দিবে শিডিউল ডেমো, রিসার্চ পেপার ডাউনলোডের সুবিধা।
কোম্পানির সম্পর্কের প্রশংসাপত্র এবং কোম্পানি লোগো ব্যবহার।
আপডেটেট এবং কাস্টমার ধরে রাখার মতো কনটেন্ট ব্লগ এবং ল্যান্ডিং পেজে সরবরাহ করা এবং প্রোডাক্টের নিয়মিত মূল্য ও ডেলিভারি সময় উল্লেখ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোকে ফিচার লিংক করা, একই সম্পর্কিত বা ইন্ডাস্ট্রির ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নেয়া যাতে ট্র্যাফিক গমন করে এবং নিয়মিত ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করা।
এসইও এবং কনটেন্ট মার্কেটিং
নতুন ভিজিটর ওয়েবসাইটে পাওয়া বেশ কঠিন, আর এজন্য ব্যবসাতে অগ্রসর হওয়া সহজ নয়। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে যেতে সাহায্য করে। গেস্ট ব্লগিং, নিয়মিত ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট সম্পর্কিত কিওয়ার্ড টার্গেট রিসার্চ করে প্রোডাক্ট রিভিউ কিংবা তথ্যমূলক পোস্ট রিচ করে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার এবং কোম্পানির প্রোডাক্ট ও ইভেন্টের যাবতীয় ইমেইল মার্কেটিং করা।
অফলাইন এবং অনলাইন মার্কেটিং একীভূত করা
বিটুবি মার্কেটিং ফলপ্রসূ করতে অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটিং অপ্টিমাইজ করে কোম্পানির জন্য প্রচারণা করতে হবে।
সরাসরি অফলাইন অ্যাকটিভিটি অনলাইন ল্যান্ডিং পেজ, কিউআর কোড অথবা কিওয়ার্ড ব্যবহার করে মার্কেটিং করা।
অফলাইন ইভেন্ট যেমন কনফারেন্স অথবা নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করে মার্কেটিং করা।
ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিং পেজে কুপন সিস্টেম করে অফলাইন ক্যাম্পিং করা।
ই-বুক ডাউনলোড অথবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে সরাসরি মানুষের কাছে প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য দেয়া।
ওয়েবসাইটের কাস্টম ইউআরএল অফলাইন মার্কেটিং প্রচারে ব্যবহার করে অ্যাক্টিভিটি ভালো করা।
সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে অর্ডার করে প্রচার করা।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া একটি ভাল্যুয়েবল বিজনেস চ্যানেল এবং নতুন চ্যানেল যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক সাইট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছে। ৮৩ শতাংশ বিটুবি মার্কেটার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করে এবং সার্চইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের পরেই দ্বিতীয় জনপ্রিয় চ্যানেল। যখন বিটুবি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে আসবে তখন টুইটার এবং ফেসবুকের পরেই লিংকডইন আসবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্টের জন্য ব্লগ কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন; যেখানে ইন্ডাস্ট্রির খবর, পরামর্শ, সমাধান, প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আপডেট, পার্টনারের প্রশংসাপত্র, তথ্যমূলক ভিডিও এবং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন উপকারী তথ্য প্রদান। বিটুবি ৭৫ শতাংশ বায়ার এবং ৮৪ শতাংশ সি স্যুয়েট এক্সিকিউটিভ প্রোডাক্ট কেনার আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
ইমেইল মার্কেটিং
ব্যবসায়িক কাস্টমারের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের তথ্য দিয়ে মার্কেটিং করা যায়। ৯৩ শতাংশ বিটুবি মার্কেটার ইমেইল ব্যবহার করে, যেখানে বিটুসি বা বিজনেস টু কনজ্যুমারে কাস্টমার আবেগ ও অনুভূতিকে গুরুত্ব দেয় সেখানে বিটুবিতে কাস্টমারের জ্ঞান রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্টের ওপর নির্ভর করে। বিটুবি কোম্পানিগুলোর ৮৩ শতাংশ তাদের কনটেন্ট মার্কেটিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ইমেইলে নিউজলেটার প্রেরণ করে। ইমেইল সাবজেক্ট লাইন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, আর ইমেইল ডিজাইন রেসপনসিভ করা উচিত, কারণ ৮০ শতাংশ ইমেইল ব্যবহারকারী ফোনের মাধ্যমে ইমেইলের ইনবক্সে প্রবেশ করেন।
পিপিসি ক্যাম্পেইন
যদি পর্যাপ্ত বাজেট আপনার থাকে তাহলে পে পার ক্লিক বা পিপিসি ক্যাম্পেইন ভালো অপশন হতে পারে। ক্লিক অনুযায়ী অর্থ প্রদান করে কনটেন্ট নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে পারেন। এতে এসইও র্যাংকিংয়ে ভালো ভূমিকা রাখে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
২০২২ সালের শেষ নাগাদ ১৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হবে। বিটুবি মার্কেটারের ৭১ শতাংশ ২০২২ সালে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করার পরিকল্পনা করেছে। সেজন্য পার্টনারশিপ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন ইনফ্লুয়েন্সারের কত ফলোয়ার এবং অডিয়েন্স কতটা ভালোভাবে কাজ করছে।
টার্গেট মিলিনিয়াল
২০২৫ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ গ্লোবাল ওয়ার্কফোর্স হবে মিলিনিয়ালরা, অর্থাৎ যারা ৮০-এর দশক থেকে ২০০০-এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। ‘মেরিটস বিটুবি মিলিনিয়াল রিপোর্ট’ অনুযায়ী ৭৩ শতাংশ মিলিনিয়াল প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কো¤পানির জন্য কেনাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে থাকে এবং ৩০ শতাংশ এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ম্যাককেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ শতাংশ বিটুবি বায়ার একক সেলস অভিজ্ঞতা নিতে চায় এবং ৬৩ শতাংশ লাইভ চ্যাট অগ্রাধিকার দেয়। ৬০ শতাংশ বিটুবি বায়ার রিসার্চ ধাপে বেশি করে যোগাযোগ করে।
এসএমএস মার্কেটিং
‘মোবাইল মার্কেটিং ওয়াচ’র তথ্যানুসারে এসএমএস ওপেন রেট ৯৮ শতাংশ। আপনি ব্যক্তিগত টেক্সট মেসেজ সেন্ডপালসের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত তথ্য; যেমন নাম, লোকেশন, এনগেজমেন্টের তথ্য প্রদান করে।
ওয়েব পুশ মার্কেটিং
পুশ ম্যাসেজিং আধুনিক মার্কেটিংয়ে বিপ্লব নিয়ে এসেছে, মার্কেটিং ল্যান্ডের তথ্যানুসারে এই ধরনের মেসেজে ক্লিক থ্রো রেট (সিটিআর) বেশি থাকে, যখন সঠিক সময়ে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য দেয়া হয়। ওয়েবসাইটে যদি পুশ বাটনে বা সাবস্ক্রাইব করে রাখেন তাহলে সেই সাইটে নতুন কোনো পোস্ট বা কনটেন্ট আপডেট করা হলে সেই নোটিফিকেশন পাবেন। সেন্ডপালসে ১০ হাজার পুশ সাবস্ক্রাইবার সুবিধা ফ্রিতে পাবেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স
ট্র্যাক করে কোথা থেকে ভিজিটর আসে এবং ভিজিটরেরা ওয়েবসাইট ভিজিট করাকালীন সময়ে কী করে, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়ে বিটুবি মাকেটিং করুন।
ইউটিএম প্যারামিটার
কোড কাজে রাখুন এবং সোশ্যাল রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট নির্ধারণ করুন। ইউটিএম প্যারামিটার যোগ করে যে লিংক শেয়ার করেছেন সেটা ট্র্যাক করুন। ট্রাফিক সোর্স বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।
হটস্যুয়েট
সোশ্যাল মিডিয়া পাবলিশিং এবং পর্যবেক্ষণ টুলটি ৮১ শতাংশ কনটেন্ট মার্কেটার ব্যবহার করেন এবং ৮৮ শতাংশ ওয়েব পর্যবেক্ষণে করেন। একাধিক টিম মেম্বার অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন এবং কাস্টমার কোয়েরি ট্র্যাক ও মেসেজ সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
ব্র্যান্ডওয়াচ
৯৫ মিলিয়নের বেশি অনলাইন সোর্সের মাধ্যমে ব্র্যান্ডওয়াচ পুরো অনলাইন কনভার্সন ছবি তুলে ধরে। প্রতিযোগী, কাস্টমার অনুভূতি ট্র্যাক করে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করতে ভূমিকা রেখে ব্যবসাতে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
পার্কসেন্ট্রাল
বিটুবি কাস্টমার সার্ভিসে ¯পার্কসেন্ট্রাল সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট যেমন লাইভচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ এবং এসএমএস দ্বারা কার্যক্রম পরিচালিত করে। দ্রুত প্রশ্নের উত্তর এবং তথ্যে আদান-প্রদান করা সম্ভব।
কীভাবে বিটুবি মার্কেটিং করবেন
বিটুবি মার্কেটিংয়ে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় বিষয় নিশ্চিত করে মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
টার্গেট বায়ার নির্ধারণ করা
যদি আপনার প্রোডাক্ট ভালো হয় এবং কয়েক ধরনের বায়ার বা ক্রেতার জন্য ভালো হয় তাহলে নিশ্চিত হন আদর্শ ক্রেতার জন্য। যদি টেবিল বিক্রি করেন তাহলে কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রির পরিধির ওপর ভিত্তি করে ক্রেতা নির্ধারণ করা।
ওমনিচ্যানেল উপস্থিতি
আপনাকে অবশ্যই একাধিক মার্কেটিং চ্যানেল মেইনটেইন করতে হবে, কিছু বায়ার সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভ থাকবে এবং রিসার্চের ওপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিনে নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ভালো করতে হবে। কোল্ড কলিং, ইনবাউন্ড ল্যান্ডিং পেজ, ইমেইল মার্কেটিং ওয়েবিনারের মাধ্যমে চ্যানেলে অথরিটি করা।
সেলিং পয়েন্ট ও কনটেন্ট
একবার টার্গেট অডিয়েন্স স¤পর্কে জানেন কীভাবে ভালোভাবে অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাবেন। কনটেন্ট ভালো হবে সেটা নির্ধারণ করুন এবং বিটুবি প্রোডাক্ট বিক্রি ভালো ও কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করা। ইনফোগ্রাফিক্স তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা, প্রোডাক্ট সার্ভিস ভালো রাখে প্রোডাক্ট। প্রফেশনাল, ব্লগ পোস্ট লেখা এবং পোস্ট করা।
ডাটা পর্যবেক্ষণ
ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার পর সেটার ডাটা বা তথ্য পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য বায়ারকে সরাসরি লিড জেনারেশন করে নতুন কাস্টমার তৈরি করে প্রোডাক্ট বিক্রি ও ব্র্যান্ডিং সচেতন করা।
০ টি মন্তব্য