https://comcitybd.com/brand/Havit

ট্রিপস এন্ড ট্রিকস

দ্রুতগতিতে ফাইল ডাউনলোড করা

দ্রুতগতিতে ফাইল ডাউনলোড করা দ্রুতগতিতে ফাইল ডাউনলোড করা
 

দ্রুতগতিতে ফাইল ডাউনলোড করা


ব্রডব্যান্ড সংযোগের ব্যাপক বিস্তৃতি হওয়ায় বর্তমানে ইন্টারনেট অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে ফাইল ডাউনলোডের কাজে। ফলে যখন বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী একই ফাইল একটি সিঙ্গেল বা একক কোনো স্থান থেকে ডাউনলোড করতে থাকে তখন ডাউনলোড মন্থর গতিতে হতে থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক ব্যবহারকারীর কারণে অনেক সময় ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করতে পারে। এমন অবস্থায় সহায়ক হতে পারে বিটটরেন্ট। কিন্তু, বিটটরেন্ট কি এমন প্রশ্ন সবার মনে জাগতেই পারে?


বিটটরেন্ট কি


বিটটরেন্ট (Bittorrent) মূলত কোনো প্রোগ্রামকে বুঝায় না কিংবা স্বতন্ত্র কোনো ওয়েবসাইটকেও বুঝায় না। এটি একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল, যা অন্যদের কাছে ডাটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডাউনলোড কার্যক্রমকে সক্রিয় করে বিশেষ করে যাদের কাছে ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট ফাইল বা ফাইলের সেট রয়েছে। বিটটরেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বিভিন্ন টার্ম যেগুলো প্রথমে কিছু দ্বিধা সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, এজন্য আপনাকে প্রথমে এ সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।


টরেন্ট ফাইল মূলত একটি ছোট ফাইল, যা প্রথমে ডাউনলোড করতে হয় দীর্ঘতর ফাইলকে যুক্ত করার জন্য। এ ধরনের ফাইলের শেষে এক্সটেনশন হিসেবে থাকে .torrent. এই ফাইল যুক্ত করে ফাইলসংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য অথবা ডাউনলোডযোগ্য ফাইল এবং লিঙ্ক যা ট্র্যাকার হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি একটি ওয়েব সার্ভার যা ধারণ করে কানেকটেড কমপিউটারের লিস্ট, যেখানে থাকে কিছু বা সব ফাইল, যা আপনি ডাউনলোড করতে চেষ্টা করছেন। যারা শুধু ডাউনলোড করেন তাদেরকে রেফার করা হয় পেয়ার (peer) বা লিচার (leecher) হিসেবে। পক্ষান্তরে আপলোডিংকে বলা হয় সিডার (seeder)। টরেন্ট ডাটা আপলোডিং এবং ডাউনলোডিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কমপিউটারকে সম্মিলিতভাবে বলা হয় সোয়ার্ম (swarm)। বিটটরেন্টকে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য দরকার বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার, যা বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট নামে পরিচিত।


বিটটরেন্ট যে কারণে বিরক্তিকর


দীর্ঘ ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বিটটরেন্ট বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, যেহেতু এটি একটি স্বতন্ত্র ওয়েবসাইটের লোড গ্রহণ করতে পারে। বিটটরেন্ট যাতে কাজ করতে পারে, সেজন্য ন্যূনতম এক ব্যক্তির কাছে পুরো ফাইলের কপি থাকেত হবে। .torrent ফাইল ডাটাসংশ্লিষ্ট তথ্য ধারণ করে যা ডাউনলোড করতে হবে এবং বিটটরেন্ট অ্যাপ্লিকেশন (ক্লায়েন্ট) লোড হবার পর ট্র্যাকারের সাথে যুক্ত হয়- যাতে বুঝতে পারে কারা কারা এতে যুক্ত হয়েছে এবং কাদের তথ্য দরকার। সাধারণত প্রাথমিকভাবে যারা ফাইল ডাউনলোড করে, তারা মূল সিডার (seeder) থেকে ডাউনলোড করে। এই ডাউনলোড গতানুগতিক ডাউনলোডের মতো নয়। বিটটরেন্ট যেকোনো অবস্থায় ফাইলের অংশবিশেষ ডাউনলোড করতে পারে এবং ট্রান্সফার হওয়া ডাটা আবার একত্রিত হতে পারে। এর অর্থ হলো- কোনো ব্যক্তি ফাইল ডাউনলোড করলো, সেটি হতে পারে মূল সিডারের কাছ থেকে ডাউনলোডের প্রথম অংশ। পক্ষান্তরে অপর ব্যক্তি করতে পারে ডাউনলোডের দ্বিতীয় অংশ। এভাবে অধিক থেকে অধিকতর ব্যক্তি সোয়ার্মে (swarm) যুক্ত হতে পারে। ফাইলের অংশগুলো ডাউনলোড হতে পারে ক্রমবর্ধিত সংখ্যক লোকের কাছ থেকে। এর ফলে কোনো একক ব্যবহারকারীকে ডাউনলোডের পুরো লোড নিতে হয় না। এতে প্রত্যেকের ডাউনলোড স্পিড সর্বোচ্চ মাত্রায় উপনীত হতে পারে। এ প্রক্রিয়াটি জটিল হলেও বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট সবকিছুই ম্যানেজ করে।


বিটটরেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরেকটি সুবিধা হলো- এতে এক বসায় ডাউনলোডিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যদি আপনাকে কমপিউটার বন্ধ করতে হয়, তাহলে বিটটরেন্ট অ্যাপ্লিকেশনকে বন্ধ করা যেতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে ডাউনলোডিং কার্যক্রম আবার শুরু হবে ঠিক যেখান থেকে ডাউনলোডিং বন্ধ করা হয়েছিল সেখান থেকে।


বিটটরেন্ট দিয়ে কাজ করতে গেলে দরকার হবে ক্লায়েন্ট প্রোগ্রামের। একসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লায়েন্ট ছিল অ্যাজুরিয়াস (Azureus)। বর্তমানে এই প্রোগ্রামটি তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে ভিউজ (Vuze)। এই প্রোগ্রাম ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন www.vuze.com সাইটে। প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনের সময় লক্ষ রাখুন যাতে .torrent ফাইলসংশ্লিষ্ট অপশন সিলেক্ট করা থাকে। ভিউজ ওয়েব ব্রাউজার ইনস্টলের সময় একটি টুলবার প্রদর্শিত হবে, যেখানে Ask.com-কে আপনার ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহারের অফার থাকবে। এটিকে এড়িয়ে গিয়ে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।


সর্বোচ্চ মাত্রায় ডাউনলোড স্পিড পেতে চাইলে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যথাযথভাবে পোর্ট কনফিগারের ব্যাপারে, যা ভিউজ ব্যবহার করবে ডাটা ট্রান্সফারের জন্য। প্রোগ্রাম চালু করার পর NAT/Firewall Test-এর মাধ্যমে Tools-এ ক্লিক করুন। Test বাটনে ক্লিক করলে ভিউজ চেক করে দেখে পোর্ট খালি আছে কি না। যদি সংযোগ সাধনে ব্যর্থ হন, তাহলে অন্য পোর্ট ব্যবহার করে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে www.portforward.com সাইটে ভিজিট করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে পারেন।


এ কাজগুলো সম্পন্ন হবার পর Configuration Wizard-এর মাধ্যমে Tools মেনুতে ক্লিক করুন। যথাযথ দেশ সিলেক্ট করে Next-এ ক্লিক করুন। এরপর ড্রপডাউন মেনু থেকে আপনার ইন্টারনেট সংযোগের স্পিড সিলেক্ট করে Next-এ ক্লিক করুন। যেহেতু পোর্ট সেটিং ইতোপূর্বে ঠিক করা হয়েছে, তাই Next-এ ক্লিক করে Browse-এ ক্লিক করুন .torrent ফাইল যেখানে সেভ করা হবে তা সিলেক্ট করার জন্য। পরিশেষে Finish-এ ক্লিক করে Close-এ ক্লিক করুন।


পারফরমেন্স উন্নত করা


বিটটরেন্ট থেকে সেরা পারফরমেন্স পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আপলোড ও ডাউনলোড স্পিডকে অপটিমাইজ করতে হবে। যখন অন্যদের সাথে ফাইল শেয়ারিং করা হয়, তখন হয় সিডিং ডাউনলেড সম্পন্ন করে অথবা শুধু ফাইল শেয়ার করে যেগুলোর ডাউনলোড সম্পন্ন হতে এখনো বাকি আছে। এক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেটের আপলোড স্পিড সীমিত হয়ে পড়ে। অবশ্য এই স্পিডের তারতম্য হয়ে থাকে।


আপলোড স্পিড সর্বোচ্চ মাত্রায় পাবার জন্য Tools-এ ক্লিক করে Transfer লিঙ্কে ক্লিক করার আগে সিলেক্ট করুন Options-এ। এবার ‘KB/s global max upload speed’ লেবেল করা সেকশনে ইন্টারনেট সংযোগের সর্বোচ্চ আপলোড স্পিডের ৮০ শতাংশ পাবার জন্য ভ্যালুকে সমন্বয় করুন। একইভাবে ‘KB/s global max download speed’ লেবেল করা অপশনকে যথাযথভাবে কনফিগার করুন, যাতে প্রতিদিন সার্ফিংয়ের জন্য কিছু ব্যান্ডউইডথ অবশিষ্ট থাকে। এবার Files সেকশনে গিয়ে ক্লিক করুন এবং ‘Default directory’ সেকশন ফোল্ডার বেছে নিন যেখানে টরেন্ট ডাটা স্টোর হবে। এ কাজ শেষে Save-এ ক্লিক করুন।


বিটটরেন্ট দিয়ে ডাউনলোড করা


বিটটরেন্টের মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোডের বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। ভিউজের মধ্যে বা ভিউজ থেকে সার্চ কার্যকর করার জন্য সার্চ টার্ম এন্টার করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত বিষয় যদি হয় মিউজিক এবং ভিডিও ফাইল, সেক্ষেত্রে ডাউনলোড বা প্লে করার জন্য পাবেন একটি অপশন। এবার Download-এ ক্লিক করলে ডাটা ট্রান্সফার হতে শুরু করবে। ডাউনলোড শেষে একটি মেসেজ পপআপ করবে।


মজার বিষয় পাবার জন্য Vuze ডিরেক্টরিজুড়ে ব্রাউজ করুন। স্ক্রিনের উপরের দিকে Dashboard ট্যাবে ক্লিক করে Featured জুড়ে অনুসন্ধান করুন। এতে ডান দিকে রয়েছে ক্যাটাগরি লিঙ্ক যা ব্যবহার করে পছন্দ অনুযায়ী অডিও এবং ভিডিও খুঁজে পাবেন। ড্যাশবোর্ডের ডাউনলোডস লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোডিং কার্যক্রমকে দেখতে পারবেন। টরেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন Youtorrent (www.youtorrent.com) এবং www.openoffice.org যা সম্পূর্ণ বৈধ এবং ফ্রি।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।