এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের কোপের মুখে সোমবার (৭ নভেম্বর) হঠাৎই ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন দেশের ৫ লাখ প্রান্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। পূর্ব নোটিশ ছাড়াই দেশের শীর্ষ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইসিসি লিমিটেডের ব্যান্ডউইথ ক্যাপিং করায় এই দুর্ভোগের কারণ বলে জানা গেছে। আর এ ধরণের পদক্ষেপ জরুরি পরিষেবা বাধা না দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড সাম্প্রতিক সময়ের এ ধরণের আচরণকে ‘নীল কর’ সংগ্রাহকদের মতো বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের বক্তব্যরা, তারা ইচ্ছে মতো যা খুশী তাই করে চলছে। ইন্টারনেট প্রবাহকে বেআইনি ভাবে বাধাগ্রস্ত করে অপারেটরটি দেশের অগ্রগতিকে ব্যহত করছে বলেই মনে করছেন আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, যদিও, আইসিসি কমিউনিকেশন এনটিটিএন, আইআইজি এবং আইটিসি পরিষেবার জন্য ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড এবং ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবাল লিমিটেডকে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ প্রদান করেছে। কিন্তু তারপরও প্রতিষ্ঠানটি লেভেল প্লেয়িং পরিষেবার নিশ্চয়তা দিতে নারাজ এবং প্রতি মাসে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইসিসি’র গ্রাহকদের দখলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে। শুধু তাই নয়, ফাইবার অ্যাট হোম আইসিসি’র কর্মীদের তাদের প্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রলুব্ধ করে অন্যথায় পরিষেবা ব্যাহত করার হুমকি দেয় যা তারা নিয়মিত করছে। গত ৬ মাস ধরে, তারা আমাদের অব্যবহৃত ডেটা আপগ্রেড, ডাউনগ্রেড এবং পরিবহনের সময়ও ট্র্যান্সমিশন ক্যাপাসিটি বাধাগ্রস্ত করে জোরজবরদস্তির মতো চার্জ আদায় করছে। ওই সময়ে আমাদের সব ধরনের আপগ্রেড ও ডাউনগ্রেড ব্লক করে ট্রান্সমিশন স্থগিত করে। অথচ ইনভয়েসে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এর ফলে কেবল চলতি বছরেই আমাদের ১০ কোটিরও বেশি টাকার ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে।
১ টি মন্তব্য
Md Shamim Miah
২০২২-১১-০৮ ১৭:২৪:৩৫Ok