স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংককে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। স্টারলিংক ৬০টি দেশে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন: “আমরা আশা করি শহর ও গ্রামে প্রত্যেকের জন্য একই ধরনের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হবে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন দ্বীপ, চরাঞ্চল এবং গ্রামগুলো ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবে।
স্টারলিংক যখন কাজ শুরু করবে, তখন দেশের টেলিকম কম্পানি এবং কেবল ইন্টারনেট প্রদানকারীরা প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে। তবে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে না দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা।
প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার কেনার জন্য একজনকে ৫৯৯ ডলার বা ৬৫ হাজার ৯৫৯ টাকা খরচ করতে হবে। মাসিক ফি ১২০ ডলার বা ১৩ হাজার ২১৩ টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে, দেশে ৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য খরচ করতে হয় ৫০০ ডলার।
৩০ গিগাবাইট মোবাইল ইন্টারনেট কিনতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খচর করতে হয়। আইসিটি ডিভিশনের পরীক্ষায় দেখা যায় যে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ১৫০।
বৃষ্টি, কুয়াশা এবং ঝড়ো আবহাওয়ায় স্টারলিংক প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কর্পোরেশন লিমিটেড (বিএসসিএল) পাঁচটি স্টারলিঙ্ক কিট সংগ্রহ করেছে।
ইতিবাচক পরীক্ষার ফলাফলের ফলে স্টারলিংককে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। স্টারলিংক লাইসেন্স পাওয়ার পর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
স্টারলিংক দেশে লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে
আরও পড়ুন
মতামত দিন আপনার ইমেল প্রকাশিত হবে না।
আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন।
যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।
রিভিউ ( ০ / ৫ )
আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন।
যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।
০ টি মন্তব্য