https://gocon.live/

প্রযুক্তি

কোর্সেরা: সফল এক এড-টেক কোম্পানি বাংলাদেশেও অনুসৃত হচ্ছে কোর্সেরা পদ্ধতি

কোর্সেরা: সফল এক এড-টেক কোম্পানি বাংলাদেশেও অনুসৃত হচ্ছে কোর্সেরা পদ্ধতি কোর্সেরা: সফল এক এড-টেক কোম্পানি বাংলাদেশেও অনুসৃত হচ্ছে কোর্সেরা পদ্ধতি
 

কোর্সেরা: সফল এক এড-টেক কোম্পানি বাংলাদেশেও অনুসৃত হচ্ছে কোর্সেরা পদ্ধতি


কোর্সেরা। অনন্য এক গ্লোবাল এড-টেক পাওয়ারহাউস। শিক্ষা-প্রযুক্তি প্ল্যাটফরম হিসেবে এটি দ্রুত অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যসূত্রে এটি এখন বিশ্বের দশম বৃহত্তম তালিকাভুক্ত এডুকেশন কোম্পানি। নিউ ইয়র্ক শেয়ারবাজারে গত ৩১ মার্চ কোর্সেরা এর প্রথম দিনের ট্রেডিং ক্লোজ করে ৫.৯ বিলিয়ন ডলার নিয়ে। শেয়ারবাজারে এ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত বড় বড় এড-টেক কোম্পানির মধ্যে কোর্সেরার অন্তর্ভুক্তি অন্যান্য কোম্পানির জন্য উৎসাহ সৃষ্টিকর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কোর্সেরার প্রতিষ্ঠা ২০১২ সালে। এন্ড্রু এনজি ও দাফনে কলার এই দুজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন কোর্সেরা। এরা দুজনই ছিলেন স্টানফোর্ডের কমপিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। এর আগে ২০১১ সালে এরা দুজন অনলাইনে স্টানফোর্ডেরকোর্স পড়াতেন। এরা স্টানফোর্ড ছেড়ে ২০১২ সালে শুরু করেন কোর্সেরা। প্রথম দিকে প্রিন্সটোন, মিসিগান ও পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি তাদের কনটেন্ট অফার করে এই কোর্সেরা প্ল্যাটফরমে। সেই থেকে কোর্সেরা সম্প্রসারণ করে চলেছে এর স্পেশালাইজেশন কোর্স, বিভিন্ন ডিগ্রি কোর্স ওব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থার কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা-সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্সের। স্পেশালাইজেশন কোর্সেরমধ্যে রয়েছে সেই সব কোর্স, যেগুলো দক্ষতা ও সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়সংশ্লিষ্ট।


কোর্সেরা একটি আমেরিকান ব্যাপকভিত্তিক উন্মুক্ত অনলাইন কোর্স প্রোভাইডার। এটি বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, সার্টিফিকেশন ও ডিগ্রি প্রদান করে। এজন্য এরা কাজ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনের সাথে মিলে। সিএনবিসির দেয়া তথ্যমতে, দেড়শোরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের চার হাজারেরও বেশি কোর্স করার সুযোগ দেয় কোর্সেরার মাধ্যমে। আরেকটি সূত্রমতে, বর্তমানে কোর্সেরা সুযোগ দিচ্ছে ১ হাজারেরও বেশি গাইডেড প্রজেক্ট, ৪ হাজার ৬০০ কোর্স, ৫০০ স্পেশালাইজেশন, ৪০টি সার্টিফিকেশন, ২৫টি মাস্টার্স ও ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রোগ্রামের। এই প্ল্যাটফরমের প্রতিজনের জন্য রয়েছে একটি করে ক্যাটার্ড সলিউশন। ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষার্থীর জন্য এর দুই ডজনেরও বেশি ডিগ্রি কোর্স সম্পন্ন করা যায় অনেক ইনপারসন স্কুলের চেয়ে কম খরচে। কোর্সেরা অব্যাহভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এর শিক্ষার মান ভষ্যিতের কাজের তথা চাকরির উপযোগী রাখার ব্যাপারে।


কোর্সেরার শুরুর দিকে ২০১২ সালে এর ইউজারসংখ্যা ছিল মাত্র এক লাখের সামান্য ওপরে। আর আজ এর নিবন্ধিত ইউজারসংখ্যা ৭ কোটি ৬৬ লাখ। ১৯০টি দেশের ইউজার কোর্সেরা ব্যবহার করছে। যার শুরু হয়েছিল আমেরিকাভিত্তিক একটি লার্নিং প্ল্যাটফরম হিসেবে, আজ সেটি পরিণত একটি গ্লোবাল এড-টেক পাওয়ারহাউসে।


কোর্সেরা প্রথম দিকের বছরগুলোতে অবলম্বন করত এমওওসি মডেল। এমওওসি হচ্ছে ‘ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ে একস্থানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষাদানের পদ্ধতির বাইরে গিয়ে সময়, দূরত্ব ও শিক্ষাগত যোগ্যতাকে অতিক্রম করে বিভিন্ন স্থানের-দেশের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিবন্ধন উন্মুক্ত করে দিয়ে অনলাইনে শিক্ষাগ্রহণের মডেল হচ্ছে এমওওসি


সে যা-ই হোক, কোর্সেরা যখন এমওওসি মডেল অনুসরণ করত তখন এটি সবার জন্য একই কোর্স করার সুযোগ দিত। আর আজকের দিনে কোর্সেরা সুযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন ইউজারগ্রুপমুখী পাঁচটি প্রধান ধরনের সার্ভিসের : কোর্সেরা ফর ইন্ডিভিজ্যুয়ালস, কোর্সেরা প্লাস, কোর্সেরা এন্টারপ্রাইজ, কোর্সেরা ফর ক্যাম্পাস এবং কোর্সেরা ফর গভর্নমেন্ট। বিজনেস মডেলের পরিবর্তনের কারণে কোর্সেরার এমওওসি মডেল থেকে সরে এসে মনিটাইজড এড-টেক মডেলে উত্তরণ। বাস্তবে এটি ছিল ‘ওয়ান-সাইজ-ফিটস অল’ মডেল থেকে সরে আসার পরিবর্তে।


অধিকন্তু, কোর্সেরার ক্যারিয়ার পাথ ফিচারগুলোতে ইউজারদের জন্য সুযোগ রয়েছে অগ্রাধিকার চাকরি সুনির্দিষ্টকরণের। অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করে এক বান্ডল কোর্স, প্রজেক্ট ও প্রফেশনাল সার্টিফিকেশনের পরামর্শ দেয়া হয় কোর্সেরার পক্ষ থেকে, যা লার্নারকে তার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়। তা সত্তে¡ও পার্সোনালাইজেশনের মাধ্যমে কোর্স বাড়িয়ে তোলাই এককভাবে সাফল্য বয়ে আনতে পারে না। শিক্ষার মানও নিশ্চিত করা চাই।


সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে কোর্সেরা এ পর্যন্ত পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে ২০০ শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রির সাথে। এসব পার্টনারের মধ্যে রয়েছে: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা, নোভারতিসের মতো এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্ট, ফেসবুক, গুগল ইত্যাদি। এসব সংগঠনের অনেকগুলোই তাদের ছাত্র, স্টাফ বা এমপ্লয়িদের জন্য হয় ব্যবহার করে কোর্সেরা, নয়তো কোর্সেরার সাথে মিলে প্ল্যাটফরমের জন্য কোর্স তৈরি ও চালু করে। এ ধরনের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে তৈরিকনটেন্ট ও প্ল্যাটফরম সম্পর্কে আস্থা বাড়িয়ে তোলে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান কোর্সেরার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৭৬ লাখ। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ডিগ্রির শিক্ষার্থী ও ৩৮৭ এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্ট। নিয়মিত ইউজারপ্রতি রাজস্ব আয় ২.৫২ ডলার। ডিগ্রি ক্লাসের শিক্ষার্থী ও এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্টপ্রতি এই রাজস্ব আয় যথাক্রমে ৭৭১ ডলার ও ১৮৩ ডলার।কাস্টমাইজেশন ও মান নিশ্চিতকরণের বিষয় কাজ করেছে এই জনপ্রতি রাজস্ব আয়ের পরিমাণ উচ্চহারে বাড়িয়ে তোলায় ভ‚মিকা রেখেছে। এই মডেলের প্রভাব ফিন্যান্সিয়াল মেট্রিকসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ ধরনের একটি বিজনেস মডেল শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ করে দিয়েছে ।


এদিকে, HolonIQ-এর দেয়া তথ্যমতে ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়া এড-টেক ১০০-এ আপস্কিল, টেন মিনিট স্কুল, বহুব্রীহি, থাইভ, দূরবীণ অ্যাকাডেমি, শিখো হচ্ছে বাংলাদেশের ৬টি এড- টেক কোম্পানি, যেগুলো ‘সেরা১০০’এর তালিকায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। আজকের দিনে আমরা লক্ষ করছি রিক্রিয়েশন ও কোর্সেরা মডেলের লোকেলাইজড অ্যাডাপটেশন চলছে বাংলাদশের এড-টেক সিস্টেম তথাশিক্ষা-প্রযুক্তি ব্যবস্থায়। শিখো, দূরবীণ অ্যাকাডেমি, টেন মিনিট স্কুল প্রাথমিকভাকে নজর দিচ্ছে প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ের কোর্সভিত্তিক কোর্স সৃষ্টির কাজে। এই মডেলটি উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছ ভারতীয় এড-টেক ইউনিকম BYJUS-এর ক্ষেত্রে।


অপরদিকে, ‘আপস্কিল’ এখন কোর্স ক্রিয়েট করার জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে ইন্ডাস্ট্রি লিডার ও শীর্ষসারির এন্টারপ্রাইজের সাথে। এমএল ও এআই-সম্পর্কিত একটি কোর্স চালুর জন্য ‘ইন্টেলিজেন্ট মেশিনস’-এর সাম্প্রতিক সহযোগিতার মধ্যে প্রতিফলন রয়েছে ক্লাউড কমপিউটিং বিষয়ের কোর্স চালুর ব্যাপারে কোর্সেরার সাথে গুগল/অ্যামাজনের সহযোগিতার বিষয়টির। এ ছাড়াও আমরা দেখছি, স্থানীয় এড-টেক অফারিংয়ের উন্নত পার্সোনাইলেজেশনের উপস্থিতি। ‘বহুব্রীহি’র রয়েছে একটি ক্যারিয়ার ট্র্যাকফিচার, যা কোর্সেরার ক্যারিয়ার পাথ ফিচারের মতোই। আর ‘টেন মিনিট স্কুল’চালু করেছে এর স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেকশন। এখানে কোর্সগুলো পড়ান ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টেরা।


বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের এক অনুমিত হিসাব মতে বিশ্বজুড়ে ২০ কোটিরও বেশি কলেজছাত্র চাকরিসংশ্লিষ্ট দক্ষতা ধারণ করে না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এ থেকে ভিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশের করপোরেট লিডারেরা দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছেন বাংলাদেশের সদ্য স্নাতকদের কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতার অভাব রয়েছে। তাদের দাবি: করপোরেট ওয়ার্ল্ড ও অ্যাকাডেমিয়ার যৌথ সহযোগিতায় উচ্চ ডিগি চালু করতে হবে। বর্তমানে কোভিড১৯-এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। এখন বাংলাদেশের জন্য কোর্সে প্রবেশযোগ্যতা ও মানসম্পন্ন কোর্স করানো আরো বাধার মুখ্যে পড়েছে। কোভিড-১৯-এর প্রভাবে হঠাৎ করেই ১৯০টি দেশের ১৬০ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রক্রিয়াথমকে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের অবস্থা একই। এখন অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীদক্ষতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় এড-টেকের ওপর নির্ভর করছে। 


কোর্সেরা বাংলাদেশেও জনপ্রিয়


এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের কোর্সেরা ব্যবহারকারী সেরাদেশ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশে রয়েছে এর ৪৮২,০০০ লার্নার। বছরবছর এর লার্নার-ভিত্তি ১৯৬ শতাংশ হারে বাড়ছে।গত বছর বাংলাদেশ থেকে এনরোল করা হয়েছে কোর্সেরার ১৮ লাখ কোর্স। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্রদের উঁচুমানের শিক্ষাদানে ক্যাম্পাস প্ল্যাটফরম হিসেবে কোর্সেরা ব্যবহার করছে। ক্যাম্পাসের জন্য কোর্সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর জন্য ডিজাইন করেছে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে কর্মমুখী অনলাইন কোর্সের। তাদের ফ্যাকাল্টিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন প্রোগ্রাম অথোর ও স্কেল করার। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রবেশ করতে পারছে ৪২০০ উঁচু মানের কোর্সে। এরা এটি ব্যবহার করতে পারে তাদেরপাঠক্রমগুলোর সমন্বয়ের কাজে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সুযোগ দেয় সাপ্লিমেন্টাল লার্নিংয়ের এবং এরা লার্নিং অ্যানালাইটিক ব্যবহার করে উন্নয়ন ও ফলাফল চিহ্নিত করায়। এই প্ল্যাটফরম চালু করা হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে এবং এটি এর মাধ্যমে সেবা দিয়েছে বৈশ্বিকভাবে ৩৭.০০ ক্যাম্পাস থেকে ২৬ লাখ ছাত্রকে।


কোর্সেরা ফর ক্যাম্পাস


‘কোর্সেরা ফর ক্যাম্পাস’ ডিজাইন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর জন্য, যাতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী অনলাইন কোর্স করার সুযোগ দিতে পারে। এবং ফ্যাকাল্টি সুযোগ পায় অনলাইন প্রোগ্রাম অথোর ও স্কেল করার। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুযোগ পায় ৪২০০ উঁচু মানের কোর্সে প্রবেশের মাধ্যমে তাদের কারিকুলামে সমন্বিত করার জন্য। আছে সাপ্লিমেন্টারি লার্নিংয়ের সুযোগ। বাংলাদেশের ১০০-iI বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সেরা ক্যাম্পাসের গ্রাহক হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে। ১৩ কমপিউটার জগৎ জুন ২০২১ রাঘব গুপ্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভারত ও এশিয়া প্যাসিফিক কোর্সেরা রিপোর্ট ১৪ কমপিউটার জগৎ জুন ২০২১ গত বছর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেবা পৌঁছিয়েছে ১ লাখেরও বেশি ছাত্রের কাছে। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ১২ লাখ কর্মমুখী ও বহুমুখী শিক্ষাকোর্স।


বাংলাদেশীদের উচ্চ চাহিদার কোর্স


বাংলাদেশের ছাত্ররা অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কোর্সে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের জন্য কোর্সেরার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে: মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রোগ্রামিং ফর এভরিবডি’ (পাইথন দিয়ে শুরু), ম্যাককুয়েরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এক্সেল স্কিল ফর বিজনেস: এসেনশিয়ালস’, জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ‘রাইট প্রফেশনাল ই-মেইল ইন ইংলিশ’, জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ‘স্পিক ইংলিশ প্রফেশনালি: ইন-পার্সন, অনলাইন অ্যান্ড অন দ্য ফোন’ এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব আর্টসের ‘ফান্ডামেন্টালঅব গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স’। বাংলাদেশী লার্নারেরা ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেহ্যান্ডস-অন গাইডেড প্রজেক্টের ব্যাপারে। যেমন: ‘বিল্ড অ্যা ফুল ওয়েবসাইটইউজিং ওয়ার্ডপ্রেস’, ‘বিল্ড ইউর পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট উইথ এইচটিএমএল অ্যান্ড সিএসএস’, ‘স্প্রেডশিট ফর বিগিনার্স ইউজিং গুগলশিটস’, ‘ইউজ ওয়ার্ডপ্রেস টু ক্রিয়েট অ্যা ব্লগ ফর ইউর বিজনেস’ এবং ‘ক্রিয়েট অ্যা রিজুমি অ্যান্ড কভার লেটার উইথ গুগল ডক’।


বিদ্যমান প্রেক্ষাপট


বদ্যমান প্রেক্ষাপটে অনলাইন লার্নিং এরইমধ্যে বদলে চলেছে গোটা শিক্ষাখাতকে। এখন কোভিড-১৯ এই বদলে যাওয়ার প্রবণতাকে আরো গতিশীল করে তুলেছে। অনলাইন শিক্ষা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আরো দ্রুতগতিতে ও কার্যকর সক্ষমতা নিয়ে। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করছে তাদের ক্যাম্পাস বন্ধ কওে দিয়ে পুরোপুরি অনলাইনে চলে যেতে। সেই সাথে বাধ্য করছে তাদের কারিগরি অবকাঠামোকেও হালনাগাদ করে তুলতে। ক্যাম্পাসগুলো এখন লার্নিং, টিচিং, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও ছাত্রদের কর্মসাফল্য বিবেচনার জন্য অবলম্বন করছে নতুন নতুন উপায়। অনলাইন লার্নারদের মধ্যে একটা প্রবণতা লক্ষ করা গেছে অনেকে অনলাইনে কোর্স শুরু করলেও তা শেষ করে না। কোর্সেরার বেলায় দেখা গেছে, পেইড-লার্নারদের মধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই প্ল্যাটফরমে কোর্স শেষ করে। কোর্সেরা গড়ে তুলেছে এক ব্যাপক প্ল্যাটফরম। সেখানে ইনস্ট্রাক্টরদের ভিডিও সেশন, শিক্ষার্থী ও মেন্টরদের মধ্যে যোগাযোগ সমন্বয় করা হয় কঠোরভাবে, দূর থেকে প্রক্টর করা হয় পরীক্ষা, নিশ্চিত করা হয় শিক্ষার্থীদের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা। এ বছরের শুরুতে চালু করা গাইডেড প্রজেক্ট ছিল বেশ জনপ্রিয়। শিক্ষার্থীরা যোগ দেয় দুই ঘণ্টাব্যাপী হ্যান্ডস-অন প্র্যাকটিক্যাল সেশনে। এর ফলে এরা তাদের প্রতিদিনেরকাজের ব্যবহারিক প্রয়োগ করে।


একটি প্রশ্ন উঠেছে:কোর্সেরা কি বাংলাদেশে এর বাজারের পরিচালনাগত কৌশল নতুন করে সংজ্ঞায়িত করবে? কোর্সেরা চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে, এর ওয়ার্কফোর্স রিকভারি ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে কর্মহীনদের দক্ষতা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করতে। পরিকল্পনা আছে, তাদের কোর্স ক্যাটালগ সম্প্রসারণের, নতুন নতুন ডিগ্রি কোর্স চালু, মাস্টার ট্র্যাক সার্টিফিকেট, বিভিন্ন কোর্স, স্পেশালাইজেশন ও গাইডেড প্রজেক্ট চালুর, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এরা রূপান্তরিত শিক্ষার অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবে









০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।