https://gocon.live/

দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে

দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে
 
নগদ ডলারের ঘাটতির কারণে বিদেশ ভ্রমণে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার বেড়েছে। এভাবেই সবচেয়ে বেশি ডলার বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, মার্কিন নাগরিকরা মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি পরিমাণ ডলার আসছে। গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। নভেম্বরে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আর ডিসেম্বরে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ হয়েছে ৫৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯২ কোটি বা ১৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। 

দেশটিতে নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে ব্যবহার বেড়েছে ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ। ডিসেম্বরে প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশিরা খরচ করেছে ১১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

আগের মাস নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দুই মাসের ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছে।

এতে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের তথ্যও উঠে এসেছে। গত ডিসেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি নাগরিকরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৮৪ কোটি টাকার কেনাকাটা করেছেন।

আগের মাস নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি ২৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

দেশটির নাগরিকরা আলোচিত মাসে খরচ করেছে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরপরের অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা খরচ করেছেন ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের নাগরিকরা করেছেন ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়েছে দেশের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।

ডিসেম্বরে ক্রেডিট কার্ডে দেশের অভ্যন্তরে খরচের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ ৪৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়।

এ ছাড়া আউটলেট থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। হিসাব অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ইউটিলিটি, ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ নগদ অর্থ উত্তোলন, ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ পোশাক কেনাকাটা, ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মেসিতে, ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ ট্রান্সপোর্টেশন, ২ দশমিক ১২ শতাংশ ব্যবসাসেবা, টাকা প্রেরণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। 

লেনদেনে কার্ডের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এ সময়ে। এর পরিমাণ ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এরপরই রয়েছে মাস্টার কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়া বাকি প্রায় ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে অন্যান্য কার্ডে।

















০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।