https://gocon.live/

প্রযুক্তি

আগামী দিনের স্কুল

আগামী দিনের স্কুল আগামী দিনের স্কুল
 

আগামী দিনের স্কুল


বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন অব্যাহতভাবে পাল্টে দিচ্ছে মানুষের জীবন ও কর্মক্ষেত্র। বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এই বাস্তবতা থেকে। বৈশ্বিক সমাজ ও অর্থনীতির প্রয়োজন মেটানোয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সমতালে এগিয়ে যেতে পারছে না। এর ফলে চাকরির ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের বাধাবিপত্তি; সৃষ্টি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন মেরুকরণ অনেকেই হারাচ্ছেন তাদের প্রচলিত কাজ বা চাকরি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের এখন সতর্ক প্রস্তুতি নেয়া অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-ব্যবস্থাকেও পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। স্কুল-ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে আমরা আমাদের নাগরিকদের তৈরি করতে পারি যোগ্য ‘বৈশ্বিক নাগরিক’ হিসেবে; আমরা বিশ্বমাঝে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি যথযোগ্য কর্মশক্তি হিসেবে। আমাদের শিক্ষা-মডেল হতে হবে এমন, যাতে শিক্ষার্থীরা সুসজ্জিত হতে পারবে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক, আসক্তিশীল ও উৎপাদনশীল দক্ষতা নিয়ে। আমাদের নয়া শিক্ষা-মডেল হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চাহিদা মেটানোর উপযোগী; যাকে আমরা বলতে পারব আমাদের রয়েছে, সরসরি শেখার প্রমিত মডেল। যদিও এরই মধ্যে বেশিরভাগ চালু শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে বিদ্যমান ব্যবসায়ভিত্তিক। কিন্তু নতুন নতুন উদ্ভাবন বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে তাড়িত করছে উৎপাদনশীলতার নতুন মডেল অবলম্বন করে। সেখানে আমাদের উপস্থিতি জোরালো করতে শিক্ষার নতুন মডেল ছাড়া কোনে গত্যন্তর নেই।


ইতোমধ্যেই আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের স্তর পেরিয়ে পা রেখেছি তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের শিল্পবিপ্লবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উৎপাদনে সূচনা করেছে অটোমেশন এবং স্পর্শাতীত মূল্যসৃজন। প্রবৃদ্ধির এসব নতুন নিয়ামক ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে দক্ষতার ক্ষেত্রে, যে দক্ষতা অর্থনীতিতে ও মানুষের কর্মপন্থায় প্রয়োজনীয় অবদান রাখবে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পর্যাপ্ততা নিয়ে। পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলায় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার যে পিছিয়ে থাকা, এর অবসান ঘটাতে হবে দ্রুত। মনে রাখতে হবে আমাদের শিশুরা যখন কাজে নামবে, তখন তাদের করতে হবে নতুন নতুন ধরনের কাজ। তখন যে কাজ করতে হবে, তার জন্য প্রয়োজন হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের দক্ষতা ডিজিটাল ও সামাজিক-মানসিক দক্ষতা। কারণ, সময়ের সাথে তাদের সামনে আসবে নতুন নতুন বিজনেস মডেলের কাজ। তখন পৃথিবীটা হবে আরো ক্রমবর্ধমান হারে ইন্টার-কানেক্টেড তথা পরস্পর-সংযুক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা চালাতে হবে তাদের প্রতিদিনের কাজ। সেজন্য তাদের পাস্পরিকভাবে জানতে-বুঝতে হবে পরস্পরের সংস্কৃতি। তাদের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া চলবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে। এরপরও বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ এখনো নির্ভরশীল ‘প্যাসিভ’ তথা অক্রিয় ধরনের শিক্ষায়। এ ধরনের শিক্ষায় অবলম্বন করা হয়, সরাসরি পরিদর্শন ও মুখস্ত করানোর প্রক্রিয়া, যেখানে অনুপস্থিত ইন্টারেক্টিভ তথা মিথষ্ক্রিয়া পদ্ধতি। অথচ ইন্টারেক্টিভ মেথড শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনার সক্ষমতা বাড়ায়, তাদেরকে সহায়তা করে আজকের উদ্ভাবন-তাড়িত অর্থনীতিতে কাজ করার উপযোগী করে গড়ে তুলতে। পৃথিবীর অনেক অংশে এখনো শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে স্কুলভবনর চার দেয়ালের মধ্যে। এই সেকেলে শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিক্ষীর্থীরা তাদের সেভাবে দক্ষ করে তুলতে পারছে না, যেমনটি দরকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির উৎপাদনশীলতায় যোগ দেয়ার জন্য।


সাম্প্রতিক এক প্রাক্কলনে দেখানো হয়েছে সাড়ে ১১ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন = ১০১৮) মার্কিন ডলার বিশ্ব অর্থনীতির জিডিপিতে যোগ করা সম্ভব ২০২৮ সালের মধ্যে, যদি প্রতিটি দেশ তাদের ছাত্রদের আগামী দিনের অর্থনীতির উপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারে। একই সাথে শিক্ষব্যবস্থা মুখ্য ভূমিকা পালন করে মূল্যবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা সংজ্ঞায়নে, যা মানুষকে সক্ষম করে তোলে ইতিবাচক মানবিক মিথষ্ক্রিয়ায়। তা ছাড়া প্রযুক্তির ডিজাইন ও ডাটা অ্যানালাইসিসের মতো হার্ড স্কিলের বাইরে সহযোগিতা, সহমর্মিতা, সামাজিক সচেতনতা ও বিশ্ব-নাগরিকত্ব ইত্যাদির মতো মানবকেন্দ্রিক দক্ষতাও শিশুদের সক্ষম করে তোলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ সমাজ গড়ায়।


এডুকেশন ৪.০


এমনি প্রেক্ষাপটে শিক্ষা, ব্যবসায় ও সরকারি নেতাদের অবশ্যই নবতর শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সব শিক্ষাব্যবস্থাকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরে তাদের মুখ্য ভূমিকা পালন অপরিহার্য। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থাকে আজকাল অভিহিত করা হচ্ছে ‘এডুকেশন ৪.০’ নামে। আমাদের সন্তানদের আগামী দিনের কর্মশক্তিতে পরিণত করায় ‘এডুকেশন ৪.০’ হবে ব্যাপক সম্ভাবনাময়। তাদের জন্য পথ খুলে দেবে সামাজিক গতিময়তা (সোশ্যাল মোবাইলিটি), উন্নত উৎপাদনশীলতা ও সামাজিক সংশ্লিষ্টতার।


এডুকেশন ৪.০ সংজ্ঞায়িত করবে নয়া অর্থনীতির উপযোগী শিক্ষার মান। জোরালো সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে বাপদাদার পরিচয়ের চেয়ে শিক্ষাই হচ্ছে একজন মানুষের সামাজিক গতিময়তা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদার মাপকাঠি। গত কয়েক দশক ধরে প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্রভর্তি ব্যাপক বেড়েছে। আজকাল বিশ্বে প্রাথমিক স্কুলের উপযোগী ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশুই স্কুলে ভর্তি হয়। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা যায় শুধু ছাত্রভর্তি বাড়লেই সামাজিক গতিময়তার পর্যায় বাড়ে না। এ ক্ষেত্রে একটি মুখ্য বাধা হচ্ছে নিম্নমানের শিক্ষা। শিক্ষার মান বিশেষত, শিশু-কিশোর বয়সের শিক্ষার প্রবল প্রভাব রয়েছে পরবর্তী জীবন ও রুজি-রোজগারের ওপর। এর পরও শিক্ষার মান নিয়ে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক, কারণ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কাজ নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা। অনেক প্রযুক্তির আবির্ভাব বৈশ্বিক শিক্ষার সম্ভবাবনাময় ঘাটতি সমস্যার সমাধান দিয়েছে। এর পরও প্রযুক্তি শিক্ষার কোনো শেষ নেই। বরং প্রযুক্তি শিক্ষা মানুষকে সক্ষম করে তোলে নতুন নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেয়ায়। নতুন অর্থনীতি ও সমাজের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাননির্ধারণী দৃষ্টিভঙ্গি নেয়ার প্রশ্নে মতৈক্যের অভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বিষয়বস্তুর উদ্ভাবন ও সরবরাহ এখনো সীমিতই থেকে গেছে। স্পষ্টতই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান সংজ্ঞায়ন হবে শিক্ষাকে উদ্ভাবনমুখী করে তোলায় প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সামাজিক গতিময়তার জন্য এটি অপরিহার্য।


ডব্লিউইএফের একটি শ্বেতপত্র


‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর ‘প্ল্যাটফরম ফর শেপিং দ্য ফিউচার অব দ্য নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি’ শীর্ষক একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই প্ল্যাটফরম সম্প্রতি বৈশ্বিক পরামর্শ উদ্যোগ প্রক্রিয়ায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী প্রতিশ্রুতিশীল উঁচু মানের একটি শিক্ষা-মডেল চিহ্নিত করার প্রয়াস চালায়। এই প্রয়াসের অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্ল্যাটফরম সম্প্রতি একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এতে প্রতিফলন রয়েছে ভবিষ্যৎ শিক্ষাকে রূপান্তরের জন্য নতুন প্রমিত মান নির্ণয় ও কর্মপরিকল্পনার ওপর।


ব্যাপক আলোচনা ও পরামর্শভিত্তিক এই এই শ্বেতপত্রের প্রথম ভাগে প্রস্তাব করা হয় ‘এডুকেশন ৪.০’-এর অবকাঠামোর জন্য শিক্ষার বিষয়বস্তুতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের। এতে উল্লেখ রয়েছে কিছু দিক-নির্দেশনামূলক নীতি-কৌশল। এসব নীতি-কৌশল সমভাবে প্রযোজ্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। এতে ঘনিষ্ঠভাবে আলোকপাত করা হয়েছে আগামী দিনের নয়া অর্থনীতিতে আজকের শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে না পড়ে, তেমন একটি শিক্ষামডেলের ওপর। যেসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজকের মান বিবেচনায় পিছিয়ে আছে, সেসব দেশ যাতে জোরকদমে এগিয়ে যেতে পারে তারও দিক-নির্দেশনা রয়েছে এই শ্বেতপত্রে।


শ্বেতপত্রটির দ্বিতীয় ভাগে ব্যাখ্যা রয়েছে ষোলোটি স্কুল, স্কুলব্যবস্থা ও শিক্ষ উদ্যোগের ব্যাপারে। উল্লিখিত আটটি ক্ষেত্রে এসব স্কুল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এসব উদাহরণ চিহ্নিত করা হয়েছে একটি গ্লোবাল ক্রাউড-সোর্সিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে; ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এসব উদাহরণ অন্যদের জন্য প্রেরণাদায়ক হতে পারে। এই শ্বেতপত্রে ফাইনাল সেকশনে আহ্বান রাখা হয়েছে এসব প্রতিশ্রুতিশীল মডেল বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার ব্যাপারে, যাতে সব দেশ ‘এডুকেশন ৪.০’-তে প্রবেশ করতে পারে। ইত্যাদি সব কারণে উন্নত, উন্নয়নশীল, অনুন্নত সব দেশের জন্য এই শ্বেতপত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।


ভবিষ্যৎ শিক্ষার ৮ মুখ্য বিষয়


এই শ্বেতপত্র তৈরি করতে গিয়ে এর প্রণেতারা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকদের সাথে আলোচনা, পরামর্শ গ্রহণ ও মত বিনিময় শেষে আজকের দিনের চাকরিতে বাধাবিঘ্ন দূর করা, চাহিদামতো কাজের দক্ষতা অর্জন, ক্রমবর্ধমান আর্থসামাজিক মেরুকরণের প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী কর্মশক্তি হিসেবে আমাদের শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলায় ৮টি মুখ্য বিষয় খুঁজে পেয়েছেন। এই ৮টি বিষয় স্কুল শিক্ষায় নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের শিশু-কিশোরদের আগামী দিনের দক্ষ কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। এই ৮টি মুখ্য বিষয় হচ্ছে যথাক্রমে


এক : গ্লোবাল সিটিজেনশিপ স্কিল এই দক্ষতা অর্জনের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত আছে এমন কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু, যাতে আলোকপাত থাকবে বৃহত্তর দুনিয়া সম্পর্কে সতর্কতা, টেকসই সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সক্ষমতা।


দুই : ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি স্কিল এ দক্ষতা অর্জনের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এমন কনটেন্ট, যাতে আলোকপাত থাকবে জটিল সমস্যা সমাধান, বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা ও সিস্টেম অ্যানালাইসিসসহ উদ্ভাবনের উপযোগী দক্ষতা অর্জনের শিক্ষার ওপর। 


তিন : টেকনোলজি স্কিল এর বিষয়বস্তুর ভিত্তি হবে প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল রেসপনসিবিলিটি ও প্রযুক্তির ব্যবহারসহ ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনভিত্তিক। 


চার : ইন্টারপারসোনাল স্কিল এই দক্ষতা অর্জনের শিক্ষার বিষয়বস্তুতে জোর দেয়া হবে সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সমঝোতা, নেতৃত্ব ও সামাজিক সচেতনতাসহ যাবতীয় আন্তঃব্যক্তিক আবেগিক বুদ্ধিমত্তার ওপর। 


পাঁচ : পারসোন্যালাইজড অ্যান্ড সেলফ-প্লেইসড লার্নিং এ শিক্ষার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ডাইজড লার্নিং থেকে চলে যেতে হবে বহুমুখী প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী শিক্ষায়, যেখানে শিক্ষার্থীর সুযোগ থাকবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার নমনীয় সুযোগ। 


ছয় : অ্যাক্সেসিবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ লার্নিং এক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থাকে বিদায় জানাতে হবে, যেখানে শিক্ষা সীমাবদ্ধ স্কুলভবনের চার দেয়ালের মধ্যে। চলে যেতে হবে এমন শিক্ষাব্যবস্থায় যেখানে সবার শিক্ষায় প্রবেশ-সুযোগ থাকবে; অতএব এ শিক্ষা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। 


সাত : প্রবলেম-বেইজড অ্যান্ড কলাবরেটিভ লার্নিং এখানে প্রসেস-বেইজড শিক্ষাব্যবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে প্রকল্প এবং সমস্যাভিত্তিক কনটেন্ট ডেলিভারি শিক্ষা-ব্যবস্থায়। এখানে প্রয়োজন হবে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতার। ঘনিষ্ট নজর রাখতে হবে ভবিষ্যৎ কাজের ধরনের ওপর। 


আট : লাইফলং অ্যান্ড স্টুডেন্ট-ড্রিভেন লার্নিং এখানে এমন শিক্ষাব্যবস্থাকে বিদায় জানাতে হবে, যেখানে পুরো জীবনকালে শেখা ও দক্ষতা অর্জন উভয়ই কমতে থাকে। উত্তরণ ঘটাতে হবে সে ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় যেখানে সবাই নিজের প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে অব্যাহতভাবে তার বিদ্যমান দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা এবং নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।