https://gocon.live/

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট কি ভাগ হয়ে যাচ্ছে?

ইন্টারনেট কি ভাগ হয়ে যাচ্ছে? ইন্টারনেট কি ভাগ হয়ে যাচ্ছে?
 

ইন্টারনেট কি ভাগ হয়ে যাচ্ছে?


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২ আগস্ট এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করেন দুটি চীনা মোবাইল অ্যাপ : ‘টিকটক’ ও ‘উইচ্যাট’। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু বৈদেশিক নীতি-উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে একটি ‘ক্লিন ইন্টারনেট’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। এগুলো হচ্ছে অতি সাম্প্রতিকের কিছু তৎপরতা, যা থেকে অনুমান করা যায় গ্লোবাল ইন্টারনেট এখন ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপিত হতে যাচ্ছে অভ্যন্তরীণভাবে নিয়ন্ত্রিত ২০০ আলাদা ইন্টারনেট দিয়ে। এসব আলাদা আলাদা আমেরিকান, চীনা, অস্ট্রেলীয়, ইউরোপীয়, ব্রিটিশ ও অন্যান্য দেশীয় জাতীয়তাবাদী ইন্টারনেট এমন সিদ্ধান্তও নিতে পারে এসব ইন্টারনেটের কিছু কিছু বিষয় প্রত্যেকের বেলায় কমন বা অভিন্ন থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক গুরুত্বভিত্তিক আইনগুলো এসব ইন্টারনেটকে ধীরে ধীরে আরো দূরে সরিয়ে নেবে। কারণ, প্রতিটি দেশের ইন্টারেস্ট গ্রুপ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে লবি করবে তাদের নিজ নিজ দেশে। অধিকন্তু, সম্ভবত আমরা খুব শিগগিরই দেখতে পাব বিকল্প গ্লোবাল ইন্টারনেট।


ইন্টারনেটের কিছু জাতীয়তাবাদী বিভাজন বা ডিজইন্টিগ্রেশন পরিলক্ষিত হয়েছে ১৯৯০-এর দশকে। ২০০৫ সালের পর থেকে ওপেন/গ্লোবাল ইন্টারনেট ক্রমে ক্রমে হয়ে ওঠে যুদ্ধ, সংবাদ, গুপ্তচরবৃত্তি, রাজনীতি, অপপ্রচার, ব্যাংক ব্যবসায়, বাণিজ্য, বিনোদন, শিক্ষা ইত্যাদির একটি প্রধান ডোমেইন। শত শত ব্যক্তিগত ও জাতীয় ইন্টারনেট সৃষ্টির প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে পড়ে গ্লোবাল ইন্টারনেট তথা ‘নেটওয়ার্ক অব নেটওয়ার্কস’-এর কারণে। গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কোনো দেশের সীমান্তরেখা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়নি। এর আরেকটি কারণ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবল বিরোধী ছিল বিভাজিত জাতীয় ইন্টারনেট সৃষ্টির ব্যাপারে। এই দুটি কারণ বা শর্তেরই এখন পরিবর্তন ঘটেছে এবং এসব শর্তের পরিবর্তন ঘটে চলেছে দ্রুত।


ইন্টারনেট বিভাজনের সূচনা


ইন্টারনেটের ডিজইন্টিগ্রেশনের একদম প্রারম্ভিক বিন্দুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের DARPANET ডিজাইন করা হয় সম্পূর্ণ আলাদা কতগুলো কমপিউটার নেটওয়ার্ক সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে। এসব নেটওয়ার্ক পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে এগুলোর মাঝে একটি গেটওয়ে স্থাপনের মাধ্যমে এবং প্রতিটি নেটওয়ার্কের কমপিউটার ল্যাঙ্গুয়েজকে কনভার্ট করবে ‘ইন্টারনেট প্রটোকল’ নামের একটি অভিন্ন ইন্টারনেট ল্যাঙ্গুয়েজে। এ ধারণার পেছনের অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সব কমপিউটার নেটওয়ার্ককে একই কমপিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে শুধু কমন ল্যাঙ্গুয়েজকে কনভার্ট করতে হবে একটি গেটওয়েতে, এরপর তা রুট করা হবে বাকি প্রতিটি নেটওয়ার্কের প্রত্যেকের কাছে। আর যেহেতু কমপিউটার নেটওয়ার্কগুলো অন্তর্নিহিতভাবে নজর দেয় না সিটি, প্রভিন্স, স্টেট বা কান্ট্রিবিশেষের মধ্যে এই নেটওয়ার্কগুলো কাজ করছে, আর কোন জাতির লোক তা ব্যবহার করছে তাই এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়নি কোনো দেশের সীমান্ত ধারণা মাথায় নিয়ে। এদিক থেকে এটি ব্যতিক্রম সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ মাধ্যম থেকে। কারণ, সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ মাধ্যম মূলত সূচিত হয় একটি দেশের সরকারের অনুমোদনক্রমে।


ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়াস


ইনটারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়াস প্রেক্ষাপট হিসেবে যে কোনো দিক বিবেচনায় এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে গ্লোবাল ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রিত হয় ব্যবসায়ী ও নন-প্রফিট সাবজেক্টের মাধ্যমে; যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জুরিকডিকশনের তথা আইনি ব্যবস্থার অধীনে থেকে এর নিয়ন্ত্রণ চলে। সান দিয়াগো থেকে সিয়াটল পর্যন্ত মোটামুটি ১০০০ মাইল বিস্তৃত ভূমিতে রয়েছে প্রধান প্রধান ইন্টারনেট বিজনেস ও নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল অথবা স্ট্যান্ডার্ড বডিগুলো। চীন, রাশিয়া এগুলোর ব্যাখ্যা দিতে কম পরিশ্রম করেনি। ৪৩০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে মোটামুটি ৩২ কোটি ইউজারই আমেরিকান : শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮ শতাংশের মতো। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রভাব বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ করছে ৭০ শতাংশেরও বেশি ইন্টারনেট ও সার্ভিস।


বিগত এক দশকে চীন কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে এটি দেখাতে যে ইন্টারনেটের নন-ন্যাশনালিস্টিক প্রকৃতি বজায় রাখা যাবে টেকনিক্যাল ও আইনি এই উভয় উপায়ে। একে কখনো কখনো অভিহিত করা হয় ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়না’ নামে। ব্যাপক আকারে পদ্ধতির তালিকা না করেই চীন কাজ করেছে চীনের ভেতরে একটি ইন্টারনেট সৃষ্টির, যা হবে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ইন্টারনেট থেকে আলাদা। মোটামুটি ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চীনের সীমানার ভেতরে থেকে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে চীনের সক্ষমতা অন্য আরো অনেক দেশকে শিখিয়েছে এমনটি করা ব্যয়বহুল হলেও তা সম্ভব। এই শিক্ষা হারিয়ে যায়নি রাশিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইইউ ও আরো অনেক দেশে যেগুলো শুরু করেছিল আইনি উপায়ে এবং কখনো কখনো কারিগরি উপায়ে তাদের দেশের ভেতরে ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উপায় উদ্ভাবনের কাজ। বিগত দশকের এই আইনি/কারিগরিভাবে ইন্টারনেটের জাতীয়তাবাদীকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় এই উপলব্ধিতে যে, একটি সরকারের পক্ষে তার দেশের ভেতরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়।


নিজ নিজ দেশের ভেতরে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের এই অতিরিক্ত বল প্রয়োগের এই পদক্ষেপ সম্ভব করে তোলা হয়েছে অংশত স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রচলনের কারণে। শুধু সেলফোনের টাওয়ারের মাধ্যমে ডাটা সরবরাহ বন্ধ করে দিলেই টাওয়ারের নাগালের এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রেট ফায়ারওয়াল দিয়ে পুরো একটি দেশে হঠাৎ করে এভাবে বন্ধ করে দেয়া কখনোই সম্ভব হতো না, যেমনটি সম্ভব সেলফোন টাওয়ার বন্ধ করে দিয়ে। ভারত থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে পর্যন্ত সব দেশ তাই করছে। অতএব ইন্টারনেট সেবার মূল উন্মুক্ত বৈশ্বিক প্রকৃতি ধীরে ধীরে জাতীয় নিয়ন্ত্রণের বিষয় হয়ে উঠছে। এমনটি শুধু হচ্ছে না এর পেছনে বিপুল অর্থব্যয় ও জোরালো পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।


পরবর্তী পদক্ষেপ


এ প্রক্রিয়ার পরবর্তী বড় ধরনের পদক্ষেপ ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে : ২০১৮ সালের প্রথম দিকে গুগলের সাবেক প্রধান নির্বাহী এরিক স্মিথ ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন : ইন্টারনেট দু-ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। একটি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন ইন্টারনেট, এর পাশাপাশি থাকবে চীন/রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইন্টারনেট। স্মিথের এই ভবিষ্যদ্বাণী তাদের কাছে অবাক কিছু মনে হবে না যারা লক্ষ করে থাকবেন চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ইনিশিয়েটিভ অথবা এর বিবৃত আইসিটির ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় বৈশ্বিক ভূমিকা পালনের সরকারি ঘোষণাটি কিংবা এবারের ওয়ার্ল্ড ইন্টারনেট সম্মেলনটি।


নতুন চীনকেন্দ্রিক বড় ধরনের প্রথম পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে গত বছরে। তখন চীন জাতিসঙ্ঘের ‘আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের’ (আইটিইউ) কাছে প্রস্তাব দেয় নতুন ধরনের একটি প্রটোকলের জন্য, যেটি নেটওয়ার্কগুলোকে এমনভাবে সংযুক্ত করবে, যা বর্তমান ইন্টারনেট প্রটোকলের সাথে তুলনীয় হলেও আলাদা। দ্রুত এই প্রটোকল অভিহিত হতে থাকে চীনের ‘নতুন আইপি’। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ তখন বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, এ প্রস্তাবের ব্যাপারে তারা কী প্রতিক্রিয়া জানাবে : এই নতুন চীনাকেন্দ্রিক ইন্টারনেট কি নতুন সিরিজের প্রটোকলভিত্তিক হবে, না এটি হবে শুধু এক সেট নতুন ইন্টারনেট ডোমেইন নেম বা নম্বরভিত্তিক। মনে হয়েছে, এই বিকল্প ইন্টারনেট জাতীয় সরকারগুলোকে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেবে দেশের ভেতরে যা ঘটে তার ওপর; আগের উন্মুক্ত বৈশ্বিক ইন্টারনেটের তুলনায়। এই বৈশিষ্ট্যটি আকর্ষিত করবে সামান্য কয়টি দেশের জাতীয় সরকারকে : কমপক্ষে রাশিয়া, ইরান এবং হতে পারে তুরস্ক ও ভারত সরকারকে। এসব দেশের সম্মিলিত বাজারশক্তির কারণে যেকোনো গ্লোবাল ইন্টারনেট বিজনেসের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে এই মিডিয়াকে এড়িয়ে চলা। এর দু-ধরনের ফল দাঁড়াতে পারে : প্যারালাল গ্লোবাল কমপিউটার ইন্টার-নেটওয়ার্কিং সিস্টেমস, যেটি এরিক স্মিথ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র যা চায়


একটা সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নীতিগত ও উদাহরণগতভাবে এর নিজ ভূখন্ডে ভেতরে জাতীয় ইন্টারনেটের বিপরীতে ইন্টারনেটের এক জোরদার শক্তি হয়ে উঠবে। ইন্টারনেটে ‘অবাধ তথ্যপ্রবাহ’ ছিল দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট-নীতির মূল কথা। সমালোচকেরা সহজেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারত, বিতর্কের জন্ম দিতে পারত। কেননা, তখন ইন্টারনেটের প্রায় সব তথ্যই


অন্যান্য দেশে প্রবাহিত হতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তা সত্তে¡ও ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট-নীতিমালায় নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে; ঠিক যেভাবে অতীতের কয়েকটি বছর ছিল আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য বাজারশক্তি পরিবর্তনের বিষয়টি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিন নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চায় যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদেরকে অতি স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য ও তাদের ব্যবসায়ের মূল্যবান ইনটেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি থেকে দূরে রাখতে, যাতে এগুলো ক্লাউডে মজুদ বা প্রক্রিয়াজাত না হতে পারে এবং এগুলোতে বিদেশী শত্রুদের প্রবেশের সুযোগ না থাকে। টিকটক ও উইচ্যাট বন্ধের নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রস্তাব হচ্ছে টিকটক ও উইচ্যাট সম্পর্কিত কোনো ব্যক্তিগত লেনদেন, অথবা যেকোনো সম্পদ সম্পর্কিত বিষয়াবলি হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ক্ষমতার অধীন।


এসব উদ্যোগ ও পদক্ষেপের পেছনের অন্তর্নিহিত সত্যটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চায় তাদের ভূখন্ডের ভেতরে ইন্টারনেটের কনটেন্টের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এটি ইন্টারনেটের কনটেন্টে বাধা দেয়া থেকে মৌলিকভাবে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, এটি লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন যেমন : চাইল্ড প্রিডেশন অর কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট। এর বিষয়টি দাঁড়ায় এমন যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাতীয় সরকারের অধিকার রয়েছে তার ভূখন্ডের ভেতরে গ্লোবাল ইন্টারনেটের কনটেন্ট বাছাইয়ের এবং নির্দিষ্ট কোনো কনটেন্টকে অবৈধ ঘোষণার। অনেক দেশের জন্যই চীনের ২০১৪ সালের ‘ক্লিন আপ’ অভিযান ও যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের ‘ক্লিন নেটওয়ার্ক’ অভিযানের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হবে। কারণ এরা উভয়েই ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহ’ ধারণা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। এবং এরা নিজ নিজ দেশের সীমানার ভেতরে নির্ভর করে জাতীয়ভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ওপর।


শেষকথা


এখন আমরা যদি দুটি গ্লোবাল ইন্টার-নেটওয়ার্কিং গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত দুটি জাতীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেটের দিকে এগিয়ে যাই যার একটি নিয়ন্ত্রিত হবে আমেরিকার নেতৃত্বে এবং অপরটি নিয়ন্ত্রিত হবে চীনের নেতৃত্বে, তবে সত্যি সত্যিই ইন্টারনেটের বিভাজন চূড়ান্ত রূপ নেবে








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।