https://gocon.live/

ইন্টারনেট

সোশ্যাল মিডিয়া জোয়ার আমরা কি ভাসছি না ডুবছি?

সোশ্যাল মিডিয়া জোয়ার আমরা কি ভাসছি না ডুবছি? সোশ্যাল মিডিয়া জোয়ার আমরা কি ভাসছি না ডুবছি?
 

সোশ্যাল মিডিয়া জোয়ার আমরা কি ভাসছি না ডুবছি?


বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এমনতর বাড়ছে, কারো কারো কাছে যেন তা দৈনিক রুটিন কাজে পরিণত হয়েছে। বয়স-নির্বিশেষে সব জনগোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হলেও যুবসমাজের কাছে তা যেন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার জোয়ারে বিশ্ব আজ কেমন করে ভাসছে তা বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে প্রতিফলিত হয়। Digital 2020, July Global Statshot Report অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৯ শতাংশ (৪.৫৭ বিলিয়ন) ইন্টারনেট এবং ৫১ শতাংশ (৩.৯৬ বিলিয়ন) সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াসমূহের মধ্যে ২৬০৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুক প্রথম, ২০০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপ সম্মিলিতভাবে দ্বিতীয় এবং ১৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সুস্পষ্ট প্রাধান্য রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ৯৯ শতাংশ মোবাইলনির্ভর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। একই সূত্রে আরো জানা যায়, বয়সভিত্তিক গ্রুপের মধ্যে ১৬-২৪ বছরের জনগোষ্ঠী দৈনিক সবচেয়ে বেশি গড়ে ২ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট এবং ৫৫-৬৪ বছরের জনগোষ্ঠী সবচেয়ে কম ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। প্রণিধানযোগ্য তথ্য হলো সব বয়সভিত্তিক গ্রুপের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুকের খাবার দাবার, পোশাক-গহনা কিংবা স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবপেজগুলোর বেশিরভাগ ভিজিটরই মহিলা।


খুব জনপ্রিয়তার কারণে ফেসবুক বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সমার্থক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্ক জুকারবার্গ এবং তার হার্ভার্ড কলেজ সহপাঠীদের হাত ধরে ২০০৪ সালে ‘ফেসমাশ’ নামে জন্মলাভ করা ‘ফেসবুক’ আজ সোশ্যাল মিডিয়া সাম্রাজ্যে অধিশ্বরের আসনে আসীন। ২০২০ সালের জুলাই মাসের তথ্যাদির ভিত্তিতে Statista-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের সর্বাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় ২৯০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর দেশ ভারত প্রথম অবস্থানে এবং ৩৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর দেশ বাংলাদেশ দশম অবস্থানে রয়েছে। Global Stats Gi সেপ্টেম্বর-২০২০ মাসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ফেসবুকের একচ্ছত্র প্রভাব রয়েছে, যা মোট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর ৯৫.২৮ শতাংশ নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে, ২.৫৪ শতাংশ নিয়ে ইউটিউব দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।


ইতিহাস থেকে সুস্পষ্ট ধারণা মেলে যে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে তথ্যপ্রযুক্তি তথা ডিজিটাল প্রযুক্তি যত দ্রুত বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা এবং বিস্তার লাভ করেছে আর কোনো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তেমনটি লক্ষণীয় নয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ফসল সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও তেমন অভাবনীয় গতির বিস্তার লক্ষ করা যায়। লিংগ, বর্ণ, বয়স নির্বিশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার জোয়ারে ভাসার গূঢ় রহস্য এখনো জনসমক্ষে পরিষ্কার নয়।


সোশ্যাল মিডিয়া কেন মানুষকে আকর্ষণ করে অথবা মানুষ তার কী প্রয়োজন মেটাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয় তা নিয়ে বিস্তার গবেষণা হয়েছে। কুয়েত ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Jamal J. Al-Menayes তার ‘Motivations for Using Social Media: An Exploratory Factor Analysis’ গবেষণা প্রবন্ধে কয়েকটি মোটিভেশনাল ফ্যাক্টর চিহ্নিত করেছেন বিনোদন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন, তথ্য-সন্ধান সুবিধা এবং পরোপকারী ভাবনা।


স্পেনের Alcala বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর Ghassan ঐ Felemban এবং Miguel-Angel Sicilia তাদের ‘Motivations and Incentives in Joining and Using Social Networks : A Systematic Review প্রবন্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার ১২টি মোটিভেশনাল ফ্যাক্টরের উল্লেখ করেছেনÑ (১) নতুন সম্পর্ক স্থাপন, (২) বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ, (৩) সামাজিকতা, (৪) তথ্য অনুসন্ধান, (৫) বিতর্ক, (৬) ফ্রি এসএমএস, (৭) সময় কাটানো, (৮) কনটেন্ট শেয়ার করা বা দেখা, (৯) মজা করা, (১০) অন্যের প্রোফাইল ভিজিট, (১১) পারিবারিক যোগাযোগ এবং (১২) অন্যান্য। নরওয়ের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান SINTEF-এর গবেষক Petter Bae Brandty এবং Jan Heim তাদের গবেষণামূলক ‘Why People Use Social Networking Sites’ প্রবন্ধেও অনুরূপ ১২টি মোটিভেশনাল ফ্যাক্টর শনাক্ত করেছেন।


তাদের গবেষণার ফলাফলে আরো প্রতীয়মান হয়েছে সর্বাধিক ৩১ শতাংশ ব্যবহারকারী নতুন সম্পর্ক স্থাপন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ শতাংশ ব্যবহারকারী বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ ব্যবহারকারী সামাজিকতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টি মুখ্য হিসেবে প্রতিফলিত হয়।


বাফার ব্লগের ডিরেক্টর Courtney Seiter তার ‘The Secret Psychology of Facebook: Why We Like, Share, Comment and Keep Coming Back’ প্রবন্ধে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে কেন আঠার মতো লেগে থাকে তার বৈজ্ঞানিক ও মনস্তাত্তি¡ক কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোন পোস্টে কেন ‘লাইক’ দেন? সাধারণত কোনো বন্ধু বা পরিচিতজনের চিন্তা-চেতনার প্রতি একাত্মতা বা সংহতি প্রকাশের জন্য, ভার্চুয়ালি সহানুভূতি প্রকাশের জন্য। কোনো ব্যবসায় বা কোম্পানির পোস্টে ‘লাইক’ দেয়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতর কারণ নিহিত থাকে, বিনিময়ে ‘ফ্রি কুপন’ কিংবা নিয়মিত ‘আপডেট’ প্রাপ্তির প্রত্যাশা থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই ‘লাইক’ প্রদানকারী নিজের অজান্তে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ছাপ উন্মোচিত করে থাকেন, যা পোস্টের ‘মেসেজ’ বা ‘গুণগত মানের’ ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোন পোস্টে কেন ‘কমেন্ট’ করেন? মনস্তাত্তি¡ক বিচারে ‘কমেন্ট’ হলো খুব শক্তিশালী ‘emotional driver’ যা পোস্ট প্রদানকারী এবং কমেন্ট প্রদানকারীর মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি করে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে।


ফেসবুকে ‘পোস্ট’ কেন ‘শেয়ার’ করা হয়? ঞযব ঘবি York Times-এর শেয়ারিংয়ের মনস্তাত্তিক কারণ অনুসন্ধানীমূলক এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অর্থাৎ ৮৪ শতাংশ শেয়ার করে কোনো একটা সত্য বা মতামতকে সমর্থন করার জন্য, ৭৮ শতাংশ সম্পর্ক স্থাপন/উন্নয়ন, ৬৯ শতাংশ আত্মতুষ্টির জন্য, ৬৮ শতাংশ নিজেকে প্রকাশ করার জন্য এবং ৪৯ শতাংশ নিছক বিনোদনের জন্য।


ফেসবুক ব্যবহারের ধরন দেখে অর্থাৎ ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’ কিংবা ‘পোস্ট শেয়ারিং’ থেকে ব্যবহারকারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা সম্ভব।


বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সমাজের একজন হিসেবে সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে যোগদান করতে পারেন। কিন্তু পোস্ট শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক অনুষ্ঠানের ছবি নাকি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সভা/সেমিনারে অংশগ্রহণের ছবি কোনটা তার ফেসবুক ফ্রেন্ড বা ফলোয়ারদের যথাযথ মেসেজ দেবে, তার মর্যাদা এবং অবস্থান সঠিক মূল্যায়নে সহায়ক হবে? একজন সরকারি কর্মকর্তা সরকারি কাজে বরিশাল কিংবা সিলেটে যাওয়ার সময় বিমানের সিঁড়িতে পা ঠেকিয়ে ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করলে তা কি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দেয়? একজন শিক্ষিকা প্রতিদিন স্কুলে প্রবেশের কিংবা প্রস্থানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের জন্য কি তথ্য/মেসেজ দেয়। প্রতিদিন নিজ বাসার ছাদে বসে সূর্যাস্ত দেখা হয়তো নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর কিন্তু তা ফেসবুক ফ্রেন্ডের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর? বাঙালি হিসেবে রিকশা চড়া কিংবা নিজের হাতে বাজার করা কোনোটাই কি চমকিত হওয়ার মতো ঘটনা? রিকশায় বসে ছবি কিংবা বাজারের থলে হাতে কাঁচাবাজারের ছবি কিংবা পৌঢ় দম্পতির চোখে চোখ রেখে ‘দুজনে-দুজনার’ জাতীয় ছবিগুলো সামগ্রিকভাবে ফেসবুকের তথ্যভান্ডারকে অহেতুক স্থ‚ল করা এবং ফেসবুকের প্রয়োজনীয় ব্যবহারের সুযোগ সীমিতকরণ ছাড়া ফ্রেন্ড বা ফলোয়ারদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য/মেসেজ দিতে সক্ষম হয় কী? এ প্রসঙ্গে চবি Research Center-এর ফেসবুক অপছন্দের কারণ অনুসন্ধানীমূলক Internet Project Survey, ২০১৩ ফলাফল পর্যালোচনা করা যেতে পারে। ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে খুব প্রচারণাকে ৩৬ শতাংশ এবং নিজের সম্পর্কে খুব প্রচারণার মানসিকতা থাকাকে ২৪ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী ‘Strongly dislike’ করে। আমরা ফেসবুকে আঠার মতো লেগে থেকে নিজেদের অকাতরে প্রচারণার মিশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কখনো কি ফ্রেন্ড বা ফলোয়ারদের অমানুষিক নির্বাক যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠা মুখের প্রতিচ্ছবিটি মনে রাখি?


Licensed clinical social worker Frances Dalomba তার ‘Social Media: The Good, The Bad, and The Ugly’ প্রবন্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিক সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রায়শই অনলাইন জগৎ আর বাস্তবকে একাকার করে ফেলে যা সমীচীন নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু প্রকৃত বন্ধু নাও হতে পারে, অনেক সময় অপরিচিতজন, এক্ষেত্রে অধিক আস্থা স্থাপনে ঝুঁকির সম্ভাবনাও থাকে। ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের অভাব ঘটে, যা বয়স বা লিঙ্গের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে অপ্রত্যাশিত ফলাফল বয়ে আনে। সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি দেখা দিলে তা ব্যক্তি, পরিবার এমনকি সামাজিক জীবনে বিপর্যয় ঢেকে আনতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমেজ সৃষ্টির অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীদের বেপরোয়া করে তোলে। কুৎসিত আচরণের মধ্যে অন্যতম ‘Cyber bullying’, যা সামাজিক অবক্ষয়ের চরমতর বহির্প্রকাশ, যার কুপ্রভাব সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশেও পরিলক্ষিত হয়েছে।


আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ৩৮ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী নিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে দশম স্থানে অবস্থান বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুকের জোয়ারের সুস্পষ্ট প্রতিফলন। কিন্তু ব্যবহারের গুণগত মানের চিত্র মোটেও আত্মতুষ্টিদায়ক নয়। আমাদের আত্মোপলব্ধি এবং আত্মসমালোচনা প্রয়োজন। ডিজিটাল জমানার আশীর্বাদ ফেসবুকের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ফেসবুক ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধাচরণ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ, নতুন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের নব-নব দ্বার উন্মোচন, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়ণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজের কাছে ফেসবুক খুব আকর্ষণীয়, এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের অপার সুযোগ রয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার জোয়ারে আমরা কি ভাসতে ভাসতে এগিয়ে যাব, নাকি এর আবর্তে অতলে তলিয়ে যাব?








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।