https://gocon.live/

আইটি

আইটি বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা কী?

আইটি বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা কী? আইটি বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা কী?
 

আইটি বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা কী?


আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ার সংজ্ঞা বা মাপকাঠি কী? এই প্রশ্নটি জেগেছে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে একটি আইটি প্রকল্পের দুর্নীতির নমুনা দেখে। একটি জাতীয় দৈনিক জানিয়েছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু না হলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ৫ মাস ধরে বেতন নিচ্ছেন তথাকথিত আইটি বিশেষজ্ঞেরা। অথচ কারোরই আইটি কিংবা কমপিউটার বিষয়ে কোনো ডিগ্রিই নেই। অনৈতিকভাবে বেতন নিচ্ছেন সরকারি অবসরকালীন পূর্ণ সুবিধা নিয়ে এই প্রকল্পে চাকরি করা দুজন। বাকিদের ডিগ্রি ইতিহাস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান আর সমাজকল্যাণ বিষয়ে। খাতায় হাজিরা না দিয়ে, অফিসে উপস্থিত না থেকে, প্রতি মাসের বেতন থেকে নির্দিষ্ট একটা অঙ্ক বাধ্যতামূলকভাবে প্রকল্প পরিচালক আবদুল খালেককে দেয়ার শর্তে চাকরি করছেন অদ্ভুত পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সরকারের নানা বিভাগে পাঠানো অভিযোগ থেকে এ ধরনের অদ্ভুত নিয়োগ প্রক্রিয়ার তথ্য জানা গেছে। আর এর মূল হোতা হিসেবে নাম এসেছে এই প্রকল্পের পরিচালক ওয়ান-ইলেভেনের আত্মস্বীকৃত দুর্নীতির হোতা আবদুল খালেকের।


অভিযোগে উল্লেখ, ‘আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আইটি বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য আইটি কনসাল পদে ৬ জন ও ইন্ডিভিজ্যুয়াল কনসাল ফাইন্যান্স পদে ২ জনসহ ৮ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করা হয়। সে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীদের প্রত্যেককে বাদ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করেন আবদুল খালেক। এদের মধ্যে একজন হলেন আবদুল খালেকের ঘনিষ্ট বন্ধু এলপিআরএ থাকা রাখাল চন্দ্র বর্মণ। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। আর অন্যজন ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী একেএম জাহাঙ্গীর আলম খান। এছাড়া আইটি স্পেশালিস্ট পদে রয়েছেন ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সানজিদা খান, ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর নজরুল ইসলাম খান, উন্নয়নবিদ্যায় আবু বকর সিদ্দিক ও সমাজকল্যাণে স্নাতকোত্তর জাহিদুল হক খান। এদের মধ্যে আবদুল খালেকের ঘনিষ্ট সহকর্মী এএনএম ফয়জুল হকের আত্মীয় সানজিদা খান ও জাহিদুল হক খান আপন ভাইবোন।


অভিযোগে আরো প্রকাশ স্থানীয় সরকার বিভাগের এই আইটি প্রকল্পটি আলোর মুখ না দেখার আগেই পাঁচ মাস ধরেই আড়াই লাখ টাকা করে বেতন তুলছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। নিয়োগপ্রাপ্তরা নিয়মিত প্রকল্প অফিসে অনুপস্থিত থেকে বাইরে চাকরি করছেন। হাজিরা খাতায় কোনো ধরনের স্বাক্ষর না করে অডিট জেনারেল থেকে প্রকল্প পরিচালকের স্বাক্ষরে প্রতিমাসে বেতন তুলছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। এ বিষয়টি আবার নিয়োগপ্রাপ্তদের কেউ কেউ স্বীকার করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের প্রকল্প পরিচালক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ মতে, অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শর্তে বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রকল্প পরিচালক আবদুল খালেককে তারা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। এসব বিষয়ে তারা সম্প্রতি প্রতিবাদ করলে আবদুল খালেক তাদের হুমকির সুরে জানান, তিনি নিয়মিতভাবে পুলিশ ও দুর্নীতি কমিশনে অর্থ দিয়ে থাকেন। কাজেই এসব অভিযোগ তুলে কোনো লাভ নেই।


সরকারের বিভিন্ন শাখার তথ্যমতে আবদুল খালেক তার আত্মীয়ের নাম দিয়ে ঢাকাতে পাঁচটি ফ্ল্যাট ক্রয় কিনেছেন। গাজীপুর, নেত্রকোনা ও কক্সবাজারে আবদুল খালেকের নামে ২০ থেকে ৩০ বিঘা জমি কিনেছেন। আরো অভিযোগ প্রকল্পের গাড়িগুলো প্রকল্পের কাজে ব্যবহার না হয়ে ব্যবহার হচ্ছে তার স্ত্রী ও সন্তানের কাজে। আর এ যাবতীয় ব্যয় মেটানো হচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে।


আমরা মনে করি, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে এখানে প্রকল্প পরিচালক আবদুল খালেক ও উল্লিখিত নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই অপরাধী। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের অভিযোগের সত্যাসত্য যাচাই করে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বের করতে হবে কী করে এরা আইটি বিশেষজ্ঞ পদে নিয়োগ পেল এবং এই নিয়োগের পেছনে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না।


একই সাথে আরেকটি জাতীয় দৈনিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্টকার্ড মুদ্রণ-সংক্রান্ত প্রকল্পে দুর্নীতির হদিসের কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে ‘টাইগার আইটি’কে সাড়ে ৯ বছরের জন্য এবং এর পরিচালক জিয়াউর রহমানকে সাড়ে ৬ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এই দুর্নীতির বিষয়টিতে ইসির দায় রয়েছে বলে আমরা মনে করি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করা দরকার। আশা করি সরকার এ ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।