https://gocon.live/

প্রযুক্তি

বড় বড় কোম্পানি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে যেভাবে বিনিয়োগ করছে

বড় বড় কোম্পানি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে যেভাবে বিনিয়োগ করছে বড় বড় কোম্পানি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে যেভাবে বিনিয়োগ করছে
 

বড় বড় কোম্পানি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে যেভাবে বিনিয়োগ করছে


আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং হয়ে উঠেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রাযুক্তিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রগুলোর অন্যতম। এটি স্পষ্ট, শেয়ারবাজারে শেয়ার মালিকদের শেয়ারের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কারণ দেখা গেছে, প্রযুক্তি কোম্পনিগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বাজার মূলধন বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শেয়ারবাজারে প্রাধান্য বিস্তার করে চলেছে। বিগত দুই বছরে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন বিশ্বের ‘মোস্ট হাইলি ভ্যালুড’ কোম্পানির স্থান দখল করে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং হয়ে উঠেছে ‘সেন্ট্রাল স্ট্র্যাটেজিক পুশ’। এ লেখায় আমরা আলোকপাত করব, কী করে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স খাতে বিনিয়োগ করে চলেছে, সেই সাথে গ্রাহকদের উপকারার্থে সম্প্রসারিত করে চলেছে এক্ষেত্রে তাদের নানা ধরনের কার্যক্রম। এখন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সই হচ্ছে বিগ ডিল। বড় বড় কোম্পানি অঢেল বিনিয়োগ করছে এর পেছনে। স্বাভাবিক কারণেই টেক জায়ান্টগুলোই এক্ষেত্রে বিনিয়োগে রয়েছে সামনের সারিতে। এরা গবেষণার পেছনে ব্যয় করছে বিপুল অর্থ। কারণ, এরা চায় একদম নতুন সেবা ও পণ্যের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানটি দখল করতে। আমরা এ প্রতিবেদনে বড় বড় নামিদামি কিছু কোম্পানি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স খাতে কেমন বিনিয়োগ করছে, তার ওপর আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।


গুগল


আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি হচ্ছে অ্যালফাবেট’। এই অ্যালফাবেট কোম্পানি ছিল এআই ও মেশিন লার্নিং টেকনোলজি খাতে বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য একটি সেরা কোম্পানি। তাই আমরা বলতে পারি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে কাজ করায় গুগলের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। গুগলের মূল গবেষণা-ব্যবসায় মূলত নির্ভরশীল সার্চ রেজাল্ট সরবরাহের প্রিডিকটিভ অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিংয়ের ওপর, যার অর্থায়ন চলে বিজ্ঞাপনের টাকায়।


এই কোম্পানির সিইও Sundar Pichaim ২০১৬ সালে জানিয়েছিলেন, কোম্পানিটি পরিকল্পনা করছে ‘এআই ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড’-এ নিজেদের উত্তরণের ব্যাপারে। ফিউচারিস্ট Ray Kurzweil-কে চাকরি দিয়ে নিয়ে আসে গুগল। জিমেইল অটো রেসপন্স ছিল তার পরিচালিত বহু প্রকল্পের একটি। ২০১৪ সালে গুগল ৪০ কোটি ডলার দিয়ে কিনে নেয় DeepMind নামের একটি নতুন কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের এআই-পাওয়ার্ড সলিউশন, ইমেজ ও স্পিচ-রিকগনিশন থেকে শুরু করে ভিডিও গেমে হিউমেন বিং সিমুলেট করা পর্যন্ত কাজ করে।


জানা গেছে, গুগল এআই ব্যবহার করছে বেশ কিছু নিয়মিত কাজে; যেমন সাজেস্টেড রিপ্লাইজ ইন জিমেইল এবং অ্যাডভান্সড সার্চ অ্যালগরিদম। এ ছাড়া এই কোম্পানি সম্প্রতি সূচনা করেছে এর মেশিন লার্নিং সিস্টেম TensorFlow এটি যেকোনো ডেভেলপারের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।


এরপর রয়েছে এর ‘গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ এবং ‘ডুপ্লেক্স’। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে একটি ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (অ্যালেক্সা, করটানা বা সিরি’র মতোই), যা ব্যবহারকারীদের সহায়তা করে তাদের প্রতিদিনের কাজ আরো দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে। এটি সহায়তা পায় একগুচ্ছ ডিভাইসের সোনস স্পিকার, স্যামসাং স্মার্ট টিভি, ফিলিপস হিউ। আর এটি হচ্ছে আজকের দিনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এআই সলিউশন।


‘ডুপ্লেক্স’ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়, এটি একটি এআই-চালিত (এআই-ড্রিভেন) ভয়েস। এটি ব্যবহারকারীদের সহায়তা করে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে বিজনেস অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেটআপ করতে। সব ইউজারের প্রয়োজন হচ্ছে গুগল আসিস্ট্যান্টকে বলা, কোনো নির্ধারিত দিনে একটি রেস্তোরাঁ এবং ডুপ্লেক্স এ কাজের দায়িত্ব নেবে। কাজটি একজন মানুষের মতো অধিকতর সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ডেভেলপার এমনকি কথার মধ্যে সংযোজন করেছে ‘ওম’ ও থামার কাজটিও। অর্থাৎ কথা বলার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী এটি থেমে কথা বলতে পারে।


এ বছর ডুপ্লেক্স যখন সরাসরি সম্প্রচারে যায়, তখন একমাত্র যে ফিচারটি এটি প্রদর্শন করে, সেটি হচ্ছে রেস্তোরাঁ বুকিং। তবে ডেভেলপারেরা অবশ্য পরিকল্পনা করছেন এর ফাঙ্কশনালিটি বা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে।


গুগল ও এআই সম্পর্কিত সর্বশেষ একটি বিষয় হচ্ছে, এর হালনাগাদ তথা লেটেস্ট PAIR initiative নামের উদ্যোগ। PAIR হচ্ছে একটি শব্দ-সংক্ষেপ, যা পুরো কথায় People + AI Research। আর এর লক্ষ্য হচ্ছে এআইয়ের সাথে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করে একে যথাসম্ভব উপভোগ্য ও উপকারী করে তোলা। এটি মূলত একটি গবেষণাকেন্দ্র। আর এই কেন্দ্র নিকটভবিষ্যতে সত্যিকারের আকর্ষণীয় কিছু ফল বয়ে আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


ফেসবুক


আমরা সবাই জানি, ফেইস রিকগনেশনের ক্ষেত্রে ফেসবুক হচ্ছে অগ্রদূত, যা পুরোপুরি এআই-নির্ভর। অতএব বলা যায়, এটি যত বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই হোক, এটি বরাবর ছিল এআই হিসেবেই।


দুর্ভাগ্য, যখন অ্যামাজন ও গুগল সক্রিয়ভাবে এআই নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের এআই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিল, তখন ফেসবুক আটকা পড়ে থাকে পরিকল্পনার মধ্যভাগে। এই কোম্পানি নিয়ে আসতে চায় তার নিজস্ব একটি ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং কনটেন্ট মনিটরিং ও অ্যাডমিনিস্ট্র্যাশনের মতো বেশ কিছুসংখ্যক প্রক্রিয়ায় এআইয়ের বাস্তবায়ন।


চলতি বছরে ফেসবুক জার্মানির মিউনিখের ‘এআই এথিকস ইনস্টিটিউট’-এ বিনিয়োগ করেছে ৭৫ লাখ ডলার। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে (যেমন এআইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে এথিক্যাল ও রেগুলেটরি নানা বিষয়) মনে হয় এটি ছিল চৌকস বিনিয়োগ। তা সত্তেও এলন মাস্ক বলেন, এআই সম্পর্কিত জুকারবার্গের জ্ঞান ‘সীমিত’। অতএব এমনটি মনে হয়, ফেসবুক যদি সত্যি-সত্যিই এআই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়, তবে এই কোম্পানিকে আরো অনেক কিছুই করতে হবে।


মাইক্রোসফট


মাইক্রোসফটকে বলা হয় ‘মিস্টার সফটি’। এই মিস্টার সফটি এআই খাতে সবকিছুই করে চলেছে। মাইক্রোসফট নীরবে এআই-পাওয়ার্ড প্ল্যাটফরম, টুল, অ্যাপ্লিকেশন ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে গড়ে তুলেছে অন্যতম সেরা ও দুর্দান্ত এক পোর্টফোলিও। এর সিইও সত্য নাদেলার নেতৃ ত্বে মাইক্রোসফট ২০১৬ সালে চালু করে একটি ‘কম্বাইন্ড আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চ গ্রুপ’, যার আওতায় রয়েছে উইন্ডোজ, অফিস এবং অ্যাজিউর। মাইক্রোসফট ভেঞ্চারগুলো এআই স্টার্ট-আপের জন্য ২০১৬ সালেই চালু করে একটি তহবিলও। এই তহবিল প্রথম বিনিয়োগ করে ‘এলিমেন্ট এআই’-এ। এটি হচ্ছে মন্ট্রিয়ালভিত্তিক একটি এআই ইনকিউবেটর। বলা যায়, এআই খাতে যেসব কোম্পানি খুব বেশি মাত্রায় বিনিয়োগ করছে সেগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট একটি।


শুরুতেই উল্লেখ করা যেতে পারে ‘মাইক্রোসফট রিসার্চ এআই’ বিষয়ে। এটি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান বা অর্গ্যানাইজেশন। এটি কাজ করে এআই গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ে। যেহেতু এ কোম্পানি এরই মধ্যে ও বিভিন্ন প্রসেসে (স্কাইপি চ্যাটবট, ডাটা অ্যানালাইসিস, করটানার সাথে ইন্টারেকশন ইত্যাদি) এআই চালু করেছে, তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই যদি মাইক্রোসফট এসব দিকে এআই আরো সম্প্রসারণ করে। এ ছাড়া ‘অ্যাজিউর ক্লাউড কমপিউটিং সার্ভিস’-এর মাধ্যমে মাইক্রোসফট এর এআই-ড্রিভেন টুল চালু করে আসছে এবং অফিস ৩৬৫-এর মধ্যে এআই বাস্তবায়নের ব্যাপারে কাজ করে চলেছে।


২০১৮ সালের মধ্যেই মাইক্রোসফট অ্যাকুইজিশন করে ৫টি এআই টেক কোম্পানি। সর্বশেষ অ্যাকুইজিশন করে XOXCO, যা একটি সফটওয়্যার প্রোডাক্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টুডিও। একই সাথে এটি সক্রিয় থাকে ‘এম অ্যান্ড এ’ তথা মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশনে। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে, মাইক্রোসফট এআই শিল্পকে নিয়েছে খুবই গুরুত্বের সাথে। আর কোম্পানিটি পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট পণ্য ব্যবহারকারীদের জন্য এর মাধ্যমে মূল্য সংযোজনের জন্য।


অ্যামাজন


অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফরমের অন্যতম একটি। অতএব, যেসব কোম্পানি এআইয়ের প্রতি আকর্ষণের দিক থেকে প্রথম সারিতে আছে, সেখানে অ্যামাজনের অবস্থান থাকাটা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। আমরা যখন এআই ও অ্যামাজনের কথা বলি, তখন প্রথমেই যে বিষয়টি আসে তা হচ্ছে ‘অ্যালেক্সা’। এটি হচ্ছে অ্যামাজন ইকো ডাটা স্পিকার সাপোর্টেড একটি ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। এটি আপনার অ্যালার্ম সেট করতে পারে, নোটিস পাঠাতে পারে এবং ভয়েসের মাধ্যমে আপনার সাথে ইন্টারেক্ট করতে পারে। কিন্তু অ্যামাজনে যাবতীয় বিষয় হচ্ছে ই-কমার্স, তাই সম্প্রতি এটি খুলেছে অ্যালেক্সা শপিং ফিচার। এখন ক্রেতারা অ্যামাজন থেকে অ্যালেক্সার মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দিতে পারে। এই অ্যাসিস্ট্যান্ট পণ্যগুলো কার্টে রাখতে পারে, কার্ট থেকে সরাতেও পারে, তাদের স্ট্যাটাস চিহ্নিত করে সরবরাহের ব্যাপারে নোটিস দিতে পারে। ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ভয়েস শপিংয়ের পরিমাণ ২০২০ সালের মধ্যে ৪ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। তাই বলা যায়, এটি অ্যামাজনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগ। অ্যামাজনের আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন করছে এমএল এবং তাদের এব্লিউ। এআই ও অ্যামাজন সম্পর্কিত একটি মজার বিষয় হলো এ প্রযুক্তি বিষয়ে কোম্পানটির নেয়া একটি উদ্যোগ। এরা এই উদ্যোগের নাম দিয়ে ‘ফ্লাইহুইল’ এবং এটি অবিরত নলেজ স্টোর করে কোম্পানি জুড়ে তা বিতরণ করে। অতএব একজন বলতে পারেন, অ্যামাজন হচ্ছে সত্যিকারের একটি এআই-ড্রিভেন (এআইচালিত) বিজনেস, যেটি বেশিরভাগই পেয়ে থাকে এআই থেকে।


অ্যাপল


এআই খাতে বিনিয়োগে অন্যান্য বড় কোম্পানির তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও অ্যাপল ব্যাপক ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে সহায়তা দেয়ার জন্য এআই ব্যবহার করে। এর রয়েছে ‘সিরি’। এটি হচ্ছে বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। অ্যাপল মেশিন লার্নিং ও এআই স্ট্র্যাটেজি পরিচালনার জন্য ভাড়া করে নিয়ে আসে গুগলের সার্চ ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-বিষয়ক প্রধান John Giannandrea-কে। অ্যাপলের রয়েছে ফ্যাসিয়াল রিকগনিশন। এটি স্টার্টআপ Emotient-এর পেছনে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এ কোম্পানি উৎপাদন করে ফ্যাসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি, যা একটি বিজ্ঞাপন সম্পর্কে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া চিহ্নিত করতে পারে। এ ছাড়া বিনিয়োগ করেছে স্টার্টআপ Vocal IQ-এ (যা ভয়েস ইন্টারফেসের একটি প্ল্যাটফরম) এবং কনজ্যুমার ডিভাইসের জন্য ‘সিল্ক ল্যাবস’-এর এআই সফটওয়্যারে। আসলে ফ্যাসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি চালানো খুবই মজার এবং এটি নিরাপত্তার কাজে লাগানো যায়। একই সাথে অ্যাপল এআই ব্যবহার করে প্রতারণা ধরতে এবং ব্যাটারির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে। সার্বিকভাবে মনে হয়, অ্যাপল প্রাতযোগীদের কাছে একটি সত্যিকারের প্রতিযোগীর মতোই। দুর্ভাগ্য, এর বিপরীত চিত্রটাও আছে। প্রথমত, অ্যাপল এআই খাতে ততটা বিনিয়োগ করে না, যতটা করে গুগল বা অ্যামাজন। দ্বিতীয়ত, iOS ডিভাইসে এর CreateML ফ্রেমওয়ার্কে অ্যাপল অনুসরণ করে খুবই স্থানীয় উদ্যোগ। কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের এমএল মডেলগুলো প্রশিক্ষিত করে ক্লাউডে। যেখানে এ ধরনের উদ্যোগের রয়েছে সমর্থক, তখন অনেক শিল্প বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, একজন অভিজ্ঞ ডেভেলপার CreateML-এর পরিবর্তে বরং বেছে নেবেন গুগলের TensorFlow কারণ, প্রথমে উল্লিখিতটির রয়েছে কম ফিচার।


উপসংহার


যখন বড় বড় কোম্পানি বেশি থেকে বেশি হারে আকর্ষিত হচ্ছে এআই-এর প্রতি, তাই ছোট ও মাঝারি কোম্পানিগুলোর জন্য এটি এখন মোক্ষম সময় এই পথ অনুসরণ করা। এআই শুধু বিলাসী কোনো বিষয় হয়ে ওঠেনি, বরং এটি হয়ে উঠেছে একটি অতি আবশ্যিক প্রযুক্তি। প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই এগিয়ে যেতে হলে এবং পরিবর্তনশীল ব্যবসায়-পরিমন্ডলে নিজেদের মানিয়ে নিতে হলে প্রতিটি দেশকেই এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।