https://gocon.live/

প্রযুক্তি

বায়োবট রোবটিকসে বিপ্লব

বায়োবট রোবটিকসে বিপ্লব বায়োবট রোবটিকসে বিপ্লব
 

বায়োবট রোবটিকসে বিপ্লব


রোবট এখন আর শুধু কতগুলো তার আর ধাতুর সমাহার নয়। জীবদেহের জীবন্ত কোষ তথা লিভিং সেলগুলো এখন পথ করে নিচ্ছে বায়ো হাইব্রট (Hybrot) রোবট তৈরিতে ব্যবহারের জন্য। জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি গবেষণা দল একটি ইঁদুর বা কাঠবিড়ালীর মতো তীক্ষ্ণদন্ডী প্রাণীর নিউরন কোষ এবং রোবটিক বডিকে একসাথে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে একটি হাইব্রট তৈরি করতে। এই গবেষণা টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভপটার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইব্রট হচ্ছে একটি ছোট্ট রোবট যেটি চলে ইঁদুরের মস্তিষ্কের সঙ্কেত বা সিগন্যালের মাধ্যমে। এটি হচ্ছে প্রথম রোবটিক ডিভাইস, যার চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয় একটি কালচার্ড নিউরন সেলের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। হাইব্রটের মস্তিষ্কে থাকে একটি ইঁদুরের নিউরন সেলের নেটওয়ার্ক ও চলাচলের জন্য একটি কৃত্রিম দেহ। ইঁদুরের করটেক্সের (মস্তিষ্কের শ্বেত পদার্থের বহিরাবরণ) মাইক্রোস্কোপিক অংশ ধারণ করে হাজার হাজার জীবন্ত নিউরন। একটি ৬০-মাইক্রো-ইলেকট্রডের ওপর রাখা একটি বিশেষ গøাস পেট্রি ডিশে এই নিউরন স্থাপন করা হয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউসিল্ড-ডিশ কালচার ব্যবহার করে এসব জীবন্ত নিউরন বাঁচিয়ে রাখা হয় একটি ইনকিউবেটরে। এই হাইব্রট US6521451B হিসেবে প্যাটেন্ট করা হয়।


ইলেকট্রডের মাধ্যমে নিউরনের কর্মকান্ড সম্পর্কিত তথ্য রেকর্ড ও সঞ্চালন করা হয়। রোবটের সেন্সর থেকে ডাটা ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলি আকারে ফেরত পাঠানো হয় কালচার্ড নেটে। কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির ‘সেন্টার ফর বায়োলজিক্যালি ইনস্পায়ার্ড রোবকিস রিসার্চ’ রোবটিক বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা চালায় বায়োলজিক্যাল মেকানিজম বিষয়ে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে। এরা ডেভেলপ করেছেন একটি Compliant Modular Mesh Worm (CMMWorm), যেটি ব্যবহার করে একটি কমপ্লায়েন্ট থ্রিডি প্রিন্টেড মেশ। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিটিকে বর্ণনা করেছে বায়োলজিক্যালি ডেরাইভড রোবট সৃষ্টির একটি মেথড হিসেবে।


সৈনিকদের সহায়তা করবে বায়োবট


২০২৪ সালের মধ্যে বায়োবটগুলো একসাথে কাজ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর লোকদের সাথে। এসব সামরিক বট হবে সাপ ও পোকামাকড়ের অনুরূপ। এগুলোর থাকবে একটি ‘ব্ল্যাকমিরর’ মাইক্রোফোন। পাখি, সাপ ও পোকামাকড়ের অনুরূপ সামরিক রোবট শিগগিরই দক্ষিণ কোরিয়ার মানব-সৈনিকদের সহায়তা করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফিন্স অ্যাকুইজিশন প্রোগ্রাম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিএপিএ) নামের সংস্থাটির কাজ হচ্ছে দেশটির সামরিক যন্ত্রপাতি অর্জন করা। সম্প্রতি এই সংস্থা ঘোষণা করেছে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটির সামরিক অভিযানে বায়োমেট্রিক ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন করবে। এটি এই আভাসই দিচ্ছে, আগামী দিনের সামরিক অভিযানে রোবট একটি অবিচ্ছিন্ন ভ‚মিকা পালন করবে।


দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন প্রোগ্রাম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিএপিএ) মুখপাত্র পার্ক জয়িংগিয়ন সংবাদ সংস্থার কাছে সম্প্রতি বলেছেন, আগামী দিনের যুদ্ধে বায়োমেট্রিক রোবট হবে সত্যিকারের গেম চেঞ্জার। আশা করা হচ্ছে, এর সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রতিরক্ষা শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করবে।


রোবটের উদ্দীপনা প্রকৃতি থেকে আসার ধারণা যে একদম নতুন, তা কিন্তু নয়। প্রকৌশলীরা বরং হাজার হাজার বছর ধরে লক্ষ করে আসছেন, কী করে জৈবিক প্রাণী বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পরিবেশের সাথে সর্বোত্তম উপায়ে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। এরপর তারা পদক্ষেপ নিতে পেরেছেন এসব প্রাকৃতিক জীবের সাথে আধুনিক জিসিনপত্রের সমন্বয় ঘটিয়ে ভালো রোবট তৈরি করতে। এগুলো তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে এগুলো বাস্তব জগতে বিদ্যমান পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে চলাচল করতে পারে।


ডিএপিএ পরিকল্পনা করছে ২০২৪ সালের মধ্যে মানব ও পোকামাকড় অবয়বের রোবট। এরপর এটিকে পরিণত করা হবে বায়োবটে, যেগুলোর আকার হবে পাখি বা সাপের মতো কিংবা বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণীর মতো। আর এগুলো চলতে পারবে এমন সব জায়গায়, যেখানে মানুষের যাওয়া বা চলাচল সম্ভব নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বিভিন্ন সামরিক অভিযানে ব্যবহার করবে উড়ন্ত ও সাঁতার কাটা রোবট।


ক্যান্সারবিরোধী বায়োবট


ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম ন্যানোবট নিয়ে এখন গবেষকদের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের কৌত‚হল। ন্যানোবট আকারে একটি রোবটের আকার হতে পারে ১ ন্যানোমিটার, অর্থাৎ ১০-৯ মিটার। এসব ন্যানোবট এতটাই ক্ষুদ্র যে, এর ৫০ হাজারটি রাখা যাবে মানুষের চুলের ব্যাসের সমান জায়গায়।


দুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত এক গবেষণায় ন্যানোবটকে ছিদ্র করে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ক্যান্সার কোষে। এসব বট ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে সব ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে দেয়। এর প্যাটেন্টে এও বর্ণনা করা হয় এই বট ভূপৃষ্ঠের অতল গভীরে উদঘাটন করবে ভূপ্রাকৃতিক গঠন প্রক্রিয়া।


এসব ন্যানোবটের ওপর নির্ভর করেই তৈরি করা হয়েছে বায়ো হাইব্রিড রোবট বা বায়োবট। এগুলো তৈরি রোবটিকস ও টিস্যু প্রকৌশলকে একসাথে কাজে লাগিয়ে। এর ফলে এগুলো সমৃদ্ধ হতে পেরেছে জীবন্ত পেশি ও কোষের মাধ্যমে। এসব কোষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে রোবটকে আলো বা বিদ্যুৎ সহযোগে সাঁতারের কাজে লাগাতে। এ ধরনের রোবট খুব সহজেই আমাদের চারপাশে পাওয়া যাবে। আর এগুলো ধরলে মনে হবে কোনো প্রাণীকেই যেনো ধরা হয়েছে। এমন মোলায়েম করেই এর শরীর তৈরি করা হয়। এসব বায়োবট ওজনে খুবই হালকা এবং এগুলোকে শক্তিশালী ও উন্নততর করে তোলার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর উপাদান, যেমন প্রোটিন সেলোলস। এ ধরনের বায়োবট মিথষ্ক্রিয়াকারী ও এর চারপাশে কাজ করা লোকদের জন্য অধিকতর নিরাপদ। এরা যে পরিবেশে কাজ করে, সে পরিবেশের জন্যও কম ক্ষতিকর। এজন্যই এসব রোবট চারপাশের মানুষের জন্য কম ক্ষতিকর। অধিকন্তু বায়োবটগুলো জৈবিক উপায়ে গলিয়ে ফেলা সম্ভব। এর ফলে পরিবেশে খুব কম পরিমাণে অবশেষ থাকে। এর ইলেকট্রনিক বর্জ্য








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।