https://comcitybd.com/brand/Havit

বিটিআরসিতে গ্রাহকস্বার্থে সহজীকৃত ডিজিটাল সেবার প্রদর্শনী

বিটিআরসিতে গ্রাহকস্বার্থে সহজীকৃত ডিজিটাল সেবার প্রদর্শনী বিটিআরসিতে গ্রাহকস্বার্থে সহজীকৃত ডিজিটাল সেবার প্রদর্শনী
 
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক কমিশনের  উদ্ভাবিত ডিজিটাল সেবাসমূহের শোকেসিং এবং শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয় প্রাঙ্গণে উক্ত প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌ: মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধন পরবর্তীতে কমিশনের সাথে নিয়ে তিনি উদ্ভবনী প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং উদ্ভাবন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে তাদের গ্রাহকবান্ধব উদ্ভাবনের বিষয়ে কথা বলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠন ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সফলতা পেতে দেশের সকল খাতে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিত্যনতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সংমিশ্রণে উন্নত দেশের সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে।

বিটিআরসির প্রতিটি উদ্ভাবনই একাধারে আমাদের সেবাদান পদ্ধতিকে যেমন সহজ করেছে তেমনি জনসাধারণ এবং কমিশনের সেবা গ্রহীতাদের জন্য সুফল বয়ে এনেছে  উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইনোভেশনই হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

কমিশনের অভ্যন্তরে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিটিআরসি স্মার্ট বাংলাদেশের ‘ড্রাইভিং ফোর্স’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

পরবর্তীতে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মো: আমিনুল হক এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট জুরিবোর্ডের মাধ্যমে ৭টি ডিজিটাল সেবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী নির্বাচিত হয় স্পেকট্রাম বিভাগের NOC Automation and IMEI Database (NAID)।

সমাপনীতে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রেষ্ঠ  উদ্ভাবন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্রেস্ট এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করেন। বিটিআরসি কর্তৃক উদ্ভাবিত ডিজিটাল সেবাসমূহ হলো:  

সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (CBVMP) 
মোবাইলফোন অপারেটর কর্তৃক বায়োমেট্রিক তথ্য ভেরিফিকেশনসহ অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইপূর্বক সিম নিবন্ধনের জন্য  ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিবিভিএমপি) সিস্টেমটি চালু করা হয়।

উল্লেখ্য যে,  এই সিস্টেমটি ২০২১ সালে WSIS পুরষ্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। CBVMP তে মোট রেজিস্টার্ড সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি যার মধ্যে প্রায় ৯৬ ভাগ জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে। দৈনিক গড় সিম রেজিস্ট্রেশন/ডিরেজিষ্ট্রেশন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার।   

এনওসি অটোমেশন এন্ড আইএমইআই ডাটাবেজ (NAID) 
বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি সহজীকরণ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি অনাপত্তিপত্র অটোমেশন এবং আমদানিকৃত ও দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের IMEI Database তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য NAID সিস্টেমটি গত ০১-০৮-২০১৯ তারিখে  চালু হয়।

এর মাধ্যমে দেশের মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক/আমদানীকারকরা অনাপত্তি আবেদন দাখিল এবং স্বল্পসময়ে অনাপত্তি পত্র সেবা গ্রহণ করছে এবং হ্যান্ডসেটের IMEI সংশ্লিষ্ট তথ্য NAID সিস্টেমে সংরক্ষণ করতে পারছে। 

এছাড়া জনগণ মোবাইল ফোন কেনার পূর্বে যে কোন মোবাইল ফোন থেকে KYD ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে 16002 তে এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে NAID সিস্টেম হতে IMEI এর সঠিকতা যাচাই করার সেবা গ্রহণ করছে।  

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (NEIR) 
বিটিআরসি কর্তৃক জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সাথে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন স্বংয়ক্রিয়ভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে অবৈধভাবে উৎপাদিত/আমদানিকৃত সকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার চিহ্নিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করার উদ্দেশ্যে NEIR সিস্টেম পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা হয়েছে।

neir.btrc.gov.bd লিংকের মাধ্যমে এবং মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *16161# শর্ট কোড ডায়ালের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা, জিএসএমএ কর্তৃক অনুমোদিত সকল মোবাইল হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা, চুরি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট বিটিআরসি/পুলিশ/মোবাইল অপারেটরের নিকট গ্রাহক কর্তৃক অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক করা ও পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা, ডুপ্লিকেট/ক্লোন আইএমইআই নম্বর সম্বলিত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। 

অনলাইন লাইসেন্স ইস্যুয়েন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LIMS)  
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে Online License Issuance and Management System (LIMS) চালু করা হয়েছে। চালুকৃত LIMS (lims.btrc.gov.bd) এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক দেশের যে কোন প্রান্ত/স্থান হতে কমিশন কর্তৃক প্রদানকৃত বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স/রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইস্যু, নবায়ন, বাতিল ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা, আবেদনের বিভিন্ন তথ্য যাচাই করত সংযুক্ত ও প্রযোজ্য পেমেন্ট/অর্থ অনলাইনে সহজেই প্রদান করতে পারবে।  

ইন্টার অ্যাক্টিভ জিআইএস ম্যাপ (Interactive GIS Map) 
Interactive GIS Map’টিতে সকল অপারেটরের নিজস্ব অপটিক্যাল ফাইবার এর তথ্য একটি মানচিত্রের বিভিন্ন লেয়ারের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

এ মানচিত্রের সহায়তায় বর্তমানে সারাদেশের অপটিক্যাল ফাইবারের জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন ভিত্তিক অবস্থান, ক্যাপাসিটিসহ বিস্তারিত কারিগরী তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে।

সরকারি/বেসরকারি কানেক্টিভিটিসংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে Map টি মৌলিক ভূমিকা পালন করছে। বিটিআরসির ইএন্ডও বিভাগের পূর্বানুমোদন স্বাপেক্ষে বিভিন্ন সংস্থা উক্ত Map এর সংশ্লিষ্ট তথ্য ব্যবহার করে থাকে।

২০১৮ সালে এ সিস্টেম চালুর পর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে (এটুআই প্রোগ্রাম, আইসিটি অধিদপ্তর, কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প (আইসিটি বিভাগ), বাংলাদেশ আর্মি-সিগনালস হেডকোয়ার্টার, জিএস ব্র্যাঞ্চ-আর্মি হেডকোয়ার্টারস, ডিজিএফআই) সুনির্ধারিত শর্তের আলোকে এই সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। 

ডাটা ইনফরমেশম সিস্টেম (DIS)
কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশনস (ইএন্ডও) বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন অপারেটরদের অপারেশনাল কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণ করতে  ২০১৬ সালে Data Information System (DIS) চালু করা হয়।

পরবর্তীতে ২০২২ সালে DIS সিস্টেমের আধুনিকায়ন করা হয়। বর্তমানে DIS পোর্টালের (dis.btrc.gov.bd) মাধ্যমে ILDC (ITC & BSCCL), IIG, ISP, NTTN এবং NIX অপারেটররা নিয়মিতভাবে অপারেশনাল তথ্য দাখিল করছে।

ফলশ্রুতিতে, লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সময়/খরচ/যাতওয়াত সাশ্রয় হয়েছে। DIS-এর মাধ্যমে লাইসেন্সধারীর অপারেশনাল যাবতীয় তথ্য সহজে গ্রহণ, সংরক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও প্রয়োজনানুযায়ী প্রতিবেদন প্রস্তুত ইত্যাদি কার্যক্রম সহজে ও দ্রুততার সহিত করা সম্ভব হয়েছে। DIS এ বর্তমানে মোট সুবিধাভোগী লাইসেন্সধারী সংখ্যা ২৩১২। 

কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) 
টেলিযোগাযোগ অপারেটরসমূহের সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অভিযোগ যথাযথভাবে গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য সকল অপারেটরসমূহের নিজস্ব গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে।

টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণকারীগণ তাঁদের সমস্যা সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অভিযোগ প্রদান করে থাকেন।

উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অভিযোগ সমাধান করা না হলে বা সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারীকে অভিযোগ করে গ্রাহক উপেক্ষিত হলে সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন উদ্যোগ গ্রহন করে।

দেশব্যাপী মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটসহ অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সুবিধা ব্যবহারকারী গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিগত ১৬-০৫-২০১৬ তারিখ হতে ৫ জন এজেন্ট নিয়ে কমিশন কলসেন্টার সেবা চালু করে।

যা বিটিআরসি’র অভিযোগ গ্রহণের কলসেন্টার ১০০ হিসাবে দেশে পরিচিত। মার্চ ২০২৩ থেকে ফেব্রয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত হটলাইন নাম্বার ১০০ এর মাধ্যমে ১০ হাজার ৯৩৬টি অভিযোগ গ্রহণ করা হয় যার মধ্যে ৯২৮০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়, যাতে নিষ্পতির হার ৮৪.৮৬ শতাংশ। 

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, প্রসাশন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডুসহ বিটিআরসির উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।