https://gocon.live/

জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশের ইন্টারনেটে গতি ফিরবে

জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশের ইন্টারনেটে গতি ফিরবে জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশের ইন্টারনেটে গতি ফিরবে
 

সংশ্লিষ্টরা আশা করছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশের ইন্টারনেট পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে। সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ বিচ্ছিন্নের স্থান সনাক্তে বিভ্রান্ত হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিলের পর থেকে এখনো সংযোগ পুণরুদ্ধারে দেড় মাসের বেশি সময় লাগছে। 

অবশ্য বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ ‘আশা করছেন’ চলতি মাসেই কাজ শেষ হবে। তিনি বলেছেন, ‘জুনের প্রথম দিকে আমরা সিমিউই-৫-এর সংযোগে আবার যুক্ত হবো।

এরপর ব্যান্ডউইথ স্বাভাবিক করতে আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগতে পারে। বলা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে এটা (ইন্টারনেটের ধীরগতি) ঠিক হয়ে যাবে।’ 

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে তিনি জানান, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়।

সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ। ওই ব্যান্ডউইথ এখন সিমিউই-৪ দিয়ে সরবরাহের চেষ্টা চলছে। অন্তত ৬০ শতাংশ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। এটা দিয়ে বিকল্প উপায়ে সারাদেশে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। 

এদিকে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ধীর গতির পেছনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ইন্টারনেট সরঞ্জামের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রভাবও অতিরক্ত কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

সংগঠনের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় লাইসেন্সবিহীন আইএসপি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিটিআরসি’র অভিযানের অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি’র সরঞ্জাম জব্দ করার কারণে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ধীর গতি পেতে পারেন। 

বিটিআরসি’র এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সংগঠনের মহাসচিব নাজমুল করি ভূঁইয়া বলেছেন, সারাদেশেই এই অভিযান আরো ব্যাপক ভাবে হওয়া উচিত।

এরা রাষ্ট্রের ভ্যাট-ট্যাক্স দেয় না। এতে সরকার এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ বন্ধ হলে এই খাতের ব্যবসায়ে ফিরবে স্বস্তি এবং বাড়বে ইন্টারনেটের গতি। গ্রাহকরা বুঝে পাবেন প্রতিশ্রুত সেবা। 

তবে সিমিউই-৫ সংযোগ পুণপ্রতিষ্ঠায় কেন এতো সময় লাগছে অনুসন্ধানে জানা গেছে,  গত ১৯ এপ্রিল যখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিলো তখন জানা গিয়েছিলো এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরের জলসিমায়।

কিন্তু পরে দেখা যায় সিঙ্গপুর নয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায়। এ বিষয়ে বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করে।

এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

তবে সেখানে মেরামতের কাজ শুরুর প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ। অনুমোদন মিলতে সময় লাগে। এরপর কনসোর্টিয়ামের জাহাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।