বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এআই প্রযুক্তির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আর তাই চাকরি থেকে শুরু করে আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বিস্তর আলোচনা।
এবার সত্যি সত্যিই মানুষের চাকরি নিজেদের দখলে নিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড নিজেদের গাড়ি উৎপাদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের কারখানায় তৈরি করা গাড়ির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য মানুষের বদলে এআই প্রযুক্তিনির্ভর টুল ব্যবহার করছে।
ব্যবহারকারীরা ফোর্ডের বিভিন্ন গাড়ির গুণগত মান নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করেন। প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছরে বিভিন্ন মডেলের গাড়ি বাজারে আনার পর ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।
আর তাই ফোর্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি টুলের মাধ্যমে উৎপাদনের সময়ই গাড়ির বিভিন্ন ত্রুটি শনাক্ত করতে চায়।
বর্তমানে ফোর্ডের এসকেপ হাইব্রিড ও ম্যাভেরিকের মতো হাইব্রিড যানবাহন তৈরিতে এআই টুল ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যান ডাইক ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন সেন্টারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুলটি কার্যকরভাবে গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে পারছে।
এমনকি গাড়ির চাকায় থাকা টিউবের ত্রুটিও খুব সহজে শনাক্ত করছে এআই টুলটি। ফোর্ডের ব্যবস্থাপক মার্ক শকাউকানি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে ইঞ্জিন ও চাকার ত্রুটি সহজেই শনাক্ত করা যাচ্ছে।
বর্তমানে ফোর্ডের ২০টি কারখানার ৩২৫টি ওয়ার্কস্টেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির টুলটি ব্যবহার করা হচ্ছে। টুলটি ৪৬৩টি উৎপাদন কাজের ধরন বিশ্লেষণ করতে পারে।
গাড়ির মূল কাঠামোর বিভিন্ন সমস্যাও শনাক্ত করতে পারে। এই এআই টুল মূলত গাড়ির মানসংক্রান্ত সমস্যা সংশোধন করতে সাহায্য করছে।
০ টি মন্তব্য