দক্ষিণ কোরিয়া লাল গ্রহ মঙ্গলে নিজেদের পতাকা অবতরণের পরিকল্পনা করেছে। লক্ষ্য ২০৪৫ সাল। এর জন্য দেশটি নিজেদের প্রথম মহাকাশ সংস্থা চালু করেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলগ্রহে অবতরণ ও মহাকাশ অনুসন্ধানে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছে।
কোরিয়া অ্যারোস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা কাসা দক্ষিণ কোরিয়ার মহাকাশ অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। মহাকাশ অর্থনীতি এখন বড় হচ্ছে।
যেখানে শত শত ব্যবসা ও উদ্যোগ কাজ করছে। কাসা দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ মহাকাশ শক্তির তালিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে।
সংস্থাটি মহাকাশ শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জিং ও উদ্ভাবনী গবেষণাও করবে। নতুন মহাকাশ যুগের সূচনায় কাজ করবে কাসা। দক্ষিণ কোরিয়া ২০৩২ সালে চাঁদে প্রথম চন্দ্রযান পাঠানোর জন্য কাজ করছে।
দেশটি গত বছরের মে মাসে নুরি রকেট উৎক্ষেপণ করে। নিজস্ব মহাকাশ উৎক্ষেপণ যান ও কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) উন্নয়ন প্রযুক্তি আছে, এমন দেশের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সপ্তম দেশ।
নতুন প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কাসা বিভিন্ন মহাকাশ যান তৈরি ও মহাকাশ উৎক্ষেপণে কাজ করবে। এই মহাকাশ সংস্থার প্রথম প্রশাসক ইউন ইয়ং-বিন বলেন, ‘মহাকাশ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অগণিত মানুষের স্বপ্ন আছে।
আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। মহাকাশশিল্পের জন্য ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন যান ও স্যাটেলাইট পাঠিয়ে পাঠিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে নতুন খাত তৈরির কাজ করব।
জাতীয় বিমান চলাচল নীতি প্রতিষ্ঠা, মহাকাশের জন্য দক্ষ গবেষক দল তৈরি, নতুন গবেষণা ও উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়া, মহাকাশ শিল্পের বৃদ্ধিতে স্থানীয় শিল্পকে উৎসাহিত করা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রচেষ্টা জোরদার করতে কাজ করব আমরা।’
কাসা ২০২৭ সালের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি মহাকাশ যান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। তাদের নিজেদের সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও রয়েছে। এশিয়া মহাদেশে জাপান ছাড়াও চীন ও ভারত এক দশক ধরে মহাকাশে নিজেদের অবস্থান জোরালো করছে।
০ টি মন্তব্য