রাষ্ট্র মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের কিছু কর্মীর ই-মেইল হেকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে কিছু তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিকিউরিটি বিল নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ১২ হাজারের বেশি তথ্য চুরি করেছে বলে দাবি করেছে। এ বিষয়ে হ্যাকাররা অর্থও দাবি করে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি বলছে, পুরো সার্ভার হ্যাকারের কবলে পড়েনি। কিছু কর্মীর ই-মেইল আইডির হ্যাকারের হাতে গেলেও সেটি রিকভারি হয়েছে।
জানা গেছে, কিল সিকিউরিটি নামের হ্যাকার গ্রুপটি অগ্রণী ব্যাংকের ১২ হাজারের বেশি তথ্য হ্যাক করেছে। টেলিগ্রাম মাধ্যমে গত ১৭ মে হ্যাকাররা বার্তা দিয়ে জানায় যে, পাঁচ হাজার ইউরো তাদের না দিলে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেবে।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না পেয়ে হ্যাকার গ্রুপ ডার্ক ওয়েবে গত ৬ জুন তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়। অগ্রণী ব্যাংকের কিছু তথ্য ফাঁসের দাবি করে একটি হ্যাকার গ্রুপ অর্থ দাবি করেছিল।
বড় ধরনের হ্যাকের কোনো ঘটনা ঘটেনি, কয়েকজন কর্মীর ই-মেইল আইডি হ্যাকড হয়েছিল। অগ্রণী ব্যাংকের আইটি শক্তিশালীই ছিল।
আইটিসংক্রান্ত ক্রয় কমিটির পাওয়ার এইচআর জিএম ওপরে ছিল। তবে আইটি প্রধান শাহিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে সফটওয়্যার কেনাকাটায় অনিয়ম পাওয়ার পর ক্রয় কমিটির ক্ষমতা তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
এরপর থেকেই তিনি আরও উদাসীন হয়ে পড়েন। সার্ভার হ্যাকের জন্য তার (আইটি প্রধান) উদাসীনতাকে দায়ী করেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, কিছু দিন ধরেই সার্ভার স্লো কাজ করছে। সার্কুলারগুলো ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছিল না।এখন হ্যাকারদের আক্রমণের কথা শুনছেন। তবে সার্ভার আর স্লো নেই।
এ বিষয়ে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং আইটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহমান গাজী গণমাধ্যমকে বলেন, বড় ধরনের হ্যাকের ঘটনা ঘটেনি। কিছু কর্মীর ই-মেইল হ্যাকড হয়েছিল। পরে তা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।
০ টি মন্তব্য