https://gocon.live/

ইন্টারনেট

সাম্প্রতিককালে ফেসবুক

সাম্প্রতিককালে ফেসবুক সাম্প্রতিককালে ফেসবুক
 

সাম্প্রতিককালে ফেসবুক


ফেসবুকের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যহাতিয়ে নেয়ার পর তা কাজে লাগানো হয়েছে এমন খবর প্রকাশের পর সাম্প্রতিকালে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম এই মাধ্যম তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময় অতিবাহিত করছে। অন্যদিকে ফেসবুকের গ্রাহকদের মধ্যেবিরাজ করছে এক ধরনের অনিশ্চয়তাবোধক আতঙ্ক।


অনেকের প্রশ্ন, ফেসবুক তাদের কী কী তথ্যসংরক্ষণ করে। ফেসবুক গ্রাহকের কোন কোন তথ্যজানে?


একজন ব্যবহারকারীর প্রায় প্রতিটি কাজের তথ্যই সংরক্ষণ করে রাখে ফেসবুক। জনপ্রিয় এই সামাজিক মাধ্যমটির এই তথ্যসংগ্রহ শুরু হয় অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকেই। এরপর এটি প্রতিটি ধাপে যেমন ব বহারকারীর কোনো বিজ্ঞাপন ক্লিক করা, কোনো ইভেন্টে আমন্ত্রণ পাওয়া, তার বন্ধু তালিকা, কোনো মেসেজ পাঠালে বা গ্রহণ করলে, কাদেরকে ফলো করছেন, প্রতিটি স্ট্যাটাস আপডেটসহ প্রতিটি তথ্যই সংরক্ষিত থাকে।  


বলা যায়, ফেসবুকে যাত্রা শুরুর পর থেকে আজ অবধি সোশ্যাল নেটওয়ার্কটিতে ব্যবহারকারীর করা সবকিছুর ইতিহাসই লিপিবদ্ধ থাকে। এখন বিষয়টি যদি এখানেই থেমে যেত, তাহলে কিছুটাস্থির বিষয় ছিল। কিন্তু না,  সংরক্ষণ করা ডাটা ব্যবহার করে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জেনে নিতে পারে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কেউ যদি এই ডাটায় একবার অননুমোদিত প্রবেশাধিকার পেয়ে যায়, তবে তারা ব্যবহারকারী সম্পর্কে যে অনেক কিছু জেনে যাবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যেক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিষয়টি কিছুটা আঁচ করা যায়। আপনার সম্পর্কে ফেসবুক ঠিক কী কী জানে তা চাইলে দেখতে পারবেন। এজন্য অ্যাকসেসিং ইওর ফেসবুক ডাটা (Accessing Your Facebook Data) নামের পেজটিতে যেতে হবে। সেখানে একটি তালিকার মাধ্যমে ফেসবুক আপনার সম্পর্কে কী কী ডাটা রাখছে, তা প্রকাশ করা হয়েছে।   


ফেসবুকের আর্কাইভে আপনার সম্পর্কে কী কী ডাটা জমা হয়েছে, তা দেখতে নিচের ধাপ গুলো অবলম্বন করতে হবে। Facebook.com/settings পাতায় যেতে হবে।


● ডাউনলোডে কপি অফ ইওর ফেসবুক ডাটা বাটনে ক্লিক করতে হবে।

● ডাউনলোড আর্কাইভ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

● এতে কিছু সময় লাগতে পারে। পুরো আর্কাইভ তৈরি হয়ে গেলে ফেসবুক আপনাকে জানাবে।

● এটি তৈরি হওয়ার পর আবারও ডাউনলোড আর্কাইভে ক্লিক করলে আপনার কমপিউটারে একটি জিপ ফাইল ডাউনলোড হবে।

● এই ফোল্ডারের প্রতিটি ফাইল খোলার মাধ্যমে আপনি এই আর্কাইভ ব্রাউজ করতে পারবেন।


সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারীর পুরো জীবনই এই আর্কাইভে সংরক্ষিত থাকে। কোনো কারণে কেউ যদি মনে করেন, ফেসবুক ছেড়ে দেয়াই ভালো সিদ্ধান্ত হবে, সে ক্ষেত্রে নিজের প্রোফাইলার  কার্যক্রমের একটি কপি রেখে দিতে পারেন। ফেসবুকের বাজারমূল্যেদরপতন ও ডিলিট ফেসবুক সময়টা খুব বাজে কাটছে প্রযুক্তি খাতের অন্যতম বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সপ্তাহের দিক থেকে তৃতীয় সপ্তাহটি পার করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির শেয়ারমূল্যেবড় ধরনের অবনমন ঘটেছে। যার কারণ ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ডাটা কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা, প্রাইভেসি উদ্বেগ আর সরকারি তদন্ত। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারমূল্য ১৩ শতাংশেরও বেশি পড়ে যায়। তখন ফেসবুকের প্রতি শেয়ারের মূল্যছিল ১৬০ ডলারের নিচে।


এক হিসাবে দেখা গেছে, মার্চের শেষ সপ্তাহটিতে ফেসবুক প্রায় ৭৫০০ কোটি ডলার বাজারমূল্যহারিয়েছে। এত বড় দরপতনের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে কী কারণে এমনটা হলো। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই আলোচনা, সমালোচনা, অভিযোগের কমতি ছিল না। এসবের মধ্যেযোগ হয় নতুন অভিযোগ। যে অভিযোগে বলা হয়, গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণায় প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ডাটা অপব্যবহার করেছিল ডাটা বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এরপর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি পড়ে যায় সমালোচনার মুখে। প্রশ্ন ওঠে যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপে। আর এমন অবস্থার ফলস্বরুপ গত ১৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারমূল্যকমে যায় প্রায় ৭ শতাংশ।


এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা এফটিসি এ ঘটনায় ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করার খবর প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারমূল্যআরও ২.৫ শতাংশ কমে যায়। তবে ফেসবুকের শুভাকাক্সক্ষীরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পান যখন কেলেঙ্কারি নিয়ে মার্ক জুকারবার্গ নীরবতা ভাঙেন ও ক্ষমা চান। কেননা, তারপর ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়।


অবশ্য জুকারবার্গের ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাজে সময়ের সমাপ্তি ঘটেনি। তারপরই শুরু হয়ে যায় ডিলিট ফেসবুক প্রচারণা। বিশ্লেষকেরা সামনে ফেসবুক শেয়ারের অনিশ্চিত পথের কথা উল্লেখ করেন। যদিও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে আইন প্রণেতাদের করা আহ্বান গ্রহণ করবেন বলেছেন। সর্বশেষ ৫২ সপ্তাহের মধ্যেফেসবুকের সর্বোচ্চ শেয়ারমূল্যছিল ১৯৫.৩২ ডলার। গেল সপ্তাহের এই অবনমনে যা কমেছে ১৮ শতাংশেরও বেশি।


ফেসবুকের ডাটা কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি আসে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেলসার কাছ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক তাদের প্রতিষ্ঠান লোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ মুছে ফেলেছেন।


এর শুরুটা ছিল হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটনের ডিলিট ফেসবুক হ্যাশট্যাগ দেয়া টুইট থেকে। অ্যাকটনের ওই টুইটের বিপরীতে মাস্কের প্রশ্ন ছিল ‘ফেসবুক কী?’ আর তখন এমন প্রশ্নের জবাবে মাস্ককে উদ্দেশ করে এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন ‘আপনি যদি পুরুষ হন, তবে ফেসবুকে প্রেসএক্সের পেজ মুছে ফেলুন।’ জবাবে মাক্স বলেন, ‘আমি খেয়াল করিনি সেখানে একটি পেজ আছে। করে ফেলব।’ ডিলিট করে দেয়া প্রেসএক্স ও টেসলার এই পেজ গুলোতে কয়েক লাখ অনুসারী ছিলেন। আরও  মুছে ফেলার জন্য স্বাভাবিকভাবেই এখন আর সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না পেজলোতে লাইক দেয়া এসব গ্রাহক ।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।