এআই প্রযুক্তির চ্যাটবট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দ্রুত জানাতে পারে। আর তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি চ্যাটবট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ব্যবহারকারীদের এ আগ্রহ কাজে লাগিয়ে চ্যাটবটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে একদল সাইবার অপরাধী।
নানা কৌশলে ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করে অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। এআই প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় কোনটি আসল বা নকল চ্যাটবট তা শনাক্ত করা বেশ কঠিন।
আর তাই চ্যাটবটের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের সময় বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য প্রকাশে সতর্কতা
চ্যাটবট ব্যবহারের সময় ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার দেওয়া তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে পরে সাইবার হামলা করতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা–বিশেষজ্ঞ মার্টিন জে ক্রেমার জানিয়েছেন, চ্যাটবটের কাছে কোনো সংবেদনশীল তথ্য কখনোই শেয়ার করবেন না।
কখনো কখনো ফ্লাইট বুকিংয়ের তথ্য বা ঠিকানা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চ্যাটবটকে জানাতে হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চ্যাটবটের বিকল্প উপায় হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কলসেন্টারে কল করতে পারেন৷
কখনো আপনার পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো গোপন তথ্য চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না৷ এমনকি নিজের ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা ও বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করা যাবে না। অন্য কেউ এসব তথ্য ব্যবহার করতে পারে, যে কারণে নিরাপদে থাকুন৷
অর্থ আদান-প্রদানে সাবধানতা
বর্তমানে ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গ্রাহক সেবা দিতে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করছে। এর ফলে গ্রাহকেরা সহজেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন।
খুচরা বিক্রেতা বা ফ্যাশন উদ্যোক্তারাও গ্রাহকদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সাবলীল ও উন্নত করতে নিজেদের সাইটে চ্যাটবট যুক্ত করেছে।
এসব রিটেইল চ্যাটবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভার্চ্যুয়াল বিক্রেতা সহকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। এর ফলে ক্রেতারা পছন্দের পণ্য দ্রুত অনলাইনে কিনে থাকেন।
কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে নকল চ্যাটবট তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই চ্যাটবটে আর্থিক তথ্য প্রকাশ না করার পাশাপাশি অর্থ লেনদেন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সাইমন নিউম্যান জানিয়েছেন, কোন প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের চ্যাটবট ও অপরাধের জন্য ব্যবহৃত চ্যাটবটের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব।
আর তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে হবে। আসল ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন কিনা, তা খেয়াল রাখুন। নকল ওয়েবসাইট থেকে সাবধান।
০ টি মন্তব্য