https://gocon.live/

প্রযুক্তি

শিশু-কিশোরদের জন্য চাই বেশি বেশি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

শিশু-কিশোরদের জন্য চাই বেশি বেশি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শিশু-কিশোরদের জন্য চাই বেশি বেশি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
 

শিশু-কিশোরদের জন্য চাই বেশি বেশি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা


এদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারণী মহলের প্রায়ই মনে করত এ দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার হলে অনেকেই চাকরি হারাবেন, ফলে দেশে বেকারত্বের হার আরো অনেক বেড়ে যাবে। তাই এ দেশের মানুষের মাঝে বিরাজমান এ ভীতি দূর করতে মরহুম আবদুল কাদের মাসিক কমপিউটার জগৎ নামের পত্রিকাটির প্রকাশনা শুরু করেন। তিনি যথার্থই উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তথ্যপ্রযুক্তিই হতে পারে আমাদের দেশের অর্থনীতির মুক্তির চাবিকাঠি। তাই তিনি কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশনার কয়েক বছর পর আয়োজন করেন দেশের প্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। কেননা, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তির পুরো সুবিধা পেতে চাইলে দরকার প্রচুর পরিমাণে সফটওয়্যার প্রোগ্রামার। আর সফটওয়্যার প্রোগ্রামার রাতারাতি তৈরি করা সম্ভব নয়। শিশু-কিশোর বয়েসি ছেলেমেয়েরা ভালো প্রোগ্রামার হতে পারে।


ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে প্রথমে দরকার তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল তৈরি করা। আর এ কাজটি করা দরকার শিশু-কিশোরদেরকে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে। অর্থাৎ শিশু-কিশোরদেরকে স্কুল বয়স থেকে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে, যাতে তারা পরবর্তী সময়ে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।


ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই উপলদ্ধি করতে পেরেছেন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে প্রচুর পরিমাণে প্রোগ্রামার দরকার। তাই তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সারা দেশে প্রোগ্রার তৈরি করতে উদ্যোগী হন। এজন্য শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে দেশের ৬৪ জেলায় ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে জেলা পর্যায়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ৬৪ জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৪০০ জন এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ক্র্যাচ ও পাইথন দুই বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ২ হাজার ৭০০ জন করে অংশ নেয়। ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তিনজন শিক্ষার্থী একটি দল হিসেবে অংশ নেয় এবং পাইথনে এককভাবে অংশ নেয়। এর আগে সারা দেশে ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে গত ১২ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল প্রশিক্ষকদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেখানে ৩৬০ জন আইসিটি শিক্ষক এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কো-অর্ডিনেটরেরা প্রশিক্ষণ নেন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।