https://powerinai.com/

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম কর্নিয়ার সফল ট্রান্সপ্লান্ট হলো ইংল্যান্ডে

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম কর্নিয়ার সফল ট্রান্সপ্লান্ট হলো ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম কর্নিয়ার সফল ট্রান্সপ্লান্ট হলো ইংল্যান্ডে
 
প্রথমবারের মতো কৃত্রিম কর্নিয়ার সফল ট্রান্সপ্লান্ট হলো ইংল্যান্ডে । যুগান্তকারী এ কৃত্রিম কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধা পাওয়া প্রথম ব্রিটিশ ব্যক্তি ৯১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। 

এ কৃত্রিম কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সেসিল ‘জন’ ফারলে’র দৃষ্টিশক্তি এখন আগের চেয়ে উন্নত হচ্ছে বলে তিনি এ পদ্ধতির প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এর আগে, ১৫ বছর ধরে ফারলে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। 

কর্নিয়া মূলত চোখের সামনের দিকের পাতলা স্বচ্ছ অংশ। যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘স্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস’ এটিকে ‘চোখের জানালা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। 

রোগ বা আঘাতের কারণে চোখের এই পাতলা স্বচ্ছ আবরণের ক্ষতি হলে যে কেউ চোখে দেখার সমস্যা বা ব্যথা অনুভব করতে পারেন।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়ই কারো দান করা কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। তবে, আশা করা হচ্ছে ‘এন্ডোআর্ট’ নামের কৃত্রিম ডিভাইসটি মানুষের অপেক্ষা অনেকখানি কমিয়ে দেবে ও এনএইচএস’-এর উপরও চাপ কমাতে সহায়ক হবে।

পাশাপাশি কারো কাছ থেকে পাওয়া কর্নিয়া না নেওয়ার ঝুঁকিও কমিয়ে আনবে। ইংল্যান্ডের সারে শহর থেকে ফারলে বলেন, ডান চোখে কৃত্রিম কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের ফলে তিনি খুবই আনন্দিত।

কারণ, এর ফলেই ৮৩ বছর বয়সী স্ত্রী এলিজাবেথকে দেখতে পাবেন ফারলে। “বিয়ের ৬৩ বছর পরও আমি আমার স্ত্রীকে দেখতে পাচ্ছি।

আমরা যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও জীবনযাপন করতে পারছি। “আপনার চোখ সঠিকভাবে কাজ করলে তা আপনার জীবনকেও পূর্ণতা দেয়।

আর নিজে ভূক্তভোগী না হলে বোঝা সম্ভব নয় এমন পরিস্থিতি একজন মানুষকে কতটা নিস্তেজ করে দেয়।” এ অস্ত্রোপচারের আগে ফারলে ডান চোখে দেখতে পেতেন না।
তবে ফেব্রুয়ারিতে কৃত্রিম কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের পর থেকে ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিশক্তি উন্নত হচ্ছে। “এটি আমার দৃষ্টিশক্তিতে এক বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি করেছে।

আমি আগে খুব ঝাপসা দেখতাম ও কারো মুখ স্পষ্ট দেখতে পেতাম না। “এখন আমি কৃত্রিম কর্নিয়ার কারণে আগের চেয়ে আরও ভাল দেখতে পাচ্ছি, আলো যত উজ্জ্বল হবে তত ভাল দেখায়।

আমার এই চোখের দৃষ্টি ধীরে ধীরে আসছে এবং ডাক্তাররা বলেছেন, পুরোপুরি দৃষ্টি ফিরে আসতে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।”  

এ যন্ত্রটি কর্নিয়ার ভেতরের অংশকে প্রতিস্থাপন করে ও অস্ত্রোপচার করে কেবল একটি সেলাইয়ের মাধ্যমে চোখের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

আর এটি ‘গ্যাস বাবল’-এর মাধ্যমে স্থাপন করা হয়ে থাকে। ফারলেসহ গোটা বিশ্বের ২০০ জন লোকের চোখে এ পর্যন্ত ‘এন্ডোআর্ট’ লাগানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, আরও ব্যাপকভাবে ‘এন্ডোআর্ট’ ইমপ্যান্ট করা যেতে পারে। অর্গানিক কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সাধারণত মৃত লোকদের কাছ থেকে আসে।

যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২/২৩ সালে মোট চার হাজার ৭১৯ টি কর্নিয়া এনএইচএস দান হিসাবে পেয়েছে। 

কৃত্রিম কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের কাজটি করেছেন সারে শহরের ‘ফ্রিমলি হেলথ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ টমাস পুল। কৃত্রিম কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে এক ‘বড় অগ্রগতি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।