সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন উল্লেখ করে‘ মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সেমিকন্ডাক্টর, বেসিক এআই এর মতো ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যথাযথ টপ-আপ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগামী এক দশকে দশ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা সম্ভব’ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতির এই শিল্পের সম্ভাবনাটা আঁকড়ে ধরলে এরাই সম্পদ হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার এমসিসিআই-এর গুলশান অফিসে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত “ডেভেলপিং দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এমন অভিব্যক্তি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. রোকনুজ্জামান, ক্যালিফোর্নিয়া ইএক্সো ইমেজিং ইনক ড. ইউসুফ হক (ভার্চুয়াল) এবং এমসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ১০ বছর আগে, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো চারটা ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে মনোনিবেশ করার জন্য বলেছিলেন।
আজ ১০ বছর পরে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কীভাবে এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে এবং রোবোটিক্স কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের প্রতিস্থাপন করছে, এমনকি সাইবার নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আমাদের শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক, শিল্প নেতা এবং উদ্যোক্তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ দিচ্ছি।
যাতে তারা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত ক্রমবর্ধমান শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। দেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা চিপের নকশা ও অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করতে পারবেন।
ফলে দেশের বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের মাইক্রো চিপস ডিজাইনিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালেটিক্স, ক্লাউড কম্পিটিং প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার জন্য হায়ার অ্যান্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের অধীনে ফ্রন্টিয়ার (অগ্রসর) টেকনোলজিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছি।
এছাড়া তিনি ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বুয়েটের ক্যাম্পাসে একটা অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপন করা হবে বলেও জানান।
০ টি মন্তব্য