বিশ্বের প্রথম মেটাভার্স হাসপাতাল
ইউএই (UAE) বেসড হেলথকেয়ার কোম্পানি থাম্বে গ্রুপ (Thumbay Group) ঘোষণা করেছে তারা বিশ্বের প্রথম মেটাভার্স হাসপাতাল চালু করতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, এর মাধ্যমে তারা চিকিৎসাজগতে নিয়ে আসতে চলেছে রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মিশ্রণ। এই গ্রুপ এই মেটাভার্স হাসপাতালের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে চলেছে। যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুলে দেবে এক নতুন দিগন্ত।
এর মাধ্যমে ঘরে বসেই রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ পেয়ে যাবেন। এর মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে রিমোটলি। অর্থাৎ দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে বসেই রোগীরা এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পেয়ে যাবেন ডাক্তারের পরামর্শ। একই সঙ্গে রোগীরা তাঁদের রোগ সম্পর্কে বিশদে জানতে পারবেন। এর ফলে তাঁদের যাতায়াতের অসুবিধার সুরাহা হবে।
থাম্বে গ্রুপের ফাউন্ডার এবং প্রেসিডেন্ট ডাক্তার থাম্বে মইডেন (Thumbay Moideen) জানিয়েছেন, "আমরা এই নতুন প্রযুক্তি লঞ্চ করতে চলেছি অক্টোবর মাসের আগেই। এটি হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল হাসপাতাল। যেখানে রোগীরা ডাক্তারের ভার্চুয়াল অবতারের কাছ থেকে পরামর্শ পাবেন। এর মাধ্যমে রোগীরা হাসপাতালের মতোই ফিল পাবেন। আসলে এটি হবে একটি মেটাভার্স হাসপাতাল। এর মাধ্যমে রোগীরা নতুন এক অভিজ্ঞ্যতার সম্মুখীন হতে চলেছেন। এই ধরনের টেকনোলজি ক্রনিক রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। হেলথকেয়ারের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে এই মেটাভার্স হাসপাতাল। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বহু রোগী।"
ডাক্তার থাম্বে মইডেন আরও জানিয়েছেন, "ধরুন শ্রীলঙ্কার কোনও রোগী দুর্ঘটনায় প্যারালাইজড হয়েছেন। তাঁর মাথা কাজ করলেও, শরীর কাজ করছে না। এর ফলে তাঁর পক্ষে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, মেটাভার্স হাসপাতালের মাধ্যমে তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। একই সঙ্গে এআর এবং ভিএআর টেকনোলজির সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।" জানা গিয়েছে যে, এই গ্রুপ ভিআর টেকনোলজি এবং ফেস রেকগনিসিং ক্যামেরা ব্যবহার করতে চলেছে এই বিশেষ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। এই গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আকবর মইডেন (Akbar Moideen) জানিয়েছেন, "আমরা হাসপাতালে রাখছি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় খুলতে চলেছে এক নতুন দিগন্ত।"
আরবের হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসেই জানানো হয়েছিল যে, তারা চালু করতে চলেছে বিশ্বের প্রথম মেটাভার্স হাসপাতাল। সেখানকার মিনিস্ট্রি অফ হেলথ অ্যান্ড কমিউনিটি প্রোটেকশনের তরফে সেই কথা জানানো হয়। এবার তা প্রায় বাস্তবায়ণের মুখে।
০ টি মন্তব্য