https://gocon.live/

প্রযুক্তি

লেনদেনে ক্রিপ্টো কারেন্সি

লেনদেনে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেনে ক্রিপ্টো কারেন্সি
 

লেনদেনে ক্রিপ্টো কারেন্সি


ফরেক্সের মতো ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং পদ্ধতিতে বিটকয়েন, লাইটকয়েনে ফান্ডের সাপেক্ষে বাই এবং সেল করা যায়। অবশ্য এজন্য মাইনিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না। জোড় প্রযুক্তির (পিয়ার-টু-পিয়ার) মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও পরিচালনা ছাড়া সম্পূণ বিকেন্দ্রীভূতভাবে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়। এখানে বিকাশ/রকেটের টাকা পাঠানো ও উত্তোলনের জন্য তৃতীয় পক্ষ বা এজেন্টের প্রয়োজন হয় না। ব্লকচেইনের মাধ্যমেই তা সম্পাদিত হয়। এই ডিজিটাল লেজার বা খতিয়ানেই লেনদেন সম্পন্ন করেন ব্যবহারকারীরা। অপরদিকে পৃথকীভূত উইটনেস এবং লাইটনিং নেটওয়ার্কসহ আরো নানা সুবিধায় বিটকয়েনের মতো লাইটকয়েনও ক্রিপ্টো কারেন্সি দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্মার্ট কন্টাক্ট সুবিধাসহ ‘যদি-অতঃপর’ চুক্তির ব্যবস্থার ফলে বিটকয়েনের পরের অবস্থানটি দখল করেছে ইথেরিয়াম। অনলাইন ওয়ালেট ব্যবহারকারী তার স্মার্টফোন কিংবা কমপিউটারের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে।


এদিকে ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েন ফাউন্ডেশনে অন্তর্ভুক্ত হলেও এর ঠিক এক মাসের মধ্যেই এই লেনদেনের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে বলা হয়, বিটকয়েন বা বিটকয়েনের মতো বা অন্য কোনো কৃত্রিম মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সরকারের কোনো সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনবহির্ভূত এসব লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনি শাসনের কারণে দেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি বা সাঙ্কেতিক মুদ্রায় লেনদেন না হলেও এর উৎপাদন প্রযুক্তির সাথে অনেক তরুণই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ বেশ আগ্রহ নিয়েই এই মুদ্রা উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। নিকট সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ব্লকচেইন নিয়ে আলোচনা বাড়ার সাথে সাথে ডাটা মাইনিংয়ের মাধ্যমে সাঙ্কেতিক মুদ্রা উৎপাদন চলছে। অনলাইন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশ ও রকেটে উৎপাদিত ক্রিপ্টো কারেন্সি বিশেষ করে বিটকয়েন স্থানান্তরও করা যাচ্ছে। অবশ্য পুরো ঘটনাটিই চলছে পর্দার অন্তরালে। একটি ঘোষণা ছাড়া এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের প্রযুক্তিকে মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, ক্রিপ্টো কারেন্সি যেহেতু বিশে^র অনেক উন্নত দেশেই চলছে এবং এর উৎপাদন ও লেনদেন যেহেতু স্বতন্ত্র বিষয়, সেক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিটি নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্টদের একটি টেক-সই নীতিমালা সময়ের দাবি। মানি লন্ডারিং ইস্যুতে লেনদেন বন্ধ রেখে এর উৎপাদন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের একটি পথও খুলে দেয়া যেতে পারে বলে অভিমত জানিয়েছেন এর সাথে জড়িতরা। নিরাপত্তা ইস্যুতে যারা এ কাজ করবেন তাদের নিবন্ধনের আওতায় এনে গোপনে চলমান এই প্রক্রিয়াটিকে প্রযুক্তির অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসার দাবি তাদের। প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, শুধুআইন দিয়ে যেমন প্রযুক্তিকে বশে রাখা যায় না, তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে যাচাই না করেও হাতছাড়া করাটা ঠিক হবে না। এটা করা না হলেও এই ক্রিপ্টো কারেন্সি দেশে আরেকটি অবৈধ ভিওআইপি মহামারীর মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।