https://gocon.live/

প্রযুক্তি

ক্রিপ্টো কারেন্সি উৎপাদন

ক্রিপ্টো কারেন্সি উৎপাদন ক্রিপ্টো কারেন্সি উৎপাদন
 

ক্রিপ্টো কারেন্সি উৎপাদন


মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ ক্রিপ্টো কারেন্সি উৎপন্ন করতে পারে। বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সব সময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। সাঙ্কেতিক মুদ্রা বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়, তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেকট্রনিক সিগনেচার তৈরি হয়ে যায়, যা অন্যান্য মাইনার কর্তৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ হয়। বিটকয়েনে কোনো পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই সাঙ্কেতিক মুদ্রা দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারেন। অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেয়া হয়। প্রত্যেক চার বছর পরপর বিটকয়েনের মোট সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করা হয়, যাতে বাস্তব মুদ্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়। ক্রিপ্টো কারেন্সি গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকয়েনগুলো প্রত্যেক চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি হয়ে গেলে আর কোনো নতুন বিটকয়েন তৈরি করা হবে না। এ কারণেই বিশ্ব জুড়ে এই কারেন্সি উৎপাদনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাইনারেরা। প্রযুক্তি ভাবনায় এগিয়ে বাংলাদেশের অনেক তরুণও শামিল হয়েছেন ক্রিপ্টো কারেন্সি তথা বিটকয়েন উৎপাদন বা মাইনিং কর্মযজ্ঞে। এর প্রভাব দেখা গেছে দেশের প্রযুক্তিবাজারে। সেখানে গ্রাফিক্স কার্ডের চাহিদা বেড়েই চলেছে।


কয়েন মাইনিং করে থাকেন মাইনারেরা। মাইনারেরা মূলত এই সাঙ্কেতিক মুদ্রার লেনদেনগুলো প্রক্রিয়াকরণ ও অ্যাপ্রুভ করেন। এ কাজটি তারা কয়েনবেজ ও ব্লকচেইন ওয়ালেটে করে থাকেন। এজন্য প্রয়োজন হয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমপিউটার। কমপিউটারের সিপিইউ ও জিপিইউ ব্যবহার করে জটিল কিছু গাণিতিক অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এজন্য প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তিরও প্রয়োজন হয়। একটি বিটকয়েন ট্র্যানজেকশন প্রসেস এবং অ্যাপ্রুভ করতে হলে যে কমপিউটার বা যে হার্ডওয়্যার বা যে মেশিনে এই কাজটি করা হবে, ওই মেশিনটির যথেষ্ট প্রসেসিং পাওয়ার থাকার প্রয়োজন হয় এবং অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। বিটকয়েন মাইনিং ও ম্যাথ প্রবলেম সলভ করার জন্য প্রসেসরের থেকে হাই-এন্ড জিপিইউ অনেক বেশি উপযোগী। তাই এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজে প্রধানত জিপিইউ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে দরকার হবে যথেষ্ট পাওয়ারফুল একটি জপিইউ। এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য স্পেশাল হার্ডওয়্যার তৈরি করে থাকে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।