https://gocon.live/

ইন্টারনেট

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং
 

এফিলিয়েট মার্কেটিং


এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল যদি আপনি একটি ব্লগ ও ওয়েবসাইট চালাচ্ছেন বা আপনার একটি ইউটিউবের চ্যানেল আছে, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার অনলাইন ইনকামের সেরা মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এমনিতে ব্লগ থেকে টাকা আয় করার এবং ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকামের অনেক মাধ্যম আমাদের কাছে রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স সেরা। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাটা আজ সবচেয়ে বেশি লাভজনক এবং ব্লগারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হিসেবে আমরা বলতে পারি। তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কী? এফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করবেন, এর দ্বারা কত টাকা আয় করতে পারবেন এবং কীভাবে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা টাকা আয় করা যায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।


শুরু করার আগেই আমি আপনাদের একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করার জন্য বা এর লাভ নেয়ার জন্য আপনাদের একটি ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে। হ্যাঁ, আপনি চাইলে ফেসবুক পেজ বা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু, সেটা বেশি কার্যকর বা লাভজনক হবে না। আমি কেন এটা বললাম সেটা আপনারা এই আর্টিকেলটা পড়লেই বুঝে যাবেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিং কী?


এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি উপায় বা মাধ্যম, যার দ্বারা আমরা যেকোনো অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট, অনলাইন স্টোরের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বা অনলাইন কিনতে পাওয়া যেকোনো জিনিস, নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ইউটিউবের চ্যানেলে এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রমোট করতে পারি। এবং যখনি সেই প্রমোট করা জিনিসটি আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে গিয়ে লোকেরা কিনবেন বা প্রমোট করা লিংকের মাধ্যমে প্রোডাক্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অন্য কোনো প্রোডাক্ট কিনবেন, তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি করানোর জন্য কমিশন হিসেবে কিছু টাকা দেয়া হয়।


এই আয় করা কমিশনের রাশি অন্য অন্য প্রোডাক্টের ওপর আলাদা আলাদা হতে পারে। কমিশনের রাশি বা আপনাকে কত টাকা কমিশন দেয়া হবে, সেটা আপনি যে অনলাইন ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট প্রমোট বা শেয়ার করছেন একজন এফিলিয়েট হিসেবে সেই অনলাইন ওয়েবসাইট কোম্পানি নির্ধারিত বা ঠিক করবে। এমনিতে সবটাই আপনাকে আগের থেকেই ডিটেইলসে বলে দেয়া হয়।


তাহলে সোজাভাবে বললে এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি মার্কেটিং, এর মাধ্যম যেখানে আপনি যেকোনো অনলাইন প্রোডাক্ট বা জিনিস অন্যদের কেনার জন্য আগ্রহ করেন এবং আপনার প্রমোট করা প্রোডাক্টটি যখন কেউ কিনেন, তখন আপনাকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দেয়া হয়।


আপনি যেকোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, অনলাইন সফটওয়্যার আদির মার্কেটিং নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে করে তাদের বিক্রি করতে পারেন।


এর বাইরে সবচেয়ে প্রচলিত উপায় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের এটাই যে, ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো একটি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটে একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে রেজিস্টার করতে হবে। তারপর সেই শপিং ওয়েবসাইটে থাকা যেকোনো জিনিস যেমন মোবাইল, টিভি, জামা কাপড়, বই, সফটওয়্যার বা যেকোনো জিনিস এফিলিয়েট লিংকের দ্বারা প্রমোট বা শেয়ার করে টাকা আয় করতে পারবেন।


উদাহরণস্বরূপ, কয়দিন আগেই আমি একটি স্মার্টফোন একটি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট থেকে কিনেছিলাম। তারপর সেই মোবাইলের ব্যাপারে সবটাই জেনে আমি তার ওপর নিজের ব্লগে একটি আর্টিকেল লিখেছি এবং মোবাইলের ব্যাপারে সবটাই বলেছি।


আর্টিকেলের শেষে আমি মোবাইলটির একটি এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিয়েছি। এতে যাদের সেই মোবাইল কেনার মন থাকবে তারা আমার শেয়ার করা এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে সেই ফোন কিনতে পারেন।


এতে যারা মোবাইলটি কিনতে চেয়েছেন তারা অনলাইনে আমার দেয়া লিংক থেকে সহজে কিনে নিতে পারবেন এবং আমার দেয়া এফিলিয়েট লিংকের থেকে কেনার ফলে আমি কিছু কমিশন টাকা আয় করে নিতে পারলাম। এমনভাবে আপনি যেকোনো জিনিস এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রমোট করে টাকা আয় করতে পারবেন।


যদি আপনার ব্লগে অনেক ট্রাফিক আসছে বা আপনার ইউটিউবের চ্যানেলে অনেক ভিউস হচ্ছে, তাহলে আপনি কল্পনা করতে পারবেন না যে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনাকে কত টাকা আয় করে দিতে পারবে। আপনি অনলাইন যেকোনো জিনিস বিক্রি করে আনলিমিটেড টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন।


তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কী, সেটা হয়তো আপনারা ভালো করে বুঝে গেছেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করবেন?


নিচে আমি ৬টি সোজা পয়েন্ট বলব, যেগুলো পুরো করে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারবেন।


১. সবার আগেই আপনার একটি ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল, ফেসবুক পেজ বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থাকতে হবে এবং সেই পেজ, ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেলে অনেক ট্রাফিক, ভিজিটর বা লাইক থাকতে হবে। কারণ, যেকোনো প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জরুরি অডিয়েন্স; যাদের কাছে আপনি প্রোডাক্ট শেয়ার বা মার্কেটিং করবেন। এবং যেকোনো জিনিস অনলাইনে মার্কেটিং করার এই চারটি মাধ্যম সেরা।


২. এখন আপনার একটি ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ, এগুলোর মধ্যে যদি একটিও আছে, তাহলে এখন একটি ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে। যেকোনো অনলাইন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পর আপনি তাদের সামগ্রী বা প্রোডাক্ট প্রোমোট বা শেয়ার করতে পারবেন।


৩. এখন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক বা এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পর আপনি কেমন সামগ্রী বা প্রোডাক্ট লোকদের সাথে শেয়ার করবেন সেটা আপনার নির্ধারিত বা বাছাই করতে হবে।


৪. আপনার বেছে নেয়া প্রোডাক্ট বা সামগ্রীর বিনিময়ে আপনাকে একটি এফিলিয়েট লিঙ্ক দেয়া হবে। এই এফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে লোকেরা আপনার শেয়ার বা প্রোমোট করা প্রোডাক্টের পেজে আসতে পারবে। এবং এখান থেকেই তারা সেই প্রোডাক্টটি ডাইরেক্ট কিনে নিতে পারবেন।


৫. এরপর আপনাকে দেয়া প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিঙ্ক আপনি নিজের ব্লগ, ইউটিউবের চ্যানেল, ফেসবুক পেজ বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে লোকদের সাথে শেয়ার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।


৬. এখন আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে যদি কেউ সেই সামগ্রী বা প্রোডাক্টটি কিনেন, তাহলে আপনি এফিলিয়েট নেটওয়ার্কটির তরফ থেকে টাকা পাবেন কমিশন হিসেবে।

এই ৬টি স্টেপস পড়েই বুঝে যাবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কীভাবে শুরু করবেন।


তাহলে আমরা কী শিখলাম?


ইন্টারনেটে অনেক অনেক অনলাইন কোম্পানি রয়েছেন, যেমন ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি, অনলাইন কাপড়ের দোকান, ডোমেইন কোম্পানি আদি সাধারণ ভাবে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম প্রদান করেন। আপনি এরকম অনেক অনলাইন কোম্পানি খুঁজেন, যারা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম প্রদান করে নিজেকে একটি এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে সাইনআপ করতে পারেন।


এখন আপনি সাইনআপ করা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম, নেটওয়ার্ক বা কোম্পানি যেই প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে চান সেটার এফিলিয়েট লিংক আপনি পেয়ে যাবেন। তারপর সেই প্রোডাক্টের বিষয়ে আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন বা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই প্রোডাক্টের ওপরে একটি ভিডিও বানাতে পারেন।


শেষে, আপনার লেখা আর্টিকেলের পেজে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনে সেই প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিবেন। যদি আপনার রিডার্সরা বা ভিডিও ভিয়ার্সরা সেই লিংক থেকে প্রোডাক্টটি কিনেন তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন কমিশন।


এভাবে আপনি যেকোনো জিনিস ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং লোকেরা এই মাধ্যমে হাজার হাজার লাখ লাখ টাকা মাসে কামিয়ে নিচ্ছেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা কত টাকা আয় করা যাবে?


সত্যি বললে, এফিলিয়েট মার্কেটিং দ্বারা আপনি কত টাকা আয় করবেন, সেটা পুরো আপনার ওপরে নির্ভর করে। আজ লোকেরা কেবল এই মাধ্যমে মাসে লাখ লাখ টাকা কমিশন হিসেবে কামিয়ে নিচ্ছেন আর তাই আপনি চেষ্টা করলে মাসে কয়েক হাজার তো অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের খেলা বুঝতে আপনার অল্প সময় নিশ্চয়ই লাগবে। এই মাধ্যমে আপনি বেহিসাবি টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু, আপনার কিছু জায়গায় এক্সপার্ট হতে হবে।


ভেবে নিন আপনার একটি ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেল আছে এবং আপনি তাতে ব্লগিংয়ের ওপর টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও চ্যানেলে আপলোড দেন।


যেহেতু আপনি ব্লগিংয়ের সাথে জড়িত আর্টিকেল লিখেন বা ভিডিও নিজের ইউটিউবের চ্যানেলে আপলোড দেন, তাই আপনার ব্লগে বা চ্যানেলে আশা বেশির ভাগ ভিজিটর ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন কেনাতে রুচি রাখতে পারে।


এখন আপনার করতে হবে কি, আপনি ভালো একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানিতে গিয়ে নিজেকে এফিলিয়েট হিসেবে রেজিস্টার করে তাদের প্রোডাক্ট নিজের ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগের আর্টিকেলে এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রোমোট করতে পারবেন এবং নিজের ভিজিটর দেড় সেই প্রোডাক্টগুলো কিনতে বলতে পারবেন। আপনি প্রত্যেক পারচেজে ১০ থেকে ২০ শতাংশ অবধি কমাতে পারবেন।


এখন যদি আপনার প্রোমোট করা এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে আপনার ভিজিটররা মাসে ২০টি প্রোডাক্ট যেমন ডোমেইন বা হোস্টিং কেনে এবং একটি হোস্টিং প্যাকেজের দাম বছরে ৭০০০ হয়, আর প্রত্যেক কেনাতে আপনাকে ২০ শতাংশ কমিশন দেয়া হয়, তাহলে আপনার মোট ইনকাম হবে ৭০০০দ্ধ২০ = ১,৪০,০০০ টাকা।


  • ১,৪০,০০০×২০÷১০০ = ২৮,০০০ টাকা। তাহলে আপনি মোট ২৮,০০০ টাকা এক মাসেই আয় করতে পারবেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় পুরোপুরি নির্ভর করে
  • আপনি কত দামি জিনিসের মার্কেটিং করছেন।
  • প্রত্যেক বিক্রিতে আপনাকে কত টাকা দেয়া হচ্ছে কমিশন হিসেবে।
  • আপনি কতটি প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করছেন।
  • যেই প্রোডাক্ট আপনি মার্কেটিং করছেন তার চাহিদা আছে কি না।


এই জিনিসগুলোর ওপরে নির্ভর করেই আপনার এফিলিয়েট ইনকাম নির্ভর করবে। অল্প কঠিন, কিন্তু আপনি একবার এই অনলাইন ব্যবসা ধরে ফেললে এত টাকা আয় করতে পারবেন যে আপনি ভাবতেও পারবেন না। এটা পুরোটাই একটি অনলাইন ব্যবসা। অনলাইনে অনেক মাল রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে আপনি লোকেদের জানিয়ে সেই মালগুলো বিক্রি করিয়ে দিতে পারবেন। অন্যদের মাল বিক্রি করান এবং কমিশন নিয়ে যান।


ভারতের বিখ্যাত ব্লগার হার্শ আগরওয়াল তার একটি আর্টিকেলে লিখেছেন যে, তিনি এফিলিয়েট প্রোগ্রামের দ্বারা মাসে ৩০,০০০ ডলার ইনকাম করেন। এবং তিনি এটাও বলেছেন যে, আমরা এর দ্বারা আনলিমিটেডটাকা আয় করতে পারি। শেষে এটাও হার্শ আগরওয়াল বলেছেন যে, এফিলিয়েট প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার তার উপায় হলো ব্লগের মাধ্যমে। তিনি ১০ বছর থেকে ব্লগের মাধ্যমেই প্রোডাক্টগুলো মার্কেটিং করছেন এবং লাখ লাখ টাকা মাসে আয় করছেন।


কিছু লাভজনক এবং বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম


এমনিতে আজকাল সব ছোট-বড় অনলাইন স্টোর বা কোম্পানি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে। কিন্তু, তাদের মধ্যে কয়েকটির এমন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে যেগুলো বেশি কমিশন ইনকাম দেয়ার জন্য বিখ্যাত।


১. ফ্লিপকার্ড এফিলিয়েট প্রোগ্রাম


এটা ভারতের অনেক নামকরা এবং জনপ্রিয় একটি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট। এখানে ফ্রিতেই এফিলেট হিসেবে রেজিস্টার করে আপনি বিভিন্ন রকমের দামি-কম দামি জিনিস ভালো কমিশনে বিক্রি করতে পারবেন।


২. আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম


ভারতের ই-কমার্স ব্যবসাতে আমাজন সবচেয়ে আগে এবং এই অনলাইন শপিং স্টোরেও আপনি এফিলিয়েট হিসেবে রেজিস্টার হয়ে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ভালো কমিশনে বিক্রি করতে পারবেন।


৩. গো দারাজ


যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল ব্লগিং এবং হোস্টিংয়ের ওপরে, তাহলে গো দারাজে একজন এফিলিয়েট হিসেবে নিজেকে রেজিস্টার করুন এবং অনেক হাইকমিশনে ডোমেইন এবং হোস্টিং বিক্রি করুন। গো দারাজ ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার অনেক বিখ্যাত অনলাইন কোম্পানি।


৪. হোস্টগেটর এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক


হোস্টগেটর ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের মার্কেটে অনেক নামকরা কোম্পানি। এবং আপনি যদি ডোমেইন বা হোস্টিংয়ের এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে হোস্টগেটর আপনাকে ভালো কমিশন দিতে পারবে। এখানে আপনি কেবল একটি বিক্রিতেই প্রায় ৩০০০ টাকা অবধি আয় করতে পারবেন।


৫. ইবে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম


আপনারা হয়তো ইবে অনলাইন ওয়েবসাইটের কথা অবশ্যই জানেন। ইবে একটি অনলাইন শপিং সাইট যে বিশ্বের সব জায়গায় নিজের প্রোডাক্ট ডেলিভার করে। এবং, আপনি যেই দেশেরই হোন না কেন ইবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি তার যেকোনো অনলাইন প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে ভালো কমিশন আয় করতে পারবেন।


এর বাইরেও অনেক লোকাল ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট অনলাইন বিক্রি করানোর জন্য ভালো কমিশন দেয়। আপনি সোজা গুগলে গিয়ে নিজের দেশের লোকাল এফিলিয়েট প্রোগ্রামের বিষয়ে সার্চ করে জয়েন করতে পারেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কিছু জরুরি প্রশ্ন এবং তার উত্তর


ওপরে অনেক কিছুই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এবং আপনাদের মনে এখনো এ ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তাই নিচে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর আপনাদের দেব।


এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে কত টাকা লাগে ?


এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য আপনার এক টাকাও কাউকে দিতে হয় না।


এফিলিয়েট প্রোডাক্ট কীভাবে প্রমোশন করবেন?


যা আমি আগেই বলেছি, যেকোনো এফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোট বা মার্কেটিং করার জন্য একটি ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেল সেরা মাধ্যম। কারণ, এই দুটি মাধ্যমে আপনি নিজের প্রোডাক্টের বিষয়ে ভিজিটরদের ভালো করে বুঝিয়ে বলতে পারবেন। এতে তাদের প্রোডাক্ট কেনার চাহিদা বা ইচ্ছা বেড়ে যায়।


কীরকম প্রোডাক্ট প্রমোশন বা মার্কেটিং করবেন?


অবশই মনে রাখবেন, সব সময় এমন একটি প্রোডাক্ট বা সামগ্রী বাছাই করবেন যার চাহিদা লোকেদের মাঝে আছে। উদাহরণস্বরূপ, ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের চাহিদা অনেক। কারণ আজ লোকেরা নিজেদের ব্যবসা অনলাইনে নিয়ে আসতে চান, এবং তার জন্য তারা ডোমেইন বা হোস্টিং অবশই কিনতে চাবেন। অনেক রকমের অনলাইন প্রোডাক্টের চাহিদাও লোকেদের মাঝে এমনিতেই রয়েছে। এর বাইরে যে প্রোডাক্টগুলো সহজে বিক্রি হতে পারে এবং যেগুলোতে কমিশন ইনকাম বেশি সেগুলো মার্কেটিং করার চেষ্টা করুন।


কিছু লাভজনক এবং সহজে বিক্রি হওয়া এফিলিয়েট প্রোডাক্ট হলো


  • মোবাইল বা স্মার্টফোন।
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং।
  • বই।
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম।
  • ল্যাপটপ।
  • কাপড়-জামাসহ আরো অনেক।


আয় করা টাকা কীভাবে তুলবেন?


এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করা কমিশন ইনকাম আপনি অনেক সহজে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তুলে নিতে পারবেন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেয়ার জন্য আপনাকে সঠিক অপশন দেয়া হবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।