বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং
বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ। এদেশে বেশিরভাগ মানুষই গরিব। এখনো এদেশে শতকরা ৮৫ ভাগ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এদের মধ্যে এমনও আছে, যাদের চাষের জমি এমনকি বসতভিটা পর্যন্ত নেই। আমাদের ঘোষিত বাজেটগুলোতে দেখা যায় গরিব কৃষকদের জন্য কৃষি খাতে ভর্তুকি রাখা হয়, কিন্তু সেই ভর্তুকি কিভাবে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো হবে, সে বিষয়ে কোনো গাইডলাইন থাকে না।
এদেশের মানুষের বর্তমানে মাথাপিছু আয় মোটামুটি ৫০০ মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছর থেকে কিছুটা বেশি। এই তথ্য থেকে বুঝা যায়, দেশের মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য আয় বাড়াতে সচেষ্ট। পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মূদ্রাস্ফীতি। আয় বাড়ানোর যে গতি, তা থেকে অনেক গতিতে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
সর্বোপরি দেখা গেছে, দেশের মানুষের সঞ্চয়ের পরিস্থিতি ভালো নয়। সংসার চালানোর জন্য তাদের বাজেট সীমিত। দারুণ অভাবের মধ্যে এরা চেষ্টা করে সামান্য সঞ্চয় করে, যাতে এরা বাড়ি তৈরি, বিদেশে চিকিৎসা, ছেলে-মেয়ের শিক্ষা ইত্যাদিতে প্রয়োজনে অর্থ যোগান দিতে পারে।
ব্যাংকের মূল কাজ স্বল্প সুদে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে একটু বেশি সুদে ঋণ দেয়া। আর এই বাড়তি সুদটাই হলো ব্যাংকের মূল আয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা প্রশাসনের অনবরত চাপের মুখে সম্প্রতি ব্যাংকগুলো সুদের হার কমাতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যা আমাদের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করছে। তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সাথে আজকাল বিশেষ করে ব্যক্তিমালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে অনেক রি-ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে, যা সেখানে সেবার গুণগত মান, দক্ষতা ও দ্রুততর গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করেছে। ফলে তাদের প্রাত্যহিক কাজ সহজে ও কম সময়ে শেষ করতে পারছে। কিন্তু সে তুলনায় সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনেক পিছিয়ে। বর্তমানের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের অনগ্রসরতা এর জন্য দায়ী হতে পারে। অধিকন্তু সেকেলে লেজার ব্যাংকিংয়ের প্রতি তাদের অজানা ও অনাকাঙ্ক্ষিত আগ্রহ এর জন্য অনেকটা দায়ী।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে গ্রাহকসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। গ্রাহকসেবার পরিধিও হচ্ছে বিস্তৃত। এখন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রযুক্তিগত দিক কিছুটা বুঝা যাক।
ব্যাংক তার, অনলাইন সুবিধা আছে যার
০১. একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ থাকবে, যা অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারের সাথে সংযুক্ত।
০২. প্রত্যেক গ্রাহকের একটি সুনির্দিষ্ট গ্রাহক আইডি থাকবে।
০৩. সব লেনদেন রিয়েল টাইমে সংগঠিত থাকবে, শাখা বলতে কোনো ধারণা থাকবে না।
০৪. সব লেনদেন রিয়েল টাইমে সংগঠিত হবে।
০৫. লেনদেনের সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ আপডেট হবে।
শুধু দামী হার্ডওয়্যার ও বিখ্যাত কোম্পানি থেকে অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার কিনেই সমস্যামুক্ত ও ফলপ্রসূ অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করা সম্ভব নয়, যদি দক্ষ ও আইটিতে প্রশিক্ষিত লোকবল না থাকে। ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে কাজ করে এমন ব্যক্তির তথ্যপ্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে, যা তাকে নির্বিঘ্নে ব্যাংকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সার্ভিস তৈরি ও চালু করতে সাহায্যে করবে।
যখন কোনো ব্যাংক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করতে চায়, সেই ব্যাংকটিকে বেশকিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে : ০১. ব্যাংকটিতে দক্ষ জনবল থাকতে হবে, যারা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মিশনকে সফল করার যোগ্যতা রাখে, ০২. ব্যাংকটির সুনির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার থাকতে হবে, যেগুলো বর্তমানে সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে হার্ডওয়্যার সিস্টেমকে সাপোর্ট করে এবং ০৩. ব্যাংকটিকে একটি পরীক্ষিত ও সমস্যামুক্ত অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার কিনতে হবে।
অধিকন্তু ব্যাংকের নিম্নলিখিত সুবিধাগুলোও থাকতে হবে : ০১. ব্যাংকশাখাগুলো ও প্রধান কার্যালয়ের মধ্যে একটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ভি-স্যাট, রেডিও লিঙ্ক, ডিডিএন ইত্যাদি যেকোনো একটি নির্ভরশীল মাধ্যম থাকতে হবে, যার মাধ্যমে শাখাগুলো প্রধান কার্যালয়ের ডাটাবেজের সাথে সংযুক্ত হতে পারে, ০২. একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্মের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার থাকতে হবে, যা একটি প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে চলতে পারে এবং ০৩. ব্যাংকটির আর্থিক সফলতা থাকতে হবে, যাতে করে দামী হার্ডওয়্যার কেনার ও দক্ষ আইটি পেশাজীবীর বেতনের খরচ মেটানোর মতো টাকা ব্যয় করতে পারে। বাস্তবিক পক্ষে আমাদের স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্বল্প আয়ের থেকে এ ধরনের বড় অঙ্কের খরচ নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, বর্তমান সময়ে তথ্যের সংগ্রহ ও ব্যবহারই সবার মধ্যে প্রাধান্য ও গুরুত্ব অর্জনের একমাত্র পথ। প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংক খাতে টিকে থাকার জন্য জনবলকে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হুমকি বিদেশী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যে কিছুসংখ্যক স্থানীয় ব্যাংক আধুনিক যোগাযোগপ্রযুক্তি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যারের সাহায্যে অনলাইন ব্যাংকিং চালু করার চেষ্টা করছে ও এর জন্য এরা সাম্প্রতিক প্রযুক্তির নেটওয়ার্কের ধারণা ও অ্যাক্সেসরিজ কাজে লাগাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকার জন্য আইটিবিষয়ক সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি, কারণ প্রযুক্তির ধারণা প্রতিদিনই পরিবর্তন হয়। অধিকন্তু আইটিনির্ভর সেবা চালু করার জন্য আইটি প্রফেশনালদের আইটিবিষয়ক ধারণা স্পষ্ট থাকতে হবে। কারণ, আইটিনির্ভর সেবা চালু করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও দক্ষতাপূর্ণ কাজ, যা সামগ্রিক অর্জনের সফলতার পথে অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
কোনো ব্যাংক সফলভাবে তার গ্রাহকদের জন্য অনলাইন ব্যাংকিং চালু করতে পারলেও হয়তো দেখা যাবে ব্যাংকটি এর কর্মকর্তাদের আইটিবিষয়ক জ্ঞানের অভাবে সামগ্রিক সফলতা অর্জন করতে পারছে না। সুতরাং ব্যাংক কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ জরুরি, যা তাদের আইটিবিষয়ক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতাপূর্ণ অপারেশন এবং এর থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সুবিধা পাওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, কমপিউটারের ব্যবহারে সুফল বয়ে আনার ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতা হলো কমপিউটার সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা ও নেতিবাচক ব্যবসায়ের ধারণা। আধুনিক ব্যাংক পরিবেশ দক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য আইটির মৌলিক শিক্ষা থাকাও জরুরি। ধারণা করা হয়, স্থানীয় ব্যাংকগুলো বিদেশী ব্যাংকগুলোর সামনে একটা বড় ধরনের হুমকির মুখে। কারণ স্থানীয় ব্যাংকগুলোর আইটির কর্মকর্তারা সেরকমভাবে প্রশিক্ষিত হবার সুযোগ পাচ্ছেন না, ফলে তাদের উৎপাদনশীলতা দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে দিতে পারে।
বর্তমানে খ্যাতিমান বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিশ্বব্যাপী অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা দিতে সক্ষম হচ্ছে, যা একটি দুর্বল স্থানীয় সীমিত পরিসরের ব্যবসায়ের ব্যাংকের পক্ষে খুব সহজ নয়। কারণ ১. অনলাইন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কেনার জন্য ও সেগুলো পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট অর্থ প্রয়োজন। ০২. বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ । স্বভাবতই যোগাযোগপ্রযুক্তির সুবিধাগুলো এখানে খুব ব্যাপক ও সহজলভ্য নয়। ০৩. অর্থনৈতিক কারণেই একটা স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক যথেষ্টসংখ্যক দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ রাখতে সমর্থ নয়। কারণ, তাতে ব্যাংকের বেতন বাবদ খরচ অনেক বেড়ে যায়।
এমনই যখন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আইটির অবস্থা, ঠিক অনেকটা প্রতিযোগিতায় পড়েই স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সময়োপযোগী অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধা তার গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে। অনেক ব্যাংক বিদেশী সফটওয়্যার ফিনাকল ও ফ্লেক্সাকিউব দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং চালু করার পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই দুটি সফটওয়্যরের বিদেশী প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস ও আইফ্লেক্স যাদের উভয়ের এদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি রয়েছে এবং এদের মাধ্যমেই তাদের স্থানীয় মার্কেটিং ও আফটার সেলস সার্ভিসের ব্যবস্থা করছে। আরো কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক খুব তড়িঘড়ি করেই একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার খুঁজছিল এবং তাদের অনেকই অবশেষে অনলাইন কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত এদেশের ব্যাংকগুলো যে সফটওয়্যার কিনেছে, সেগুলোর মধ্যে ফিনাকল, ফ্লেক্সাকিউব, মাইসিস, টেমিনস ইত্যাদি অন্যতম।
আমাদের দেশে এনি ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং (এবিবি) জনপ্রিয়ভাবে অনলাইন ব্যাংকিং হিসাবেই পরিচিত, যদিও অনলাইনের মৌলিক সুবিধাগুলো এর মধ্যে নেই। অনলাইন ব্যাংকিং থেকে এর মৌলিক ভিন্নতা হলো এটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজে চলে আর অনলাইন চলে সেন্ট্রাল ডাটাবেজে এবং সেটি প্রতি লেনদেনের সাথে আপডেট হয়।
এটা সত্য, দেশের স্থানীয় সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন পর্যন্ত তেমন বিশ্বমানের কোনো অনলাইনের ব্যাংকিং সফটওয়্যার তৈরি করতে সমর্থ হয়নি। কিন্তু এটা স্বীকার করতে হবে, এ ধরনের সফট্ওয়্যার তৈরির করার মতো যোগ্যতা বা মেধা তাদের আছে। কিন্তু তাদের আরো সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। অধিকন্তু এ ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য যথেষ্ট খরচ দরকার, যা এদেশের স্বল্প পরিসরের বাজারের কথা চিন্তা করলে বাস্তবসম্মত মনে হয় না। তবে এটা দেশের জন্য খুবই মঙ্গলজনক হতে পারে যদি এসব ব্যাংক অনলাইনে যেতে চায়, তারা তাদের সফটওয়্যার তৈরির কার্যাদেশ এই সব কোম্পানির অনুকূলে প্রদান করে ও কিছু সময় দেয়, যাতে এরা সাহসের সাথে তাদের কাজ শেষ করতে পারে। এদেশের কোম্পানিগুলোর বর্তমান কর্মদক্ষতা দেখে বুঝা যায়, এরা যেকোনো বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে, যদি এরা বৃহৎভাবে এদেশের সরকারের তরফ থেকে কারিগরি ও নীতিগত সহযোগিতা পায়।
যদি আমাদের দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো স্থানীয় ভেন্ডরের থেকে সফটওয়্যার কিনতে চাইত, তাহলে এরা বেশিকিছু সুবিধা পেত। এগুলোর গুরুত্ব একটি ব্যাংকের জন্য অপরিসীম। সফটওয়্যার ব্যবহারকারী ব্যাংকগুলো খুব সহজেই তাৎক্ষণিক সার্ভিস পেত। ব্যাংকের সফটওয়্যার ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময়ের স্থানীয় প্রশিক্ষণের সুযোগ পেত। আর্থিক ও প্রযুক্তিগতভাবে সফটওয়ার ব্যবহারকারী ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকত না। এবং সর্বোপরি সফটওয়্যার হতো অপেক্ষাকৃত সস্তা।
সব শেষে বলতে হয়, যদি স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিদেশী সফটওয়্যার নিতে চায়, তবে তাদেরকে অবশ্যই সাবধানে চোখ খোলা রাখতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যাতে ভেন্ডর তাদেরকে আর্থিক ও কারিগরিভাবে ঠকাতে না পারে। এজন্য বলা যায়, বিদেশী ভেন্ডরের কাছ থেকে অনলাইন সফটওয়্যার কেনা কিছুটা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ও সমস্যাপূর্ণ। কিন্তু এদেশের ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে নিরুপায়। বিদেশী সফটওয়্যার কিনলে পরিশেষে নিশ্চিত করা প্রয়োজন, উক্ত ভেন্ডরের স্থানীয় ব্যবসায়িক পার্টনার আছে কিনা, যাদেরকে প্রয়োজনে সবসময় পাওয়া যাবে এবং অবশ্যই চুক্তিবদ্ধ ব্যাংককে চুক্তিপত্রের শর্ত সুস্থভাবে পালনে সাহায্য করবে।
১ টি মন্তব্য
Shamim Miah
২০২২-১০-১৫ ২১:০২:০৬Good