কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারে আসার পর থেকে কর্মীদের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় দেখা দিয়েছে। এমন অনেক কাজ আছে যার জন্য আর মানব কর্মীদের প্রয়োজন নেই। এগুলি এআই দ্বারা সহজেই করে ফেলা যায়। ফলে চাকরি হারাতে হচ্ছে বহু মানুষ।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের এআই প্রযুক্তির কারণে তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বেশি। পুরুষদের তুলনায় নারীদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা দেড় গুণ বেশি। ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেনারেটিভ এআই অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ক ইন আমেরিকা শিরোনামের এই গবেষণাটি ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের চাকরির বাজারের উপর আলোকপাত করেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতিতে ৩০ শতাংশ চাকরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বয়ংক্রিয় হবে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অফিস সাপোর্ট, কাস্টমার সার্ভিস এবং ফুড সার্ভিসে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি কাজ করেন। এই ক্ষেত্রে, এআই ব্যবহারের ফলে মহিলারা তাদের চাকরি হারাবেন। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবহনের মতো পুরুষ-শাসিত পরিষেবা চাকরিতে কম প্রভাব ফেলবে।
সামগ্রিকভাবে নারীদের থেকে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা বেশি হলেও এআই নারী-নিবিড় কর্মক্ষেত্রগুলোতে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে যার ফলে ২১ শতাংশ নারী কর্মী কর্মচ্যূতির আওতায় চলে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ শতাংশ পাবলিক সার্ভিস পদে মহিলারা রয়েছেন। এমনকি অফিস সাপোর্টের ৬০ শতাংশ কাজ নারীরা করে থাকেন। এআই এই দুটি কাজ ভাগ বসাবে এআই।
ইনস্টিটিউট ফর প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ইউএস কর্মীবাহিনীর ১০ জনের মধ্যে আটজন মহিলা এমন পেশায় রয়েছেন যেগুলি এআই জেনারেটিভ অটোমেশনের কারণে তাদের চাকরি হারাতে পারে। প্রতিবেদনটি কেবল চাকরি হারানোর বিষয়ে নয়, কর্মসংস্থানের পরিবর্তন সম্পর্কেও সতর্ক করে।
বলা হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্রের চেয়ে দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিসংখ্যান এবং সমীক্ষা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার: এআই প্রযুক্তি চাকরির বাজারে একটি বড় ধাক্কা দিতে চলেছে।











০ টি মন্তব্য