ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা এখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি। এই সময়ে প্রতিবন্ধীত্ব জয় করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এরই মাঝে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রচুর ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তি আসবে। শুধু তাই নয় বিশ্বটা ডিজিটাল সংযুক্তিতে বিকশিত হবার ফলে প্রতিবন্ধীরাও ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে তাদের পেশা তৈরি করতে পারে-শারিরীক অক্ষমতা এজন্য বাধা হতে পারেনা।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুরা পরিবার ও সমাজের বোঝা নয়। তারা সমাজে সক্ষমদের তুলনায় অনেক বেশি মেধাবি। তাদের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। আজকের দিনে প্রতিবন্ধকতা জয় করার বিষয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সুইড অডিটরিয়ামে বেসরকারি সংস্থা অবাক বাংলাদেশের উদ্যোগে অনলাইনে দেশব্যাপি প্রতিবন্ধী সংগীত শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য যথাযথ পরিচর্যা ও পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সাদা ছড়িতে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করে তাদের চলাচলকে সহজতর করা হয়েছে। কনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা প্রকাশনার পুরোটা ব্রেইল পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া দরকার। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি এবং অটিস্টিক শিশুদের জন্য তার
সুযোগ্য কণ্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ভূমিকা তুলে
ধরেন। তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুরা স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করে সফলতা পেয়েছেন। কেউ কমপিউটার প্রোগ্রামিংয়েও
ভালো করছেন, অনেকেই পটু হন গণিতে। এছাড়া তারা বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কমপিউটার, ইন্টারনেটেও অন্য সবার মতোই সমান পারদর্শিতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম। মন্ত্রী যানবাহন ও ভবনসমূহে প্রতিবন্ধীদের জন্য যে সুবিধা থাকা দরকার তা অনেক ক্ষেত্রেই থাকেনা বলে মত প্রকাশ করেন। তিনে বলেন তবে সচেতনতা বেড়েছে এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে।
অবাক
বাংলাদেশ লি: চেয়ারম্যান ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইমপেক্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, প্রতিবন্ধী ও মানবাধিকার বিষয়ক উন্নয়ন কর্মী মনসুর আহমেদ চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মো: নুরুল আলম, সুইড বাংলাদেশের মহাসচিব মাহবুবুল মনির প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মনসুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সকলের সহমর্মীতা ও সহযোগীতার প্রয়োজনীয়তার
ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
এর আগে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের একক ও সমবেত সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
০ টি মন্তব্য